মাছিদের দেবতা-২০
সব্যসাচী সান্যাল
শেষ পর্যন্ত জানা কথাগুলোই কঠিন ঠেকে আর
সারা রাত শুধু গাছের শব্দ শুনে
যেতে হয়, তুমি
জানো, গন্ধর্ববালকেরা বিষের কৌটো হাতে খেলনা
রথের রশি টানতে টানতে চলে গেছে শুধু
শূন্যতা
যাকে তুমি কুড়িয়ে পেতেই চেয়েছিলে, সম্পূর্ণ
হতে চেয়েছিলে...যে’ভাবে ধারণা
নীচু হয়ে তুলে
নেয় ছায়া, আর ফাঁকতালে নিরেট বস্তু হয়ে ওঠে
মাছিদের দেবতা-২১
কাচের দেবতা
তুমি, কাঠের ঘোড়ার পিঠ
থেকে নেমে পড়াই ভবিতব্য তোমার,
ছায়া হারিয়ে বইয়ের পাতায় ঢুকে যাওয়া...
থেকে নেমে পড়াই ভবিতব্য তোমার,
ছায়া হারিয়ে বইয়ের পাতায় ঢুকে যাওয়া...
কাঠের পুতুলগুলো
ডেকে উঠছে,
রক্তমাংসের বারান্দা থেকে, স্ট্রবেরি
আর ফটফটে সাদা ক্রীমের বাটি থেকে ডেকে উঠছে,
দায়বদ্ধ করে ফেলার মত নগ্নতা ওদের...
রক্তমাংসের বারান্দা থেকে, স্ট্রবেরি
আর ফটফটে সাদা ক্রীমের বাটি থেকে ডেকে উঠছে,
দায়বদ্ধ করে ফেলার মত নগ্নতা ওদের...
এর মানে, রাতের দিকে বৃষ্টি নামতে পারে, ঝড়
উঠতে পারে, ঘামে জবজবে ঘুম থেকে ছিটকে
উঠে, বাথরুমের আয়নায় আমি কী তখন
কাঠের ঘোড়াকেই খুঁজব?
উঠতে পারে, ঘামে জবজবে ঘুম থেকে ছিটকে
উঠে, বাথরুমের আয়নায় আমি কী তখন
কাঠের ঘোড়াকেই খুঁজব?
মাছিদের দেবতা-২৩
খাতার ওপর
আলো নিভে আসছে
গায়ে গা লাগিয়ে গাধা দুটো থম দাঁড়িয়ে
ওই চায়ের সময় হল, অসীম ওই চায়ের সময়...
গায়ে গা লাগিয়ে গাধা দুটো থম দাঁড়িয়ে
ওই চায়ের সময় হল, অসীম ওই চায়ের সময়...
সেপ্টেম্বর
এমন ভাবে ফুরিয়ে আসলো
যেন একটা মাত্র চিঠি নিয়ে
একটা গোটা ডাকগাড়ি স্টেশান পেরোচ্ছে
যেন একটা মাত্র চিঠি নিয়ে
একটা গোটা ডাকগাড়ি স্টেশান পেরোচ্ছে
আমার সমস্ত
যাওয়া শুধু অভিনয়
খবরের কাগজ মাথায় বৃষ্টিতে কেঁপে
ওঠার ভান, যখন হাড়ের ভেতর দিয়ে
চায়ের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে...
লোহার দরজায় গোঙ্গানির শব্দ পেরিয়ে যাচ্ছে
খবরের কাগজ মাথায় বৃষ্টিতে কেঁপে
ওঠার ভান, যখন হাড়ের ভেতর দিয়ে
চায়ের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে...
লোহার দরজায় গোঙ্গানির শব্দ পেরিয়ে যাচ্ছে
ছবি : গুগুল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন