প্যারা-সাইক্লোমেট্রি
------------------------------------------------------------
(১)
আসমানআসমান পানিশঙ্খ আউড়ালেই
চোখ ও চোখের কাজলে = মেঘমেঘ
সিঁদুরের কোলাজ থেকে যুবতী ঈশ্বর ভেসে আসে
সর্বনাশ।স্রেফ : তুমুল সর্বনাশ।এমনকি
চূড়ান্ত নষ্টামোর পর লাভ নেই নষ্ট বাঁচিয়ে
ছোবলে ধরা পড়ে মৌমৌ মৌযান মুখোশ
(২)
বিয়োগে আমিও হারিয়ে দিতে পারি
ওইওই মহাকাশ > মহাকাল >>> সাইকেলের চাকা
ফিরিয়ে দাও।ফেরতা ব্যস্ততায়
ফিরিয়ে দাও : গর্হিত অপরাধ
শিৎকার মুঠোয় তুলে : নীলনীলনীল ফাঁকা অভিমান
জরায়ুর মাঝখানে দেওয়াল।
দেওয়াল পেরোনো ০-গুলো অবিকৃত সাহারা
উল্কা-মানচিত্রের উল্লাস।পিঠে খানিকটা উল্কি
(৩)
বিকেলেবিকেলে পা।এলোমেলো
মেঘেমেঘ ঘষা কাচ।গোলাপিতো চুম্বক
যেটুকু রইলে পড়ে।পুরনো স্বীকারোক্তি
আরোআরো খেলাখেলা।খোলাখুলি শিকার
আষাঢ়ের ডাকনাম : নেশানেশা নেশালু-ঠোঁটে
কফোঁটা প্রেমিকার তাপে : ধূলোঝুলমাখা
ইঙ্গিত হয়ে যাক।ইশারায় টইটই খাঁজ
শিলাপাথর ধুয়েধুয়ে মুছে।পাশাপাশি বিদ্যুৎ
কেউকেউ বুনোঘুমে খুঁজেখুঁজে হাতড়ায় মাস
(৪)
ঘুমঘুমের ভিতর ঘুমঘুম গুমোট।রঞ্জক্ হাওয়ায়
কেউকেউ স্টেথোস্কোপ নিয়ে হাঁটতে পারো
মনুমেন্টের আড়ালে : যতোটা অস্বচ্ছ ধোঁয়া
খালিখালি ব্যস।বৃত্তটুপে জোরজোর বাদাম
বেদেনীর চোখে বড়ো মায়া দেখেছিলাম
নাবিকনাবিক অনিরাপদ : অহংকারের ডুববোধ
চশমাচশমা কাচ।সেও যেন ৫-উপাদানে সংরক্ষিত
বৃদ্ধগাছের শিকড়সামান।হাত বাড়াচ্ছে ঈশানকোণ
(৫)
নিষেক পরবর্তী হ্যালোজেন ডাকলেই
আপাত অবসরে চন্দনচন্দনের টিপ
রাত পড়লেই শুয়েশুয়ে আধাআধি সরীসৃপ ক্ষয়
অথচ ভাবছি।আজ দিন সবচেয়ে বড়ো
দীর্ঘা ক্যালেন্ডার।কালো জ্যাকেট।শীতশীত কালো
পকেটপকেটে রাত।রাত উপলব্ধির সময়
অগোপনে হারতে হাসা যুবতী হাত পাতে
রাতরাত চায়।বিনিময়ে রাতরাত বিলোয়
নাহ।ওসব ধোয়া তুলসীপাতা পরেপরে হবে
আগে অন্তত রাত্রিকালীন নির্যাস।১ বার অন্ততঃ
(৬)
শাদাশাদা বরফ দিয়ে গুহাচরী আঁক
বেশ বলেছো।ব্যর্থব্যর্থ স্বপ্নগুলোকে আয়তন ভাবি
বিছানা কোনোদিন বন্যা বিভাগের সূচক নয়
অথবা বেলায়বেলায় জমিন আসমানের তফাৎ
সরেসরে যাও।ছায়া ও ছায়ায় সম্ভাব্য প্রতিসরণ
ঘড়িঘড়ি প্রবাদ।চিচিংফাঁক ইনফ্রারেড আলোয়
কারুরকারুর চিরাগদানি স্বভাব
বাগানের পাশে রাইসমিল।খুবখুব চেনা
অটোমেটিক ঘড়ঘড় মেশিনের ক্যালিপ্সো
কিছু ধূপের আতরআতর গন্ধ।ভাসাভাসা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন