শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

স্বপন রায়

আহমেদ শামলৌ এবং ফার্সি কবিতার বাঁকবদল #
........................................................................
      ‘সমুদ্র হিংসে করে তোমায়
      তুমি কুঁয়ো থেকে একফোঁটা জল খেয়েছিল!’

#
আহমেদ শামলৌ, তাঁর হৃদয়বিচ্ছুরণ, তাঁর ফার্সি অভিযোজনা এক অস্থির প্রত্যয়ে তাঁকে নিযুক্ত রেখেছিল কবিতায়।তিনি রাজনৈতিক ভেদশক্তিকে কবিতার আর্তি শুনিয়েছিলেন।১৯২৫ থেকে ২০০০, একটি শতাব্দীর পঁচাত্তর শতাংশ আহমেদ শামলৌ-এর সঙ্গে বেঁচেছিল আর কবিতা, ফার্সি কবিতা মূলত তাঁর হাত ধরেই মুক্ত হয়েছিল হাফিজিয়ানার ছান্দসিকতা থেকে তাঁর ‘শের-এ-সফেদ’ এর মাধ্যমে।তবে এই ধারামুক্তি শামলৌ-এর ক্ষেত্রে শুধু কবিতাই ছিলনা। তিনি ইরানের শাহ এবং  মৌলবাদী ইসলামি বিপ্লবের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন।দুই আমলেই তাঁকে জেলে যেতে হয়।ইসলামি আমলে তাঁর বইগুলো নিষিদ্ধ করা হয়।তবে শামলৌ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়ের বিরোধীদের সঙ্গে আমৃত্যু আপোষ করেননি।
#
 ‘জল ছিল খুব বাঁধভাঙা, সেই জলের ঘুমে আমি
  রাস্তা খুঁজি তোমায় ভেবে,আমিও কি ছাই জানি
  কিভাবে ওই ভ্রুয়ের হানায় আমার ছদ্মবেশ
  ধুসরতায় কুড়িয়ে পেল রঙিন সুরার রেশ
  নিচ্ছি সুরা নীতির ফাঁকে একটি কোনে বসে
  ভাবনাগুলো পাখিই হল তোমার সঙ্গদোষে...’(হাফিজের লেখার অংশ, অনুবাদে)
হাফিজের প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সহজ ছিলনা।এই অনন্য কবির উদাস সুফিয়ানা যে ‘রুবাইয়াৎ-এ-হাফিজের’(কবি নজরুল অনুবাদ করেছিলেন)সৃষ্টি করেছিল তার প্রভাব শুধু ইরান কেন সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়ে!মাত্রাশাসিত হাফিজি গজল(গজল হাফিজেরই দেন) এখনো তার সাংগীতিক আবেশে মুগ্ধ করে কাব্যরসিকদের।তবে শুধু হাফিজ(১৩২৫/২৬-১৩৮৯/৯০) কেন, ওমর খৈয়াম-এর(১০৪৮-১১৩১)রুবাইয়াৎ -এর প্রভাবও বহ শতাব্দী ধরে ফার্সি কবিতাকে ভাবানুবন্ধনে আটকে রেখেছিল।আর আহমেদ শামলৌ-এর মত কবিদের কাছে ওমর খৈয়াম, হাফিজের প্রতিষ্ঠিত ঘরানা থেকে বেরিয়ে আসাই ছিল রীতিমত চ্যালেঞ্জের।হাফিজের গজল ছিল ঘনসংবদ্ধ, মাত্রাশাসিত, অনুপ্রাসিত, ভাওয়েল এবং কনসোনেন্টের ঐক্য এবং স্বরসাদৃশ্যের সমতা, বিপরীতধর্মিতা,সমান্তরালতা নিয়ে এক ভাবনাগহন খেলা। অঙ্ক তো ছিলই, কিন্তু গভীর কল্পনা আর রসবোধের সূক্ষ্মতায় হাফিজের গজলকাঠামো গড়ে উঠেছিল।এই গঠনের তারতম্য ঘটতে শুরু করে  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিশ্বব্যাপী নরসংহার, অক্ষশক্তি এবং মিত্রশক্তির চূড়ান্ত লড়াই, সমাজতান্ত্রিক মতবাদের উত্থান, ফ্যাসিবাদের পতন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, নান্দনিক পরিসর স্ফীত হতে থাকে, মূল্যবোধের সঙ্করায়ন শুরু হয়ে যায়, ভাষা মুক্ত হতে থাকে। এরকম একটা সময়ে আহমেদ শামলৌর লেখালিখি শুরু হয়।
#
আহমেদ শামলৌর জন্ম ১২ ডিসেম্বর ১৯২৫-এ তেহরানে।বাবা ছিলেন আর্মি অফিসার।বদলির চাকরি।ঘুরে বেড়াতে হত পুরো পরিবারকেই।১৯৩৮ সালে শামলৌ স্কুলের পড়া শেষ করে তেহরানের টেকিনিকাল কলেজে ভর্তি হন।এই সময়টায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওয়ার্ম-আপ শুরু হয়ে গেছে।হিটলার জার্মানিতে মানবতার সব চেয়ে বড় অপরাধগুলির মহড়া শুরু করে দিয়েছে। শামলৌ কবি ‘নিমা উশিজের’ কবিতায়   সম্ভবত এই সময়েই আকর্ষিত হন।নিমা উশিজের লেখাতেই তিনি সাবেকি ছন্দের কাঠামোকে (আরো নির্দিষ্ট অরে বললে,হাফিজি কাঠামো)ব্যাপ্ত করার, মুক্ত করার অনুপ্রেরণা পান। নিমা উশিজের লেখালিখি “শের-এ-নিমাই” ধারা হিসেবে পরিচিতি পায় সমগ্র ইরানে।উশিজ ফার্সি কবিতার প্রচলিত তাল এবং অন্ত্যমিলকে নান্দনিক ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে নতুন ফার্সি কাব্যকাঠামো আর কাব্যভাষা তৈরি করার সাহস দেখিয়েছিলেন।াহমেদ শামলৌ এর গুরু  নিমা উশিজের একটি লেখা পড়া যাকঃ

