রোদ-চশমা
**********
***************
সমাজে এখন আগুন আর জলের সহাবস্থান
তরলকণা প্রকৃতিতে পুড়ে পাথর করে দিয়েছে জন্মশোক
শিল্পী আজকাল আর ছৌ নাচের মুখোশ পরেন না , শুধু পৃথিবী থেকে নিজেকে আড়াল করতে চোখে ঠেসে নেন রোদ-চশমা ।
বাষ্পের ধোঁয়াশায় ঘনীভূত হয় ঝাপসা আলো
উন্মুখ মুখগুলো অনাবৃত অহংকারে ধুইয়ে দেয় পতাকার রং
আমি পেশাদার খবর গ্রাহক ,
বাধ্যতামূলক শরীরে চাপিয়ে নিই বর্ম
ওদের ঘর্মসিক্ত লবণজল আমার দেহ চুঁইয়ে অংকুরিত করে ভেজা মাটি
সাময়িক সুখের পরিপূরক হয়তোবা ওই রোদ-চশমাই !
দ্বিতীয় কবিতা
""""''''''""""""""""""
অপরিবর্তনীয়
************
***************
আকাশকে ছুঁয়ে পা মেপে মেপে মুক্তির পথে এগোয় ঔদাসীন্য ।
মেঘের নীল ঠোঁট বিনাকারণেই বিষাক্ত করে তোলে পাহাড়ের দেহ ,
জলীয়বাষ্প পর্বতারোহণের সময় হাহাকার শুরু করে তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো ,
ওর শরীর জুড়ে কামুক বাতাসের অবগাহন ।
নিম্নে নদী চাতকের মতো অপেক্ষার পোশাক বুনেই চলে ,
যত শক্ত হতে থাকে বুনোট উল্টোপক্ষে ততই আলগা হয় মায়াজাল ।
ভূগোল বদলায় ,
গণিতের নতুন নতুন নিয়ম তৈরি হয়,
বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করেই চলে প্রযুক্তি ,
সাহিত্য জগতেও জন্ম নেন আগামীর যোগ্য উত্তরসূরি
কিন্তু সূর্য চন্দ্র সাক্ষী রেখে ...
ইতিহাস অপরিবর্তিতই থেকে যায় কালের নিয়মে ॥
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন