বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

সম্পাদকীয়





“The scene which the light brings before our eyes is inexpressively great, but our seeing has not been as great as the scene presented to us; we have not fully seen! We have seen mere happenings, but not the deeper truth which is measureless joy”—Rabindranath


" সৃজন " দেখতে দেখতে চতুর্থ সংখ্যায় পদার্পণ করল  এই সংখ্যার বিষয় "দৃষ্টি" রাখার পিছনে তেমন কোনো কারণ না থাকলেও কেন জানি না মনে হয়েছে বারবার আমাদের দৃষ্টি হারিয়ে যাচ্ছে  আমরা দেখতে ভুলে যাচ্ছি  একটি বিষয়কে ভিন্নরূপে দেখার জন্য চোখ দরকার পড়ে না, যেটা লাগে সেটা হল "দৃষ্টি"  আমাদের দেখার অনুভূতিগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে  প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, অবসন্নতা সব বিষয়গুলো আমাদের যাপনের সাথে ভীষণভাবে বর্তমান  কিন্তু তাকে দেখার আঙ্গিকটা বদলে গেছে 
আমাদের দু'চোখে এখন রক্তের দাগ কিংবা হলদে ইতিহাসের দাগ  সবুজ বা সতেজতা দেখতে আমরা ভুলে গেছি 
বিষণ্ণতার রঙ কি ? কিংবা অনুভূতিকে কেমন দেখতে এই নিয়ে কি আমরা আদৌ ভাবি ? রূপকথার গল্পের চরিত্রগুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে  যেমন একটা গাছ বীজ থেকে বড় হয়, মানে সেটাই স্বাভাবিক  কখনও সেটা বড় হয় আমাদের দৃষ্টির গোচরে, কখনও দৃষ্টির অগোচরে  যে গাছটি আমাদের বাগানে সংরক্ষিত, তাতে পোকার সংক্রমণ হলে কিংবা গাছটিতে সারের প্রয়োজন হলে আমরা বুঝতে পারি  কিন্তু এমন অনেক গাছ আছে যেগুলো রেললাইনের আশেপাশে, বা বাড়ির আবর্জনায় বেড়ে ওঠে, তাদের দিকে আমরা ফিরে তাকাই না  কিন্তু কেন ? যেন অদ্ভুতভাবে অনাদরে বেড়ে ওঠাটাই ওদের নিয়তি 
একখণ্ড খাবারকে কিন্তু আমরা কাক , বিড়াল এদের থেকে সরিয়ে রাখার জন্য সদা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকি আসলে আমাদের কাছে অভ্যাসটা বড় কাঙ্ক্ষিত ! তাই এবারে " দৃষ্টি" সংখ্যা নিয়ে আপনারা কে , কী ভাবছেন, কিংবা " সৃজন"-কে আপনারা কোন দৃষ্টিতে দেখছেন জানাটা দরকার  " সৃজন "- প্রতিটি সংখ্যায় নতুন নতুন বিভাগ চালু করা হচ্ছে  এই সংখ্যায় চালু করা হল নতুন বিভাগ " উল্টো কথা "  আমরা সোজা কথাকে উল্টো করে না হয় বলব, তবে যুক্তি দিয়ে  


"
সৃজন " আপনাদের একজন হয়ে উঠতে পারল ? কী ভাবছেন আপনারা ? লেখা পাঠান সবাই  সকলের লেখা পড়ুন  শেষ করলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টি কবিতা দিয়ে ...

"
 দৃষ্টি "
বুঝি গো সন্ধ্যার কাছে শিখেছে সন্ধ্যার মায়া
ওই আঁখিদুটি,
চাহিলে হৃদয়-পানে মরমেতে পড়ে ছায়া,
তারা উঠে ফুটি 
আগে কে জানিত বলো কত কি লুকানো ছিল
হৃদয়নিভৃতে-
তোমার নয়ন দিয়া আমার নিজের হিয়া
পাইনু দেখিতে 
কখনো গাও নি তুমি, কেবল নীরবে রহি
শিখায়েছ গান-
স্বপ্নময় শান্তিময় পূরবীরাগিণীতানে
বাঁধিয়াছ প্রাণ 
আকাশের পানে চাই, সেই সুরে গান গাই
একেলা বসিয়া 
একে একে সুরগুলি অনন্তে হারায়ে যায়
আঁধারে পশিয়া 


সম্পাদিকা 
পারমিতা চক্রবর্ত্তী