বর্ষা সিরিজ
-------------
এক
বর্ষার বৃষ্টিতে মাকে কোনোদিন মাথা বাঁচাতে দেখিনি। বৃষ্টি মাথায় মা পায়ে পায়ে হেঁটে আসত। টোকা এগিয়ে দিলে বলতো, মায়ের আদর আড়াল করতে নেই। অবাক হয়ে ভাবতাম, কোন পথ দিয়ে মা দেশের কাছে গেল! দেশকে কতটা বুকের কাছে আনলে বৃষ্টিকে মায়ের আদর বলা যায়।
দুই
খুব ছোটোবেলায় বিজুকাকার কাছে যে নদীর গল্প শুনেছিলাম বড় হয়ে তাকে কোথাও খুঁজে পাই নি। আসলে বিজুকাকার নদীর কোনো নাম নেই। গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়ির ভেতর দিয়ে গেছে সে নদী। যে বিজুকাকার পাতে মাছ মানে স্বপ্ন, বর্ষায় নদীতে মাছ পেলে গোটা গ্রামে ঘুরত সে মাছ। গ্রামের আগে আমাদের শব্দটা বিজুকাকা এমনভাবে উচ্চারণ করত যে মনে হতো চোখের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে সে আর বুকের মধ্যে বাজছে একটা মিষ্টি আওয়াজ।
তিন
পাতা থেকে গড়িয়ে টপটপ করে হাতের ওপর এসে পড়ে জল। কথার মতো করে তাদের শোনা যায়। মেঘের ওপর যে ক'টা কথা লেখা হয়েছিল তার অনেকটাই হাতে হাতে পড়া নেওয়া যায়। এমন মিল থাকবে আমরাও ভাবি নি। এখন প্রত্যেকর মুখ পড়া যাচ্ছে বলে আমাদের পায়ের নিচেটা কেমন যেন শক্ত শক্ত ঠেকছে।
চার
চারপাশ মেঘে কালো হয়ে এলে অনেকেই গর্তে গা ঢাকা দিয়েছিল। কে যেন খবর এনে দিয়েছিল বৃষ্টিই হবে না। গর্তের সংসার সাজিয়ে বসেছিল এমন কিছু মুখের শুকনো ঘোলাটে চোখ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নদী। দুই জলের প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ায় কারও কাছেই কোনো হাত পৌঁছায় নি। এর পরের ইতিহাস একতরফা। অনেক দিন পর্যন্ত হাঁটু জলে ঢেকেছিল পথ।
সবগুলোই সুন্দর দুই ভীষণ সুন্দর ভীষণ
উত্তরমুছুনপ্রতিটি কবিতা মায়াময়
উত্তরমুছুনAwesome
উত্তরমুছুনবিমুগ্ধ!
উত্তরমুছুন