অধ্যায় -- ৬
_______________
মুড সুইং
মনের জানালা
মুড সুইং বা মেজাজের পরিবর্তন এখন আলোচ্য বিষয়। কথায় বলে মেজাজ তো আসল রাজা, আমি রাজা নই। সুতরাং , এই রাজার খিদমত গার তো হতেই হবে।
কারণ, মেজাজ খারাপ তো দুনিয়া খারাপ।
গত অধ্যায়ে বলেছি, শরীর গত কিছু কারণ বিরক্ত করে তোলে। যেমন, হঠাৎ চুল পড়ে যাওয়া। চুল বড্ড আদরের বস্তু। আজ বলি কিছু সহজ টিপস। যার ফলে চুলের গোড়া শক্ত হবে। ঝলমল করবে। মন ভালো থাকবে। নারকেল তেলের মধ্যে জবা ফুল, অপরাজিতা ফুল, নিয়ম পাতা , মেথি গুঁড়ো , আমলকি দিয়ে ফুটিয়ে , ছেঁকে একটা শিশিতে ভরে রেখে দিয়ে, মাঝে মাঝে চুলের মধ্যে ভালো করে ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিয়ে পরেরদিন ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে একদিন ডিম লাগানো জরুরি। না হলে পাকা কলার পেস্ট। সঙ্গে দই।
অবাক করা ফল মিলবে দিন কতকের মধ্যে। সেইসঙ্গে আলো হয়ে উঠবে অন্ধকার মন।
তাহলে এটা বোঝা গেল, সেজে গুজে সুন্দর থাকা অন্যায় কিছু না। বরং জরুরি।
এবার আসি আরো একটা বিষয়ে। অনেকেই বলে থাকে, ভালো লাগছে না। কেন ভালো লাগছে না? উত্তরে বলবে, জানি না। শুধু ভালো লাগছে না। নাহ্। সম্ভব না। কোনো কিছু কারণ ছাড়া হবেনা। যদি প্রশ্ন করা যায় , একটু ভেবে বলো কেন ভালো লাগছে না? উত্তরে হবে, কত কাজ। ফলে, মেজাজ আরো খারাপ হচ্ছে।
ছড়িয়েপড়া কাজের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলা খুব সাধারণ সমস্যা। তার থেকে বিরক্তি খিটখিট ভাব। তাহলে আগে বিরক্তির কারণ জেনে নিতে হবে। এক একটা দিনের কাজকে লিস্ট বানিয়ে রাখতে হবে। লিস্ট মিলিয়ে শেষ করে ফেলতে হবে কাজ। ভালো লাগবে অবশ্যই। এমনও হতে পারে , আচমকা কোনো ব্যাঘাত এসে ভেস্তে দিল দিনের প্ল্যান। তবু , ধৈর্য হারালে চলবে না। যে কাজটা রয়ে গেল, তাকে চাপ দিয়ে শেষ না করে বরং পরের দিনের কাজের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে যেভাবে হোক শেষ করে ফেলতে হবে। মেজাজ হারালে চলবেনা। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করা উদ্দেশ্য, মেজাজ খারাপ করা না।
মুড সুইংয়ের আরো একটা বড় কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। ঘুমোতে হবে। বিকেলের দিকে ৩০ মিনিট হেঁটে আসতে হবে যত কাজ থাক। মনে রাখতে হবে, দুপুর বারোটার পর থেকে আমাদের খারাপ বেশি লাগে। সেজন্য বিকেলের দিককে গুরুত্ব দিতে হবে। একটু ধ্যান, হেঁটে আসা, ছবি আঁকা ... কিছুতেই যেন বিকেলের মলিন ভাব গ্রাস করে ফেলতে না পারে।
আজ এই পর্যন্ত। আবার পরের রবিবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন