(১)
রাগাশ্রয়ী
————
আমার ভোরবেলাটুকু তোমায় দিলাম…
তুমি ইয়েমেনের সুর আর ঝংকারে
তাকে ইমনে সাজিও
সন্ধ্যা নিবিড়ে খানিক কল্যাণ লেপে দিও
তার জ্যোৎস্না ধোয়া কপালে…
ঝিলের জলে ঝিলমিল বিকেলের ছায়া,
ইদানীং গেঁথে রাখি দিলরুবার মিহি তারে
নিজের ইচ্ছেমত সুর তুলি অন্ধকারে
নৈঃশব্দ্যের অন্তরালে,ভাবনার নরম আলোয়
শুদ্ধ বেহাগে যদি তুমি নাই আসো,
খাম্বাজে পা ফেলো যত্নের মসৃণ ধৈবতে
ভোরটুকু নেবে তো,ভৈরবীর কোমল ঋষভে !
ছুঁয়ে থেকো সারাবেলা,
আমার একলা দিনের ঠুমরী নয়তো গজল হয়ে—
(২)
ষোলোআনাই চাই
————————
মেঘ মরসুমে ভিজতে গেলে দ্বিধা
তুই ভাবছিস মনগড়া অসুবিধা !
বৃষ্টি ছোঁয়ার আবেশে পাই তোকে
আলিঙ্গনের নিবিড় স্পর্শালোকে ;
মেঘ ডিঙোনো ভিনদেশী এক হাওয়ায়
জল ছেঁচে নিই ছোঁয়াচে গা সওয়ায়
তুই কি তখন বিদেশিনী ভোরে
বালিশ ভেজাস মনখারাপের তোড়ে..…
ছাদ ভাসানো টাপুর টুপুর ফোঁটা
স্পর্শমেদুর মনে শিউরে ওঠা
বৃষ্টি-আদর ছোঁয়ায় দোলে বকুল
ভাবনা আমার তোর ছোঁয়াতেই অকূল ;
শতেক দ্বিধা ,ভিজতে চাওয়ার মাসে
আনমনা মন , উদ্বেল তোর সুবাসে…
মনগড়া নয় সত্যি পুরোটাই
স্পর্শে তোকে ষোলআনাই চাই—
(৩)
উৎসব
———-
আশ্বিনের আকাশ এখন শারদলগ্না
রোদ্দুরে উৎসবের রোশনাই
ভোরের শিশিরস্নাত অপরাজিতার
আত্মনিবেদনের স্তোত্র শুনতে শুনতে
আমি নৈবেদ্য সাজাই ;
সাজিতে ঝরা শিউলির কাব্য
মালা হবার অপেক্ষায়…
অপেক্ষার হাত ধরে পিছু হাঁটি
নোনা পেছল রাস্তায় ;
শিউলি আজও ফোটে, ঝরার জন্য
সেদিনও ফুটত
তবে ঝরাটুকু ছিল ভরপুর প্রাপ্তি
এক মধুময় প্রতীক্ষা—
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন