কা করু সাজনি আয়ে না বালম
অশ্বত্থের গায়ে ঝুরি নামানো সন্ধে, উড়ে যাচ্ছে শুকনো পাতার শোক। উদাসী সন্ন্যাসীর কালরাত্রি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে আদিম এক শিকড়ের কাছে।
হাতের নাগালে যা কিছু তার এক পঞ্চমাংশও যদি মাটির হয় অথবা গাছের হয় অথবা নদীর হয়, আমি চুলভেজা জলে লিখে রাখব 'জোনাকিপোকা'।
হয়ত এসব শুনে পথভ্রম হবে বাগদি মেয়েটার , হয়তবা আগুন খুঁজবে নাবিক। এতকিছুর পরও চায়ের দোকানে বিড়ি ধরিয়ে বরফ লিখবে যারা তাদের সব্বার নামে একটা করে পৌষদিন বিলি করব ভেবে এগিয়ে যাব যে জলাশয়ের দিকে...
খরাক্ষণ চলছে, মাছ আর মৌমাছিরা অজ্ঞাতবাসে। অববাহিকায় বিস্তর মেঘ আর জমানো ঘরবাড়ি। যারা এ রাস্তা ধরে ধানক্ষেতে যায় খালি পায়ে তাদের নখে ধুলো লেগে নেই।বরং ঘামের নুনটুকু রসায়নবিজ্ঞান বইয়ের প্রচ্ছদে মিলেমিশে আরেকটু উলঙ্গ হয়ে গেছে
বন্দর ভেঙে আসছে ভাবছ? ভাবছ এবার হুড়মুড়িয়ে পড়বে সযত্নে গুছিয়ে রাখা কাচের বাসনপত্তর? পূর্বে তাকাও। জাফরান ছড়ানো তোমার পোশাকআশাকে উল্টে গেল সূর্য। এবার কী হবে? বয়ে যাচ্ছে যাবতীয় আলো। ধরে রাখতে হবে। সঞ্চয় করতে হবে সবটুকু বিছিয়ে, কিন্তু ঘটিবাটি চালচুলো আর আশ্রয় ছাড়া তো কিছুই নেই।
গভীরে লেগে থাকা যতটুকু ক্ষত, দাগ তো ততটা দৃঢ় নয়,তবু সেটুকু ঘিরেই অকাল বসন্ত, ধুয়ে ফেলা চিহ্নে মাটি আর ভৈরবীর পূর্বস্পর্শ। কাদামাটি গড়া মূর্তির নিমেষে উধাও হওয়া বা জলের তোড়ে ফিরতি পথের পায়ের খড়ম... এটুকুই তো সন্ন্যাস
চৌরাস্তার মোড়
বনলতার সমর্পণ
এবং এযাবৎকালের পরিক্রমা
আপনি বলেন, "আভি না যাও ছোড়কর কে দিল আভি ভরা নেহি"
আমি দুয়ারে সর্ষে ছিটাই, রেডিওতে ঘোষণা হয়...আয়ে না বালম কা করু সজনী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন