রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

সোনালী চক্রবর্তী

                        



তাহতাজিজ






আয়াত ভুলে যাবে এতটা জুঁই এঁকে দিতে ইচ্ছে করে হৃদিতে- সিরোজেম উড়ে যাওয়ার স্বরে উচ্চারণ করলো স্বধা। তার থেকে সায়রের দূরত্ব এই মুহূর্তে বুদ্বুদের ভিতরের শূন্যতার সঙ্গে স্বাভাবিক জলীয় বাষ্পের ঠিক যতটুকু অনুমিত। বারো বছরের জন্মদিনে ॐ আকৃতির পেনডেন্ট দেওয়া যে চেনটি শ্রী তাকে পরিয়ে দিয়েছিলো, আঠারোর পর থেকে আর কখনো তা খুলে রাখার সুযোগ পায়নি যেহেতু সে সেই সময় থেকে শ্রীনজরের কাজললতার ভূমিকায়। ভুলেই গিয়েছিলো এতোদিন নিজস্ব রক্ত চামড়ার বাইরে আলাদা করে সেটির অস্তিত্বের কথা, যেভাবে মরচেরা ধীরে পরমাত্মীয় (সম্ভবত একমাত্রও) হয়ে যায় পরিত্যক্ত যে কোনও লৌহ সম্পদের। সায়রের আঙ্গুল সেই ॐ কে সরিয়ে দর্পণের অবস্থান দেখতে ও দেখাতে চাওয়ায় শতভিষার আদেশে চরাচর থির হলো ক্ষণ কয়েকের স্বার্থে। 




- "তোর এখানে আছি আমি, এখানে। কেন? কেন এনেছিস? কেন রেখেছিস? এবার মুছে দে। আমি ভয় পাচ্ছি। অপরাধী হয়ে গেছি। তোকে অস্বীকারের অজুহাতটা তো বিছাতে দে, অন্তত এবার। কিছু বলিস নি। একটা অক্ষরও না। তিরিশটা দিনের প্রতি সেকেন্ডে আমি অপেক্ষা করেছি সূক্ষ্ম চ্যুতির, সামান্য সূত্রের। পাই নি। এভাবে আমায় হারিয়ে কী পাচ্ছিস তুই? আজও এখানে দাঁড়িয়ে আছিস পাথরের মতো, ঠোঁটের এই ভাস্কর্যকে হাসিই তো বলে, না? কোথায় জল দেখতে চাইছি আমি? মেঘই জমেনি এক বিন্দু। নিশ্চিন্হ করে ফেলতে ইচ্ছে হয়। কে জানতে পারবে বল? যে কোনো ডাক্তার আদতেই নিপুণ খুনী হতে পারে যদি সে চায়, ন্যূনতম প্রমাণও থাকবে না। খাতায় কলমে আমি এখন ষাট কিমি দূরের হাসপাতালে অন ডিউটি। কে বিশ্বাস করবে, আমি নিজেও কি করবো, পরের দিন কারোর ডিসচার্জ সার্টিফিকেট লিখতে হবে বলে মাঝরাতে ড্রাঙ্ক সায়র সেন নিজে এক ঘণ্টা ড্রাইভ করে এসে পৌঁছেছে নিজেরই নার্সিংহোমের পাশের পোড়ো জমির অবসলিড স্পেসে? অথচ কেউ তাকে ডাকেনি। সে বাধ্য হয়েছে। আমি ভুডু মানিনা। এই পৈশাচিক আকর্ষণের ব্যাখ্যা কী? উত্তর দে।" 




--"পেনডেন্ট আমার কতটুকু স্কিন তোর চোখের আড়ালে রেখেছিল যে এতো ঈর্ষা এলো?"



---"স্বধা..."




----"শুনতেই তো চাইছিস, তাহলে কেঁপে উঠলি কেন?" 




-----"উত্তর লাগবে না। চুপ কর। একটা মাস আমি ধ্বস্ত নিজের সঙ্গে লড়তে লড়তে। তোকে আমি কী দেব? কিছুই না। সেই অধিকার আমার নেই ই কিন্তু সে কৈফিয়ত আমি কাকে শোনাবো? যার নিশ:ব্দ উথালপাথাল আমি প্রতিটা মুহূর্তে নিজের বেড়ে যাওয়া শ্বাসের গতি দিয়ে টের পাই। বলেছিলাম আমার হাতে তোর বাবার সারভাইভ্যাল চান্স পাঁচ শতাংশ। এত অতলান্ত নির্ভরতা কীসের তোর যে তা জেনেও তুই বন্ড সই করলি?  সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মন্ত্রীমহল অবধি নার্সিংহোমের গাফিলতি নিয়ে আক্রমণের সময় সমস্ত দায় নিজের উপর নিলি কেন তুই? কীসের কৃতজ্ঞতা এতো তোর? কেন আমায় নিয়ে এই রেঞ্জে তুই সেন্সিটিভ?"




------------- " ময়াল খুঁজছিলি না? আলমুস্তাফা বলেছিলো- 'আদিম সর্পটি নিজের খোলস থেকে নির্বাণ পায়না বলেই প্রতিটি প্রেমকে নগ্ন ও নির্লজ্জ দেখে'। আর আজ স্বধা তোকে বলছে- 'সেই সুপ্রাচীন সর্পকেই তুমি প্রেম নামে চেনো অনিবার্য নির্বাণ আঁকা যার প্রতিটি খোলসে'। "





 --------- "নীলাদ্রি স্যার তোর কাছে কী আমি জানি। যখন প্রথম বলেছিলি "You belong just next to the Almighty", আমি আমার গুরুত্ব টের পেয়েছিলাম কিন্তু তোকে আঘাত দিয়ে হলেও সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে চাওয়ার সময় যখন ধাতব ছুরির মতো কেটে কেটে জানিয়ে দিলি-  "ঈশ্বর মানে বুঝিস? যার কাছে প্রত্যাশার অধিকার মাত্র থাকে কিন্তু অভিযোগের নৈকট্য থাকে না। বিধি নির্ধারিত। ঈশ্বরনির্মিত হওয়ায় তিনি নিজেও তা ভাঙতে পারেন না" - নি:স্ব হয়ে গিয়েছিলাম- এই ভার কী করে ওঠাব? এই প্রবল সমর্পণের?" 





---------"এতো যন্ত্রণা পাচ্ছিস...সিগারেটটা ফ্যাল। ভাঙা শেডের পুরনো ধুলোর উপর চকচকে নতুন ছাই অশ্লীল লাগে। তোকে বরং ফিল্মি ডায়লগ শোনাই। মনকে সারা । আফটার অল গ্যারেজ এটা।কোনটা বলি? 'হর ইশ্ক কা এক ওয়াক্ত হোতা হ্যায়। ও ওয়াক্ত হামারা নেহি থা ইসকা মতলব ইয়ে তো নেহি কে ও ইশ্ক নেহি থা'- নাহ, এটা বছর উনিশ কুড়ি পরে বলবো যখন তোর মেয়ে ডাক্তারি পড়বে, তোদের তিন পুরুষের ঐতিহ্য অনুযায়ী। শুধু 'পুরুষ' এর জায়গায় 'নারী' বসাতেই নাহয় ডাক্তার হলো সে, কী বলিস? তাহলে এখন কী বলা উচিত? 'মুহব্বত হ্যায় ইস লিয়ে জানে দিয়া, জিদ হোতি তো বাহো মে হোতা' - পারব না সায়র। এই তত্ত্বে আমি বিরোধ রাখি। যেতে দেওয়ার আমি কে? কোথায়ই বা যেতে দিলাম? কে কাকে যেতে দিতে পারে? তুই বলবি তোর হাতের রেখায় আমি নেই। আমি তোকে গালিবী অহংকার ছুঁড়ে দেবো- 'হাতো কে লকিড়ো পে মত যা, এ গালিব, নসিব তো উনকি ভি হোতি হ্যায় জিনকে হাত নেহি হোতে'। এইভাবে এই পরিত্যক্ত দেওয়ালেরা তর্কের পারদে আতুর হয়ে উঠবে, ধীরে শরীরী মর্ফিয়ারা সংশ্লেষের অন্ধকার গন্তব্যে এগোবে। সূর্য উঠলে চরাচর জুড়ে অজস্র ছাই- অনুশোচনার, গ্লানির, ক্লান্তির। আমি এত নরম সওদা করিনা রে। যেভাবে কোথাও কোনো প্রমাণ নেই আজ এই মুহূর্তে তুই ঠিক কোথায়, ঠিক সেভাবেই স্বধা কোনোদিন কিছু উচ্চারণ করেছে কেউ শোনেনি- এই ই সত্য। 




------"ধ্বংস এতো ভালোবাসিস?"




---------------"কাল সাক্ষী সায়র, কোনোদিন কোনো ভালোবাসা ধ্বংস গাঁথেনি। তা আনে কেন্দ্রটিকে অধিগ্রহণের দুর্দম স্কারলেট জিহাদ। ইদানিং সবকিছুরই 'লাইট' ভার্সন হয় তো, ভেবে দেখিস 'ধর্ষণের কারণ পোশাক' কথাটা 'যাবতীয় মহাযুদ্ধের কারণ কোনো না কোনো নারী' এই চিন্তনের লাইট এডিশনটা কিনা। "রামায়ন"-এর প্রায় তিনশ'টি সংস্করণের মধ্যে সর্বাধিক পঠিত বা প্রচারিত নিশ্চয়ই বাল্মীকিরটা? রাম-সীতার প্রণয় সম্ভাষণগুলো পড়ে ওঠার ঘোর কাটিয়ে যারা যুদ্ধশেষে পায়ে হেঁটে অশোকবন থেকে ফিরতে বাধ্য হওয়া কুললক্ষ্মীকে বলা পুরুষোত্তমের যুদ্ধের উদ্দেশ্য সম্বন্ধীয় মর্যাদাঘন বক্তব্যে পৌঁছতে পারেন, অবশ্যই জানেন সেটির থেকে অগ্নিপরীক্ষা অনেক সম্মানজনক। "মহাভারত" নিয়ে কী আর বলি? ছেলেভুলানো শাক দিয়ে প্রকৃত প্রস্তাবের মাছকে ঢাকার চেষ্টা যে কী প্রকট রে এখানে। স্পষ্ট লেখাই আছে ভিক্ষাভাগ রূপক মাত্র। অর্জুনের সঙ্গে আসা কৃষ্ণার দিকে বাকি তিন পাণ্ডবের দৃষ্টির নির্লজ্জতা দেখে ধর্মপুত্রের বুঝে নিতে পলমাত্র লাগেনি, যদি এই নারী তাদের মধ্যে শুধু একজনেরই অঙ্কশায়িনী হয়, কৌরবের প্রয়োজনই পড়বে না, না ধর্ম নামক রসিকতার, মহাযুদ্ধ আসন্ন আর আর তা পাণ্ডবগৃহেই। অতএব বাঁটোয়ারা ঘট স্থাপন করে পঞ্চপল্লব দিয়ে শান্তিজল ছিটিয়ে দাও। অপরাধ তো দ্রৌপদীর রূপেরই। ঠিকই। অথচ সে অবাঞ্ছিত। পাঞ্চালরাজের পুত্রকামনার যজ্ঞ থেকে উত্থিত বাইফারকেশন মাত্র, তৈল শোধনাগারে যেমন ভেসলিন। আহা এমন বায়াসড হচ্ছি কেন ভারতখণ্ড নিয়ে। ট্রয় মনে পড়ছে। অন্ধ সে মহাকবি বিরচিত আদিতম দুটি মহাকাব্যের জন্ম দিয়েছিলো সে রণ। হেলেন কারণ ছিলো তার আদৌ? উত্তর শুধু স্ক্যামেন্ড্রসের ঢেউ আর একিলিসের গোড়ালি জানতো। সেই কবে লিখেছিলাম- মিথ মানে অর্ধসত্য চুপকথার রূপসী বিনুনী। কই প্রামাণ্য নথিনির্ভর বিশ্বযুদ্ধগুলো নিয়ে তো কথা হয়না। তাদের ধ্বংসপ্রভাবকে ইগোলোসাইজ করা যায় না বলে? শোন সায়র, বডি শেমিং এটাও। যেভাবে খুঁত কেউ ইচ্ছেয় নিয়ে জন্মায় না বলে বিকৃতি নিয়ে ব্যঙ্গ অপরাধ ঠিক সেভাবেই কেউ নির্বাচন করে নিখুঁত হয়ে আসেনা বলে তার সৌন্দর্যকে অপরাধী করা পাপ। কী সহজে বলে দিলি ধ্বংস ভালোবাসি। ধ্বংস আসবে কেন? ভালোবাসা কি তোর কাছেও অধিকারের দাসত্বনির্ভর অসভ্যতা? ধারণ নেই? শুধুই প্রদর্শন অথবা সাম্রাজ্যস্থাপন? সে সমুদ্রকে আমি 'মহা' বিশেষণ দেবো কেন যে তার  ঝঞ্ঝাকে গর্ভে রাখতে পারেনা? সে বৃক্ষকে আমি 'প্রাচীন' স্বীকার করবো কেন সহস্র কাঠুরিয়া যার সামনে নতজানু হয়ে বসেনি? ভালোবাসাকে নারী পুরুষ নির্বিশেষে আবহমান শুধু হিমদুর্বল করে রেখে দিলো, তাকে আগুনের ব্যবহার শেখালো না। দহনে সব প্রত্যাশা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে পড়ে থাকবে নিখাদ শুদ্ধ বোধটুকু- আমি ভালোবাসি- শুধু এই বোধ নূপুরের মতো ঘিরবে চৈতন্যের মেহফিল- "ঘিরি ঘিরি ঘিরি নাচে"- যাবি সাবিত্রী বাউলের আখড়ায়? দেখ, এই তোর ঠোঁট, কাঁধ, গলা- রক্তাক্ত করে দিতে পারি আমি এই মুহূর্তে। নখ দাঁত নেই আমার? কিন্তু তাতে এই অহং কি আমার আর থাকবে যে তোকে এতো তীব্র চেয়েছি, তুচ্ছ কিছু দিয়ে ম্লান করে ফেলিনি? পারবি এমন ভালোবাসতে? "






------" বাসিনি? রাতের পর রাত স্যারের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় পিরিডয়িক ক্র‌্যম্পের পেন নিতে না পেরে যখন মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলি ব্যালকনিতে, কে তুলে নিয়ে এসেছিলো নিজের হাতে ঠিক পনেরো মিনিটের মধ্যে? কোনোদিন তোর সন্দেহ হয়নি নার্সিংহোমের বাকি একজনও ভোরের আগে যা জানতে পারত না, আমি কী করে জানলাম? পাঁচটা নার্সিংহোমের অজস্র উইং আর ফ্লোর, রুম, কেবিন জুড়ে হাজার খানেক সি সি আছে স্বধা, পঁচিশ জন অবসার্ভার আছে সব মিলিয়ে সেগুলোর জন্য, একমাত্র ইডেনের কেবিন ওয়ান বাদে। সেটার লিঙ্ক আমার ফোনের সঙ্গে করা। আমার কথা ছাড়, আর কার সম্মানের কথা ভেবেছিলাম সেই সময় আমি? বিধায়ক মা, ডাক্তার বাবা, প্রফেসর বৌ- সমাজ সংস্কার সর্বস্ব ভুলে গিয়েছিলাম। ইডেনের কোনো স্টাফ তার আগে চরম ইমার্জেন্সিতেও আমায় ঐ চেহারায় দেখেছে? সেদিন চোখ খুলে প্রথম আমার মুখটাই কি দেখতে পাসনি? তখনো তোর বরফের মতো আঙ্গুলগুলো আমারই মুঠোয়। হ্যাঁ, তুই সেন্সে ফেরার পর আর এক সেকেন্ডও দাঁড়াইনি, সেটা বলতে পারিস। "




---------"এক্স্যাক্টলি এটাই বলছি। লোকলজ্জাকে উপেক্ষার সায়র যতটা সত্য আমার কাছে ঠিক ততটাই দামি মুহূর্তে নিজেকে সংবৃত করে নেওয়া পুরুষটি। বলেছি না, নরম সওদা করি না? আই রিপিট, তোর উচ্চতা আর আমার ধারণ- বিকাউ নয়। তোর দ্বন্দ্ব- সংশয়- ভয় নির্ধারণ করে দিচ্ছে যে নীতিমালার শৃগালটি, যে তোকে শেখাচ্ছে স্বধা ধ্বংস আনবে, তাকে জানিয়ে দিস, স্বধা বলেছে- প্রতিটি হৃদয় নিপুণ ও অসংখ্য প্রকোষ্ঠ নির্মিত মহাকাশ। পতঙ্গ তাকেই নির্মাণের অনুকরণ করে মানুষ যা নিয়ে জন্মায়। এখানে কারোর প্রতি অনুভূতি অন্য কারোর অরি বা মিত্র হওয়া তো দূর, সম্পর্কিতই হয় না। যে যার নিজস্ব স্বাতন্ত্রে, স্বাভিমানে, স্মৃতিতে রাজ করে। শম আর দমের শাসন যদি আয়ত্বে আসে, রিপুযন্ত্রটি বড় যত্নে রামধনুর চাবি দিয়ে দেয়। একটিমাত্র রং দিয়ে বৈরাগ্য বা বাসর সাজায় মানুষ তার চামড়ার শরীরে। আকাশ-জল-বৃক্ষ- ঈশ্বরের নগ্ন শরীরের কোনো অংশের সঙ্গে তার সাযুজ্য আছে কি? নেই, থাকা সম্ভবও না কারণ তা সিদ্ধ। মানুষও পারে যদি নিজেকে উত্তীর্ণ করে। তুই হ, আমি আছি। দেখ, দক্ষিণ মধ্যমা দিয়ে চন্দ্র লিখে দিলাম তোর রুদ্রচিন্হে। আজ থেকে তুই স্বধার ধারণের অংশ। যখনই খুঁজবি, চোখ বন্ধ করলে এখান থেকে শুনতে পাবি-



"... as love crowns you so shall he crucify you... Love possesses not nor would it be possessed... For love is sufficient unto love... to bleed willingly and joyfully" "

1 টি মন্তব্য:

  1. এই প্রথম এমন দীর্ঘ এবং গভীর সংলাপ এলো সম্ভবতঃ
    পড়লাম, আবার পড়ব। পড়তে হবে।

    ব্যক্তির মেধা, ধারণ ক্ষমতা বা জ্ঞান নিজস্ব। তার কতটা প্রকাশে আসবে, তাও নির্ভর করে।
    কিন্তু ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রতিক্রিয়াশীল এবং স্পর্শকাতর হলে... একসময়ে সহ্যের বাঁধ ভাঙে। ইমশান ইরাপ্ট করে।
    এইবারের লেখা চরিত্রদের একটা ইমশনাল ইরাপশন পেলাম। মনে হল...
    চরিত্ররা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে নেয়। একলা মানুষের মন, নিজে নিজের সঙ্গে কথা বলে। ইরাপশন আলাদা আলাদা আমি-দের মধ্যেই একটা ঝগড়া লাগিয়ে দেয়। তর্ক লাগিয়ে দেয়। আমি-ই আমির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেয়।

    উত্তরমুছুন