রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১

সৌমিতা চট্টরাজ

                                      


এই সপ্তাহের কবি সৌমিতা চট্টরাজ৷জন্মঃ- ১৯৯৪ ২৬ শে অক্টোবর। ইংরেজিতে স্নাতক। রূপনারায়নপুর, পশ্চিমবর্ধমান নিবাসী। 
অবান্তর... 



১. 
কথা হচ্ছিল মৃত্যু দৃশ্য নিয়ে।
দুই আঙুলের দূরত্ব বাড়িয়ে জুম করলাম ছবিটা।
বিলিতি ব্র‍্যান্ডের বোতল, একের অধিক পুরুষ আর টালমাটাল হরফ সাঁতরে  রবীন্দ্রনাথ উৎরোতে চাইছি আমি...
যথারীতি সাংস্কৃতিক শামুকে পা গেঁথেছে আমার।
অতএব
দৃশ্যটার বাইরে বেরোতে পারছি না...
দু'আঙুলের দূরত্ব কমাতেও পারছি না...

২.
ভাবমূর্তি নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন তোলেন যারা
পোশাক খুলে তাদের সামনে দাঁড়াতে লজ্জার কি আছে আর!
বরং ভয় পাও হাত পা জিভ খুলে দাঁড়াতে
বরং ভয় পাও সেই পায়রার ঝাঁকটা কে হারিয়ে ফেলার...
খুদ খেতে খেতে এখনো তোমাকে যারা মানুষ ভাবে।

৩.
ভেড়া টির সুবাদেই দেবতা কে চেনা হয়েছিল।
ছবিতে দেখেছি যাকে নরম কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। 
সেই থেকে ভেড়ার পিছনে ধাওয়া করছি আমি।
ভেঙে ফেলছি পাহাড়, উপত্যকা...
আর ভেড়াটি দিব্যি চোখ বুজে মুখ লুকোচ্ছে দেবতার লোমশ বুকে।
ভাবছে, পৃথিবী তাকে দেখতে পাচ্ছে না...
কিন্তু আমিও দেখছি, পৃথিবীও দেখছে,
কিভাবে দেবতার দাঁতের ফাঁক দিয়ে একটা জলজ্যান্ত দানব ঝরে পড়ছে।

৪.
যে পুরুষটি তার প্রেমিকা কে নক্ষত্রের সঙ্গে তুলনা করেছিল
অথবা যে নারীটি তার প্রেমিককে আকাশের সঙ্গে...  
দুজনেই বোকা, কেউ একা নয়।

৫.
বিপ্লবী দিনদিন অসহ্য হয়ে ওঠে সংসারে। 
সংসারও তার কাছে প্রথাগত হেমন্তের মাঠ...
হেমন্তের ছয় ঘর ছেড়ে ডাইনী ঋতু টি থাকে
সংসারের রক্ত চোষে 
আর শাঁস চুষে বীজ পুঁতে গোলাপ ফোটায়
তুমি বাঁচো হে বিপ্লব... 
ভালবাসা মরে যাক বিনা চিকিৎসায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন