শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শমিতা রায় চক্রবর্তী

                 


(১) 

ময়নামতি 
-------------

জানি একদিন  ভোর হলে উড়ে যাবে যাবতীয় জলজ শোক ...
ঘাসের পালকে দু 'এক ছিটে শিউলির ছাপ নিয়ে পাখনা মেলবে  শারদীয় রোদ্দুর ...

শুধু জরির  ফুলতোলা নকশা গায়ে রোদ্দুর যখন  পদ্মবিলে ,  কাশের মাঠে ...ময়নামতির জোড়াতালি সংসারে তখনও  জিওল মাছের মতো চির জাগরূক   এক পাহাড় অনটন .
দূরের মাঠে ঢাকের বাদ্যি , ভেসে আসে আগমনীর সুর ... পৃথিবীর আনন্দরূপ , অথচ ময়নামতির লাল ডুরে   শাড়িতে আবার সুঁচের পর সুঁচের  ফোঁড় ওঠে .

             
                             

(২)

শ্রাবন পেরোলে 
----------------------

ভেঙে পড়া জল পাহাড় নদীর উচ্ছ্বলতা এ শহরে হঠাৎ নিভে যাওয়া যেন ...
বৃষ্টি কুড়োনো মেয়ে মুছে দিয়ে গেছে সবটুকু ...
নদীর আড়ালে তার দুঃখ গোপন যেমন 

বাঁকের মুখে কাশবন দৃশ্যমান হলেই শ্রাবনের অবসর নেবার ডাক আসে ...
শ্রাবনের খুব কাছের মেয়েটির বিড়ম্বনা ...শূন্য কদম ডালের কাছে দিন জমা রেখে কাশের বনে পা বাড়ায় .

(৩)

মেঘের সঙ্গে আড়ি ভাব 
--------------------------

মেঘের সঙ্গে নাম পাতাপাতি খেলায় আমার অভিমান জমতো রোজ ...
নৌকার ভাঁজে টলোমলো সুখ আর ঝাঁপিয়ে নামতো সন্ধ্যা .
দু একটা সন্ধির গল্প  অপেক্ষা করে ফিরে  যেত রোজ  ...কোঁচড় ভর্তি আড়ি নিয়েই ঘরে ফেরা অগত্যা 

*  *  *  *  * 

ভাবের ঘরে জমা উত্তাপ আজও আঙ্গুল  ছুঁতে চায় ...অথচ মেঘ সরে গেছে কবেই ! 

                                  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন