শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

জয়ীতা ব্যানার্জী

              


স্মৃতিতুতো জলসায়



অনেক আগের কথা' ― বিস্ময়সূচক চিহ্ন। পাশে
কিছুটা অধিক শ্বাস, স্মৃতিনির্ভরতা, জোড়াতালি
পাখি তুমি গতজন্মে জানালারই ছিলে? হুটারের
তীব্র শব্দে প্রতিবার জেগে ওঠা নির্জন, বিচ্ছিন্ন
যেমন শোকের শেষে মানুষ একলা হয়, ঘিরে
থাকা আত্মীয়রা একে একে ফিরে যায় আলোমুখী
পৃথিবীর দিকে। তারা স্বজনহারার ডাক আরও
কয়েক প্রজন্ম ধরে বহন করবে বলে ক্রমে
পাথরের মতো স্থির, আগুনের মতো নিঃস্বপ্রাণ
তোমাকে একাটি ফেলে চলে গেছে। তারও যুগ পরে
তুমি এলে জানালায়। দেখো, আমি সে পালিয়ে যাওয়া
প্রান্তিক ও উদাসীন। আতিথ্যজ্ঞানেও নিষ্ঠুর, ম্লান

এই প্রত্যাশিত শীত, কোলাহল থেকে কিছু দূরে
স্বভাবে রোদের কাছে হাত পেতে বসি

পুরনো লেখার খাতা, শুকনো পাতার ঘ্রাণে
তোমাকে মুহূর্তে পাওয়া এবং হারিয়ে ফেলা
দোপাটি চারার মতো সাবলীল মনে হয়
যেন ভ্রমণ, চুলের শুস্কতায় নির্বিবাদী তোমার আঙুল

স্মৃতি স্পষ্টতর হয় চোখ বুজে এলে

শোক, যাকে একান্তই আপন ভেবেছি সেও দেখি
সময়ে সময়ে ম্লান হয়ে আসে অবশেষে; শুধু
কয়েকটি স্মৃতি যেন শেষ আষাঢ়ের ঝমঝম
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হেঁটে যায়, সদর পেরোয়
প্রবল অনীহা যেন প্রদীপের এতটুকু জ্বলে
থাকবার কালে। আলো ফেরেনি। ফেরে না কোনদিন


----------

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন