'মাহি'
*****
নতুন জামাটা বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছে ছোট্ট মাহী, সুখেন ঘুমন্ত মেয়ের মাথায় একবার আদরের হাত বুলিয়ে দিলো।
"জামার জন্য যা কান্নাকাটি করলো কদিন... স্বপ্না দেখো, জামাটা কেমন আঁকড়ে ধরে আছে!"
"অতো প্রশ্রয় দিওনা বুঝলে,ওকে বুঝতে হবে,ও গরিবঘরের মেয়ে, চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায়না!"
"আহা, অমন বোলোনা, আমাদের তো এই একটাই মেয়ে, আর ও তো সেভাবে কোনোদিন বায়নাও কিছু করেনা, তুমি যাই বলো, আমার মেয়ে কিন্তু খুব বুঝদার, এখন, পাড়ায় এত বড় বাড়িতে যাবে... দুদিনই তো নেমন্তন্ন...যেতে তো হবে! "
সুখেন জানে, মেয়ের এই আব্দার রাখার জন্য তাকে এই একমাস ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে হবে।
দুটো গ্রাম পরেই তো ওর স্কুল, এই একমাস ও বাসে না গিয়ে হেঁটেই চলে যাবে, নিজেকে বললো, এইটুকু তো রাস্তা, ছোটবেলায় তো দিব্বি যেতাম, এখনো ঠিক পারবো,শুধু হাঁটুর ব্যাথাটা...ধুর, ওসব ভাবলে ব্যথা আরো বেশি পেয়ে বসবে!
নির্জনপুর গ্রামে প্রায় সাত পুরুষ ধরে সুখেনদের বাস, গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই সম্পর্কে ওদের জ্ঞাতি বাড়ি।
মোটামুটি সবাই অবস্থাপন্ন হলেও সুখেনদের বাড়ি সেই তুলনায় খুবই দরিদ্র।
অভাবের জন্যই মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও সুখেনের উচ্চশিক্ষা হয়নি, পাশেই একটা গ্রামের স্কুলে সুখেন শিক্ষকতা করে।
নিজের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো,সুখেন মেয়ের মধ্যে দিয়ে পূরণ করে নিতে চায়। মাহী লেখাপড়াতেও বড় ভালো।
......
"আরে বাবা, বলছি তো, চল না, দেখবি খুব মজা হবে। দিদির আব্দারে ডিজে আনতেও বাবা রাজি হয়েছে''
"ধুর, ওই নিরামিষ বিয়ে নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই"
"নিরামিষ কেন হবে! দুবেলাই পুকুরের টাটকা মাছ থাকবে, তাছাড়া মাটনও থাকবে তো!"
"তুই তো জানিস ভাই, তিনটে 'ম' নিয়েই আমার জীবন! সেখানে ওই একটা 'ম' দিয়ে কি হবে বল!", অর্ঘ্যর কথায় কেমন থতমত খেয়ে যায় দীপায়ন, "ধুর কি যে বলিস, ওটা আমার গ্রাম ভাই, আর আমার নিজের দিদির বিয়ে! তবে তোদের যদি যেতে না ইচ্ছে হয় বরং থাক..."
"এই কেন ওকে খেপাচ্ছিস? তুই চিন্তা করিস না দীপায়ন, আমরা ঠিক পৌঁছে যাবো। তুই কিন্তু আর দেরি করিস না, ট্রেনটা মিস করবি তাহলে।'
"হ্যাঁ, আমি তাহলে এগোলাম।তোরা চলে আসিস সময়মতো।"
"ওকে, বাই!"
......
"মা, রাহীদিদি কে একদম রাণীর মতো লাগছে বলো!"
"হুম, আমাদের কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে মাহী, তোর বাবার শরীরটা ভালো নেই ।"
"না মা, আমি এখন বাড়ি যাবোনা, আমি গান শুনবো, তোমরা চলে যাও, আমি পরে যাবো।"
"বায়না করেনা মাহী, গান তো তুই বাড়ি থেকেই শুনতে পাবি, দেখছিস তো কত জোরে জোরে গান হচ্ছে।"
"মা, সবাই তো আছে, দেখো, পিউ, রুমি, টুপাই সবাই আছে। না আমি এখন যাবোনা,তোমরা চলে যাও।"
"জেদ করিসনা মাহি, রাত দশটা বাজে...আচ্ছা বেশ, একটু পরেই চলে যাস যেন!"
"হ্যাঁ,মা"
....
জামাকাপড়ের আড়াল থেকে হুইস্কির বোতল দুটো বার করলো অর্ঘ্য।
"এই দাঁড়া, আগে দরজাটা বন্ধ করি, এখানকার যা সব নমুনা , কেউ দেখলেই কেস খেতে হবে শালা!",সায়নের কথায় সবাই হো হো করে হেসে ওঠে।
অনিক বলে, "ভাই, একটু চাট হলে জমে যেতো, দেখনা একটু মাছভাজা টাজা..."
"ওসব ছাড় ভাই, আপাতত একটু বরফ পেলেই বাঁচি.."
......
"হ্যাঁ গো, শুনছো, রাত তো এগারোটা বাজে, মেয়েটা কেমন গানে মজে আছে দেখো, এখনো বাড়ি ফেরার নাম নেই, তুমি কিন্তু বাপু মেয়েকে খুব প্রশ্রয় দাও, আজ বাড়ি এলে একটু শাসন কোরো...."
"আহা, মেয়েটা গান বাজনা ভালোবাসে, তা আমাদের গাঁ গঞ্জে এসব আর রোজ রোজ কই হয়, এখনো তো গান চলছে , সে তো আমরাও শুনতে পাচ্ছি, চিন্তা কোরোনা, চলে আসবে ঠিক...''
......
"এই টুপাই, বাড়ি যাবি?"
''আমি মায়ের সাথে যাবো, তুই চলে যা মাহী"
"আমার একা ভয় করছে.."
এদিক ওদিক ঘুরে মাহী দেখতে লাগলো, ওই যে দীপদাদা...
" দীপদাদা, আমাকে একটু বাড়ি পৌঁছে দেবে?"
"আমি যে একটু ব্যস্ত আছি মাহী। তুই অন্য কাউকে বল না"
মাহী ঘুরে ঘুরে কাউকেই পায়না...
"এই কোথায় তোর বাড়ি? চল, আমরা পৌঁছে দিচ্ছি।"
চমকে ওঠে মাহী......ও, এরা তো দীপ দাদার বন্ধুরা! মাহী সানন্দে রাজী হয়ে যায়।
"দাঁড়াও, আমি দীপ দাদাকে বলে আসি!"
"দীপকে বলেছি আমরা, তুই চল"
.....
"কি বলছো তুমি? নেই মানে? এত রাতে মেয়েটা কোথায় যাবে? তুমি সবাইকে জিজ্ঞেস করেছিলে? পিউ, টুপাই.. সবাই তো তখন ছিলো.. ওদের জিজ্ঞেস করেছো?"
"করেছি, ওরা বললো, মাহী বাড়ি ফিরে এসেছে..."
"চলো, আমিও যাই, ও নিশ্চয়ই একা আসতে ভয় পেয়েছে, তাই ওখানেই আছে.."
পাওয়া গেল, অবশেষে মাহীকে পাওয়া গেল...বিয়েবাড়ি থেকে অনেকটা দূরে, একটা পুকুরের পাড়ে, ছিন্নভিন্ন অবস্থায়, ওর নতুন জামাটা ওর শরীরে নেই, একটু দূরে দলা পাকানো হয়ে পড়ে আছে, মাহীর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, শরীরের নিম্নাঙ্গ থেকে রক্ত স্রোত তলার মাটি টাকেও ভিজিয়ে দিয়েছে।
মাহীর মা স্বপ্না এই দৃশ্য সহ্য করতে পারলোনা, জ্ঞান হারালো।
সুখেন জামাটা তুলে এনে মাহীর শরীরটাকে ঢাকা দিলো, তারপর ছোট্ট শরীর টাকে বুকে চেপে বুকফাটা আর্তনাদ করে উঠলো।
.......
"এ তোরা কি করলি? আমার বোনটাকে..হা ভগবান, মা চন্ডী... আমি... আমি এখন কি করবো? পুলিশ...পুলিশকে একটা ফোন করতে হবে..."
"একদম নয় দীপায়ন, এই
ভুলটা করিস না, তোকে শেষ করতেও আমাদের হাত কাঁপবেনা, আর তোর দিদিকেও আজ থেকেই সিঁদুর মুছে ফেলতে হবে, তার চেয়ে আমাদের পালানোর ব্যবস্থা কর।''
আতঙ্কিত দীপায়ন বলে, "কিন্তু, তোরা চলে গেলে এমনিই পুলিশ তোদের সন্দেহ করবে, তাছাড়া ফার্স্ট ট্রেন সেই ভোর চারটে তে, তোদের আজ এখানেই থাকতে হবে।"
"ঠিক আছে, কিন্তু তুই সবাইকে বলবি,আমরা অনেক আগেই শুয়ে পড়েছিলাম, নাহলে মনে রাখিস,তোর জামাইবাবু...."
......
মেয়ের হাতে কি যেন একটা রয়েছে, মুঠি খুলে দেখে একটা লাল সিল্কের কাপড়ের টুকরো, টুকরোটা খুব চেনা লাগে সুখেনের... কোথায় যেন দেখেছে!
মনে পড়ে কোথায় দেখেছে, দীপের বন্ধু লাল পাঞ্জাবি পরে, ওকে একটু বরফ আনতে বলেছিলো, খাটের কোনায় ঠোকা লেগে নাকি ব্যথা পেয়েছিলো....
মেয়ের কাছ থেকে উঠে এসে বাড়ি আসে সুখেন, ট্রাঙ্ক খুলে কুকরিটা হাতে নেয়....
কিছু মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই...
*****
নতুন জামাটা বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছে ছোট্ট মাহী, সুখেন ঘুমন্ত মেয়ের মাথায় একবার আদরের হাত বুলিয়ে দিলো।
"জামার জন্য যা কান্নাকাটি করলো কদিন... স্বপ্না দেখো, জামাটা কেমন আঁকড়ে ধরে আছে!"
"অতো প্রশ্রয় দিওনা বুঝলে,ওকে বুঝতে হবে,ও গরিবঘরের মেয়ে, চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায়না!"
"আহা, অমন বোলোনা, আমাদের তো এই একটাই মেয়ে, আর ও তো সেভাবে কোনোদিন বায়নাও কিছু করেনা, তুমি যাই বলো, আমার মেয়ে কিন্তু খুব বুঝদার, এখন, পাড়ায় এত বড় বাড়িতে যাবে... দুদিনই তো নেমন্তন্ন...যেতে তো হবে! "
সুখেন জানে, মেয়ের এই আব্দার রাখার জন্য তাকে এই একমাস ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে হবে।
দুটো গ্রাম পরেই তো ওর স্কুল, এই একমাস ও বাসে না গিয়ে হেঁটেই চলে যাবে, নিজেকে বললো, এইটুকু তো রাস্তা, ছোটবেলায় তো দিব্বি যেতাম, এখনো ঠিক পারবো,শুধু হাঁটুর ব্যাথাটা...ধুর, ওসব ভাবলে ব্যথা আরো বেশি পেয়ে বসবে!
নির্জনপুর গ্রামে প্রায় সাত পুরুষ ধরে সুখেনদের বাস, গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই সম্পর্কে ওদের জ্ঞাতি বাড়ি।
মোটামুটি সবাই অবস্থাপন্ন হলেও সুখেনদের বাড়ি সেই তুলনায় খুবই দরিদ্র।
অভাবের জন্যই মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও সুখেনের উচ্চশিক্ষা হয়নি, পাশেই একটা গ্রামের স্কুলে সুখেন শিক্ষকতা করে।
নিজের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো,সুখেন মেয়ের মধ্যে দিয়ে পূরণ করে নিতে চায়। মাহী লেখাপড়াতেও বড় ভালো।
......
"আরে বাবা, বলছি তো, চল না, দেখবি খুব মজা হবে। দিদির আব্দারে ডিজে আনতেও বাবা রাজি হয়েছে''
"ধুর, ওই নিরামিষ বিয়ে নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই"
"নিরামিষ কেন হবে! দুবেলাই পুকুরের টাটকা মাছ থাকবে, তাছাড়া মাটনও থাকবে তো!"
"তুই তো জানিস ভাই, তিনটে 'ম' নিয়েই আমার জীবন! সেখানে ওই একটা 'ম' দিয়ে কি হবে বল!", অর্ঘ্যর কথায় কেমন থতমত খেয়ে যায় দীপায়ন, "ধুর কি যে বলিস, ওটা আমার গ্রাম ভাই, আর আমার নিজের দিদির বিয়ে! তবে তোদের যদি যেতে না ইচ্ছে হয় বরং থাক..."
"এই কেন ওকে খেপাচ্ছিস? তুই চিন্তা করিস না দীপায়ন, আমরা ঠিক পৌঁছে যাবো। তুই কিন্তু আর দেরি করিস না, ট্রেনটা মিস করবি তাহলে।'
"হ্যাঁ, আমি তাহলে এগোলাম।তোরা চলে আসিস সময়মতো।"
"ওকে, বাই!"
......
"মা, রাহীদিদি কে একদম রাণীর মতো লাগছে বলো!"
"হুম, আমাদের কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে মাহী, তোর বাবার শরীরটা ভালো নেই ।"
"না মা, আমি এখন বাড়ি যাবোনা, আমি গান শুনবো, তোমরা চলে যাও, আমি পরে যাবো।"
"বায়না করেনা মাহী, গান তো তুই বাড়ি থেকেই শুনতে পাবি, দেখছিস তো কত জোরে জোরে গান হচ্ছে।"
"মা, সবাই তো আছে, দেখো, পিউ, রুমি, টুপাই সবাই আছে। না আমি এখন যাবোনা,তোমরা চলে যাও।"
"জেদ করিসনা মাহি, রাত দশটা বাজে...আচ্ছা বেশ, একটু পরেই চলে যাস যেন!"
"হ্যাঁ,মা"
....
জামাকাপড়ের আড়াল থেকে হুইস্কির বোতল দুটো বার করলো অর্ঘ্য।
"এই দাঁড়া, আগে দরজাটা বন্ধ করি, এখানকার যা সব নমুনা , কেউ দেখলেই কেস খেতে হবে শালা!",সায়নের কথায় সবাই হো হো করে হেসে ওঠে।
অনিক বলে, "ভাই, একটু চাট হলে জমে যেতো, দেখনা একটু মাছভাজা টাজা..."
"ওসব ছাড় ভাই, আপাতত একটু বরফ পেলেই বাঁচি.."
......
"হ্যাঁ গো, শুনছো, রাত তো এগারোটা বাজে, মেয়েটা কেমন গানে মজে আছে দেখো, এখনো বাড়ি ফেরার নাম নেই, তুমি কিন্তু বাপু মেয়েকে খুব প্রশ্রয় দাও, আজ বাড়ি এলে একটু শাসন কোরো...."
"আহা, মেয়েটা গান বাজনা ভালোবাসে, তা আমাদের গাঁ গঞ্জে এসব আর রোজ রোজ কই হয়, এখনো তো গান চলছে , সে তো আমরাও শুনতে পাচ্ছি, চিন্তা কোরোনা, চলে আসবে ঠিক...''
......
"এই টুপাই, বাড়ি যাবি?"
''আমি মায়ের সাথে যাবো, তুই চলে যা মাহী"
"আমার একা ভয় করছে.."
এদিক ওদিক ঘুরে মাহী দেখতে লাগলো, ওই যে দীপদাদা...
" দীপদাদা, আমাকে একটু বাড়ি পৌঁছে দেবে?"
"আমি যে একটু ব্যস্ত আছি মাহী। তুই অন্য কাউকে বল না"
মাহী ঘুরে ঘুরে কাউকেই পায়না...
"এই কোথায় তোর বাড়ি? চল, আমরা পৌঁছে দিচ্ছি।"
চমকে ওঠে মাহী......ও, এরা তো দীপ দাদার বন্ধুরা! মাহী সানন্দে রাজী হয়ে যায়।
"দাঁড়াও, আমি দীপ দাদাকে বলে আসি!"
"দীপকে বলেছি আমরা, তুই চল"
.....
"কি বলছো তুমি? নেই মানে? এত রাতে মেয়েটা কোথায় যাবে? তুমি সবাইকে জিজ্ঞেস করেছিলে? পিউ, টুপাই.. সবাই তো তখন ছিলো.. ওদের জিজ্ঞেস করেছো?"
"করেছি, ওরা বললো, মাহী বাড়ি ফিরে এসেছে..."
"চলো, আমিও যাই, ও নিশ্চয়ই একা আসতে ভয় পেয়েছে, তাই ওখানেই আছে.."
পাওয়া গেল, অবশেষে মাহীকে পাওয়া গেল...বিয়েবাড়ি থেকে অনেকটা দূরে, একটা পুকুরের পাড়ে, ছিন্নভিন্ন অবস্থায়, ওর নতুন জামাটা ওর শরীরে নেই, একটু দূরে দলা পাকানো হয়ে পড়ে আছে, মাহীর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, শরীরের নিম্নাঙ্গ থেকে রক্ত স্রোত তলার মাটি টাকেও ভিজিয়ে দিয়েছে।
মাহীর মা স্বপ্না এই দৃশ্য সহ্য করতে পারলোনা, জ্ঞান হারালো।
সুখেন জামাটা তুলে এনে মাহীর শরীরটাকে ঢাকা দিলো, তারপর ছোট্ট শরীর টাকে বুকে চেপে বুকফাটা আর্তনাদ করে উঠলো।
.......
"এ তোরা কি করলি? আমার বোনটাকে..হা ভগবান, মা চন্ডী... আমি... আমি এখন কি করবো? পুলিশ...পুলিশকে একটা ফোন করতে হবে..."
"একদম নয় দীপায়ন, এই
ভুলটা করিস না, তোকে শেষ করতেও আমাদের হাত কাঁপবেনা, আর তোর দিদিকেও আজ থেকেই সিঁদুর মুছে ফেলতে হবে, তার চেয়ে আমাদের পালানোর ব্যবস্থা কর।''
আতঙ্কিত দীপায়ন বলে, "কিন্তু, তোরা চলে গেলে এমনিই পুলিশ তোদের সন্দেহ করবে, তাছাড়া ফার্স্ট ট্রেন সেই ভোর চারটে তে, তোদের আজ এখানেই থাকতে হবে।"
"ঠিক আছে, কিন্তু তুই সবাইকে বলবি,আমরা অনেক আগেই শুয়ে পড়েছিলাম, নাহলে মনে রাখিস,তোর জামাইবাবু...."
......
মেয়ের হাতে কি যেন একটা রয়েছে, মুঠি খুলে দেখে একটা লাল সিল্কের কাপড়ের টুকরো, টুকরোটা খুব চেনা লাগে সুখেনের... কোথায় যেন দেখেছে!
মনে পড়ে কোথায় দেখেছে, দীপের বন্ধু লাল পাঞ্জাবি পরে, ওকে একটু বরফ আনতে বলেছিলো, খাটের কোনায় ঠোকা লেগে নাকি ব্যথা পেয়েছিলো....
মেয়ের কাছ থেকে উঠে এসে বাড়ি আসে সুখেন, ট্রাঙ্ক খুলে কুকরিটা হাতে নেয়....
কিছু মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন