উত্তর মেরুর কবিতা /
১
পেরোনোর জন্য কোনো ব্রীজ বা মৃতদেহ নেই
এখানে তাজা থাকে বলে প্রচলিত ধারণা থেকে
ফ্রিজ কোম্পানী তাদের মস্করায় ও বোগেনভেলিয়ার পাশে
দেখায় ও ব্যবহার করে আমাকে
এখানে কোনো প্রাণ নেই যদিও এবং ঘাসের রংও ভুলে গেছি
রোদ্দুরের যথাযথ তাপের অভাবে, কারণ ৬ মাস পর আমি
আপনার টিভিতে দেখা দেব আপাদমস্তক
আর সূর্য দেখে নেবো ভার্টিকালি
নেবো চেখেও
আপনার জল ঠাণ্ডা করানোর
একমাত্র কারিগর হিসাবে ডাকা হবে আমাকে সেই মেরুপ্রদেশ থেকে
তুষারঝড় পেরিয়ে
আর আমি লুকিয়ে থাকব আপনার
পেঙ্গুইন আঁকা অতিরিক্ত খাবারের পাশের বাটিতে
২
অন্ধকার থেকে কোনো গাছ আমাকে চিনতে পারেনি
আমিও চিনতে পারিনি কোনো ফল বাঁ-পাশে ছিল কিনা রাখা
কোন গাছ উষ্ণতার অভাবে হল ফসিল
চোখ ততটাই গাছশূন্য স্থান ছেড়ে আর এগোতে পারে না
যদিও দৃষ্টির সে বাধা নেই, তবুও কিছু তো থাকেই
বস্তুত আমি বরফের কথার ওপর ধোঁয়া ওঠে, আমি জমাট বাঁধানো
প্রক্রিয়াজাত যা কিছু, রেখে দিই ফারের নীচে
অথচ আর কিছু ফারের ভেতর বরফ জমা হয়, তখনও
সেলসিয়াস বা ফারেনহাইটের চিহ্ন আমার কপালে নেই
অথচ মাইনাস থেকে আরও মাইনাসের দিকে
এগিয়ে যেতে যেতে বরুফে ভোঁদড়ের সাথে
রাত কাটাই কোনো কোনো দিন
আপনি শীতাতপনিয়ন্ত্রণের কারণে ঈর্ষা করেন অবস্থান আমার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন