অর্থাৎ মেঘমল্লার
আড়ালটুকু...
জানলার আড়ালে সে, সেই
কখনো আবছায়া দেখি সমস্ত সন্ধ্যের পর পাখিরা ঘরে ফিরে গেল
তারা জেগে উঠল টুপটাপ পরিত্যক্ত নারকেল গাছের মাথায়
কে এক ঘুম জাগানিয়া গল্প করেছে বৈশাখী ঢঙে
কে এক এসে দাঁড়াল জানলার আড়ালে
কে এক বাষ্পে মাখা
কে সে... সে কে
ঘুমজাগানিয়া
স্নানঘর কুয়াশার চিঠি
আমি কখনো দেখি... কখনো দেখি না, ইচ্ছে হলে পড়ি
টইটম্বুর আলেয়ার মত গায়ে মেখে থাকে মেঘ
সে এক আদিম – আদিম কোনো জাতিস্মরের গল্প, কথা বলে
বলে আগের জন্মেও মেঘ হয়েছিল সে গারো পাহাড়ের বুকে
বলে আগের জন্মেও হিম হয়েছিল সে
চেরাপুঞ্জির বর্ষাতে খসে পড়েছিল
নেমে এসেছিল
ফার্ণে মসে চিরহরিৎ অরণ্যের ডালে ডালে
শিশিরের কণায় কণায়
সেই থেকেই ওর রঙ সবুজ
আর আমি ওর অহল্যাস্পর্শা; আমি আসমানি
গারো অথবা অন্য কেউ, অন্য কোনখানে
কখনো দেখি নি; ইচ্ছে করে যেতে
ইচ্ছে করে ক্যানাভাসের পরতে পরতে ডানা মেলবে কাঞ্চনজঙ্ঘার রঙ
ইচ্ছে করে তুলির আঁচড়ে এক্ষুনি ভেসে উঠবে লম্বা পাইন গাছ
ইচ্ছে করে ঘুম ঘুম কুয়াশা নেমে আসবে
ইচ্ছে করে আমি তুমি...
এই জগৎ প্রপঞ্চময়
একলা
একা
একা
আমাদের শহর ক্যাকোফনি
বটগাছের মত ডাল মেলে আছে ইলেকট্রিকের তার
তুমি ছুটছ... ছুটছ – আমিও পা মেলাচ্ছি তালে তালে
অথচ কোনো আড়াল পাচ্ছি না
শহরের কথা
সামনে আড়াই পেছনে আড়াই, গজ মন্ত্রী
অপেক্ষা করছ আমি আসব – আসবই
প্রত্যয় আমারো ছিল,
তারপর একদিন দেখলাম – বোড়েটা ভিজছে
প্রাণখোলা বৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ছে কপালে চিবুকে
কাদামাখা মাঠের দুধারে যেখানে গোলপোস্ট
যেখানে সমুদ্র যেখানে পাহাড় যেখানে শহর
ঝুরোঝুরো কি একটা হারিয়ে যাচ্ছে
অথচ কি আশ্চর্য ওদের কোনো ছাতার প্রয়োজন হয় নি
সুতরাং বৃষ্টি...
এলে আমি সাবধানে আড়াল হই পর্দার ওপারে
তোমরা আমায় ভিজতে দাও – আমি তোমাদের ভিজতে দেব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন