সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

অনুপম দাশশর্মা



অনুপম দাশশর্মা

চারপাশে নিঃসীম অন্ধকার ছড়িয়ে পড়লে
শরীর হয়ে ওঠে ভারহীন
বিছানার শরীরে ঢাকা নরম চাদর তখন
পরম আদরে মানুষের শরীরের
ভার সহজে ধারণ করে
চোখের পাতা হাত বুলিয়ে দেয় কর্ণিয়াকে
আঁধার চিরে তখন ফুটে ওঠে স্বচ্ছ আলো
সে আলোয় ঘুমন্ত মানুষ হেঁটে বেড়ায়
গুপ্ত ইচ্ছের নানান খোলসে।
,
এক অদ্ভুত সৃষ্টি, অবচেতনার পোষাকী
নামে জেগে ওঠে স্বপ্ন।
.
যা ঘুমিয়ে থাকে সচল পৃথিবীর বুকে
সেই সজাগ দৃষ্টি সারাদিনে যা কিছু
সঞ্চয় করল সাক্ষী রেখে, দিবালোকে
তাকে ছাড়িয়ে এক মায়াময় অন্য পৃথিবীর
রূপ রসে আত্মাকে স্নান করিয়ে
দ্বিতীয় ঈশ্বর উপহার দেয় স্বপ্ন।
.
অসম্ভবের দুনিয়াদারি করার এই ক্ষমতা
কোন আন্দোলনের ফসল নয়
নয় কোন মেধার সিংহরাশি
ঊষার আদুরে আঁচলের শুধু নাড়া পড়লে
এক একটা স্বপ্ন সাময়িক বাসি।
-----------------------------------------------------------------

চিহ্ন..
.
লুঠের চিহ্ন নিয়ে বুকে, দেশ কতটা আছে সুখে
তবুও ভোর হয় পাখি ডাকে
ভাস্বর হওয়া রোদ-বুকে
.
নিজস্বতা শূন্য বিত্ত যেখানে ক্ষমতার মুঠোয় ভাসে চাঁদ
দলিলে দেখছেো শীলমোহরের ছাপ?
ওটাও রাজস্বের ফাঁদ
.
দেশ মন্ত্রমুগ্ধ অনুদান অনুপানে
কত জ্ঞানী গলে গেল খাদে
বিপ্লব অক্ষরে ঘুমায় আর শ্রমিকের লাশ-কাহিনী
কাক বিষ্ঠায় মূর্তিতে কাঁদে
----------------------------------------------------------------

নির্জন প্রহর
.
ভরা শীতেও জ্বলে ওঠে তুঁষ, বিশ্বাসের মুখ হয় মেঘলা
মায়াজালে সবই কি মায়া হরিণ, নিভৃতে ভালো
থাকি একলা
সেই যে কোন এক নীল বসন্তে গোলাপ বাগানে
লুটিয়ে পড়েছিল সংযম
.
আমার ভারি মুখ নেমে গিয়েছিল
স্তন বিভাজিকায়, অনড় তোমার সমস্ত প্রতিরোধে
উথলে পড়েছিল সমর্পনের বন্যা
.
এখন অনেক শীত
অবুঝ হৃদস্পন্দন বরফ কুঁচো ঘিরে রেখেছে
তবুও একটু একটু করে উঞ্চ হচ্ছে করতল
অপেক্ষা আবার দুজনের খুঁজে নেওয়া
নির্জন প্রহরের......

-------------------------------------------------------------
ছবি : গুগুল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন