" সৃজন" ব্লগজিনের এই সপ্তাহের শানু চৌধুরী ৷ জন্ম ১৯৯২ সালের জানুয়ারী। ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতক। শানুর লেখালেখি শুরু ২০১৫ সাল নাগাদ। এখনও পর্যন্ত একটি কবিতার বই ‘আলো ও আত্মহত্যা’, প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালে। কবিতার পাশাপাশি গদ্য ও প্রবন্ধ লেখায় পারদর্শী৷ পড়া যাক তার কিছু কবিতা।
১.
রঙ থেকে বেরিয়ে গেলে আরেকটা রঙ হয়
যে রঙের আগে সময়ের স্পৃহা লেগে যায়
আমি সময় দেখি অতল থেকে মাংসের দাগে
জ্বালের আকাশে কাঁচাতেল ও গন্ধের শিখা
এত নাবিক হল, সমুদ্র তবু টোপ বুঝলো না
আঙুল ক্ষয়ে যেতে যেতে পায়ের রেখা
নুনের মতো দামী হয়েছে কি কোনোদিন?
বীজ ঝরে যাওয়ার আগে যন্ত্র থেকে যে শব্দ হয়
আমাদের ঢাল বরাবর বরাদ্দের চাষ হয়নি তা এযাবৎ
২.
চাবি খুলে নেওয়ার আগে পড়ে গেছে শিশির
বিষন্ন হেলের খোলস ছাড়ার আগে একবুক
দিয়ে দেখি ইন্দ্রপতন!
এভাবেই উচ্চতার আগে দ্বিধার নিকটে
উড়ে এসে বসে জ্যান্ত মধু-র ইউলিসিস
যার শবে রাখা আছে একদানা ঋতুর সেতার
৩.
বিকেলের আগে হিপোক্রেসি করেছে
আমাদের নিতান্ত চা বাগান
অতএব একটা আফিমের সরল বীজে
আমাদের ক্ষয়ে যাওয়ার কথা ছিল
আমি দেখেছি চড়ুইভাতির সাথে
চড়াইয়ের সম্পর্ক নেই
শুধু খাবারের দানা ঘাসে ঢুকে গেলে
পদাতিক হয় সামান্য ঈশ্বর!
৪.
দুধ দোয়ার আগে পৃথিবী থেকে চাবুক হল একটানা হিম
যে পাতার আগে মিহিন বসেছিল তার রুক্ষতা
অনায়াসে মেলে দিল প্যাগান ও প্রার্থনার নিরাকার লিঙ্গগুলি
তবুও শ্রমের কাছে নগর ছিল
পেরেকের কাছে ছিল ভাষাবোধ
তুলসীপাতা ওষুধ হওয়ার আগে
বর্ণময় লাল শালুতে ঢাকা হয় আমাদের গ্রন্থসভা
৫.
ফোটন বুঝতে গিয়ে দেখি চরিত্র বদলে যায়
যে দেখায় বসে আছে নিকট ইন্দ্রিয়
তাকে দেখে কি অবাক হবো না?
যে পায়ের আগে ঘুম লেগে থাকে
তার চাকায় নদীভাগের দাগ
এই কোয়ান্টাম অথবা হাইপোথিসিস
হাস্যরোলের আগে খুঁজে নেয়
জ্যামিতির আকারে মাপসই জুতো
যেখানে আমাদের সমুদ্রগুলি সিন্থেটিক হয়ে গেলে
পাথর আর প্রতিমার ফারাক থাকে না
৬.
রোদের গোড়ায় বৃষ্টি পড়ছে আর স্বাস্থ্যগুলো
ভেঙে যাচ্ছে পেয়ালা বরাবর
যে দৌড়গুলোতে বুক ফুলে গেছিল আমাদের
তাকে আজকাল প্রশিক্ষণ বলে ডাকো
মারা যাওয়ায় ল্যাটিন দর্শন থাকে
যেখানে
কাচের শিশুরা আজ অবধি ছাত্র হলো না আমার
অথচ গাছের নাম জানতে চেয়ে
গতজন্ম মাপতে চেয়েছি বারবার
৭.
মুঠোর ভিতর স্তন্যপায়ীর রূপক
আমি ছাড়িয়ে এসেছি মেধাহীন জলে
এভাবে বাচ্চাদের দেখতে দেখতে
মেহফুজ গল্প লিখে ফেলে ঈশ্বরের হাতে
উন্মাদ হয়ে কেউ ঝাঁট দেয় সকালের উঠোন
আর খাটাল থেকে শুনি শ্লেষভরা দুধের আওয়াজ
কীভাবে ঘোরালে নিলাম?
এসব ভেবে দেখি বিস্ময় আর জিজ্ঞাসায়
আটকে আছে মোষের তেল মাখানো দেহ
আর অস্থিরভাবে কারও পেটের ভিতর
ধরে যাচ্ছে
বিষাক্ত রেডিওর গান.
৮.
খালকে কাজে লাগিয়ে জমে যাচ্ছে
খালের
মা
এভাবে ঋতু থেকে দূরে দাঁড়িয়ে
বিভ্রম হয় শালিখের ডানা
শা
দা
জল খেতে গিয়ে যাদের ভিজে গেছে ডানা
তাঁদের রক্তে দেখি
কবিতার ঝাঁঝ বয়ে নিয়ে যেতে
পারেনি সন্ত্রাস
৯.
হাসি টপকে যাওয়ার আগে
অভিশাপ নিয়ে খেলেছিল হীরের ছাদ
আমার ভুলে আমি যেভাবে মনীষা
সেভাবে পাথর হল না
ভালবাসছি ঈর্ষা দিয়ে
কবিতা লিখতে
লালসা দিয়ে নয়
এভাবে ভাতের হাঁড়িতে
চাপা পড়ে যায়
সভ্যতার অধিক হ্যাঁচড়
১০.
রুচি থেকে বিরতি নিলে
নিজেকে টাটকা লাগে না কখনও
এভাবে আঁশফলের বাগানে
ছেঁয়ে থাকে পোকার কাচ
আমি দেখেছি
ওরা ফিরে যায় আগুন থেকে
চোখের শান্তিকে রেহেলে বসিয়ে
ঝুনো হয়ে যাওয়াকে কি পুরনো বলা যায়?
জুন থেকে গড়িয়ে এসে ধাক্কা মারে আকাঙ্ক্ষার ব্যথা
এভাবে শতাব্দী ও সুচারু গাছ
সংক্রামক কোণে বসে থাকে
ঝরঝরে নাভিকে ধুয়ে নেয় স্যালোর জলে
এভাবেও মহৎ হয় অশ্বের বেদ
যেখানে বৃষ্টি আটকে দিয়েছিল রোদের কুঠার
বেশ লেখা। কবিকে শুভেচ্ছা।☺
উত্তরমুছুনসবকটি ভালো লাগল
উত্তরমুছুনশুদ্ধ উচ্চারণে লেগে থাকে জিজ্ঞাসা আর বিস্ময়
উত্তরমুছুনভালো লাগল।
উত্তরমুছুনভালো লাগল।
উত্তরমুছুন"যে পায়ের আগে ঘুম লেগে থাকে
উত্তরমুছুনতার চাকায় নদীভাগের দাগ
এই কোয়ান্টাম অথবা হাইপোথিসিস
হাস্যরোলের আগে খুঁজে নেয়
জ্যামিতির আকারে মাপসই জুতো"
কবি এই লাইনগুলি লিখে যেভাবে মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছেন তা আসলেই মনোমুগ্ধকর।
কবি প্রতিনিয়ত নিজের রচনাশৈলী পাল্টাচ্ছেন।এটা কবে স্থির হবে কে জানে
সবাইকে ধন্যবাদ ৷
উত্তরমুছুনদাদা তোমার কবিতা বরাবরই খুব ভালো লাগে ❤️।
উত্তরমুছুনএই কবিতা বলে দেবে কীভাবে কবিতার যাতায়াত বদল করতে হয় । - শৌভিক
উত্তরমুছুনভাল লেগেছে। ভিন্নস্বর পেলাম।
উত্তরমুছুননুনের মতো দামী হয়েছে কি কোনোদিন?
উত্তরমুছুনঝুনো হয়ে যাওয়াকে কি পুরনো বলা যায়?
এইরকম জিজ্ঞাসার মূল সূত্র ধরে আমি উল্টোপথে কবিতা গুলোর মধ্যে ঢুকতে চাই। তখন একরকম ভাবে বুঝি।
আবার সূত্র বদলে যখন
মুঠোর ভিতর স্তন্যপায়ীর রূপক
অথবা
বর্ণময় লাল শালুতে ঢাকা হয় আমাদের গ্রন্থসভা
করে নিই, তখন আবার আলাদা ভাবে ঢুকি, কবিতায়।
এইভাবে আমি বারবার খুল যা সিমসিম সূত্র বদল করি আর নানা দিকে ঢুকি।
কবিতার এখানেই উচ্চতা, যদি তাতে নানাভাবে ঢোকা যায়।
নুনের মতো দামী হয়েছে কি কোনোদিন?
উত্তরমুছুনঝুনো হয়ে যাওয়াকে কি পুরনো বলা যায়?
এইরকম জিজ্ঞাসার মূল সূত্র ধরে আমি উল্টোপথে কবিতা গুলোর মধ্যে ঢুকতে চাই। তখন একরকম ভাবে বুঝি।
আবার সূত্র বদলে যখন
মুঠোর ভিতর স্তন্যপায়ীর রূপক
অথবা
বর্ণময় লাল শালুতে ঢাকা হয় আমাদের গ্রন্থসভা
করে নিই, তখন আবার আলাদা ভাবে ঢুকি, কবিতায়।
এইভাবে আমি বারবার খুল যা সিমসিম সূত্র বদল করি আর নানা দিকে ঢুকি।
কবিতার এখানেই উচ্চতা, যদি তাতে নানাভাবে ঢোকা যায়।
নুনের মতো দামী হয়েছে কি কোনোদিন?
উত্তরমুছুনঝুনো হয়ে যাওয়াকে কি পুরনো বলা যায়?
এইরকম জিজ্ঞাসার মূল সূত্র ধরে আমি উল্টোপথে কবিতা গুলোর মধ্যে ঢুকতে চাই। তখন একরকম ভাবে বুঝি।
আবার সূত্র বদলে যখন
মুঠোর ভিতর স্তন্যপায়ীর রূপক
অথবা
বর্ণময় লাল শালুতে ঢাকা হয় আমাদের গ্রন্থসভা
করে নিই, তখন আবার আলাদা ভাবে ঢুকি, কবিতায়।
এইভাবে আমি বারবার খুল যা সিমসিম সূত্র বদল করি আর নানা দিকে ঢুকি।
কবিতার এখানেই উচ্চতা, যদি তাতে নানাভাবে ঢোকা যায়।
ভালো লাগলো,শানু
উত্তরমুছুনসবাইকে ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনঅন্যরকম শানু। বলা যায়, নতুন রকম আবিষ্কারের তুমি।
উত্তরমুছুনসবাইকে ধন্যবাদ৷ যাঁরা আমার কবিতা পড়ে মতামত জানালেন।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো কবিতাগুলো
উত্তরমুছুন