‘হলুদ অকারণে লাল হয়নি
লাল এখনো রঙ রাখেনি অকারণের দেয়ালে

সকাল এসেছে আজাকু পর্বতের ধার ঘেষে
ভাজনা পাহাড় তবু পরিষ্কার নয়
হাল্কা আলোর তুষার এই হযবরল ক’রে চলেছে
তার ছোঁয়া জানলায় কার্নিশে
#

এই যে ভাজনা পাহাড় দেখা যাচ্ছেনা
মন তো খারাপ হবেই
অতিথি না-চাওয়া অতিথিনিবাসগুলোর মুখ ভার হয়ে আছে
একজনের জড়িয়ে যাওয়া আরেকজনের সঙ্গে
এত অপরিষ্কার আলো আজ
লক্ষ্যহীন
কিছু মানুষ এখনো ঘুমে
কিছু অমার্জিত
কিছু সরল মানুষ’  (আমার মেঘলা ঘর)
#
হাফিজের কবিতার ঘরাণা এভাবেই বদলে যাচ্ছিল।আগেই বলেছি আহমেদ শামলৌ-এর বাবা সামরিক অফিসার হওয়ার জন্য তাদের ঘুরতে হত বিভিন্ন জায়গায়।তিনি যখন এভাবে ভ্রাম্যমান তাঁর প্রেরণাস্বরূপ নিমা উশিজ(১৮৯৬-১৯৫৯)তখন সাবেকি ফার্সি কবিতাকে  এক নিগড়মোচিত আবহাওয়ায় নিয়ে যাচ্ছেন। তবে নিমা উশিজ ক্ল্যাসিকাল গঠনশৈলিকে পুরোপুরি বর্জন করেন নি!আহমেদ শামলৌ-এর হাতেই ফার্সি কবিতা মুক্ত হয়েছিল প্রাচীনত্বের মনোরম শৃঙ্খল থেকে।এই ধারামুক্তির সঙ্গে কোথাও না কোথাও শামলৌ-এর ব্যক্তিগত জীবনের ঝোড়ো ওঠানামাময় বৈচিত্রের যোগ রয়েছে ব’লে আমার মনে হয়।ইরানের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবি নানাকারণে স্কুলের গন্ডি পেরোতে পারেন নি! স্বাভাবিক নিয়মেই বয়ঃসন্ধির যে সময়ে স্কুল পেরনোর কথা তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়!গ্রেপ্তার করে লালফৌজ।কারণ তাঁর বাবা অক্ষশক্তির সেনা অফিসার ছিলেন।একবছরের কারাবাসের পরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিতাপুত্র দু’জনকেই  গ্রেপ্তার ক’রে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। একেবারে শেষ মুহূর্তে আসা নির্দেশের ফলে প্রায় অলৌকিকভাবে তাঁর মুক্ত হন!এরই মধ্যে শামলৌ সমাজতান্ত্রিক ভাবনায় আকৃষ্ট হয়েছেন। আবার এরই মধ্যে তিনি চেষ্টা করেছেন হাইস্কুলের পরীক্ষায় বসার কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন বাধা এসে পড়ায় আর বসা হয়ে ওঠেনি !বিয়ে করেছিলেন তিনবার। প্রথম দুটি টেঁকেনি।তবে তাঁর তৃতীয় বিয়েটি সুখের হয়েছিল।এই স্ত্রী আয়েদাকে নিয়ে লেখা তাঁর কিছু কবিতাও আছে!
#
‘মোহাম্মেদ মোসাদেঘ’ ছিলেন স্বাধীনভাবে ভোটের মাধ্যমে জিতে আসা ইরানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী (১৯৫১-১৯৫৩)।উদারনৈতিক, সেকুলার, সংবেদনশীল কবি ও লেখক মোসাদেঘের অন্ধ ভক্ত ছিলেন আহমেদ শামলৌ।‘মোহাম্মেদ মোসাদেঘ’   ভূমিসংস্কার, জমির খাজনা মকুব সহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা জনিত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন।তবে ১৯১৩ সাল ব্রটিশদের মালিকানায় থাকা , ‘Anglo Persian oil Company’র জাতীয়করণ করতেই তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা আর ব্রিটেন ইরানে সামরিক অভ্যুথান সংঘটিত করিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ‘মোহাম্মেদ মোসাদেঘ’কে ক্ষমতাচ্যুত করায় ।আহমেদ শামলৌ আত্মগোপন ক’রতে বাধ্য হন।ছ’মাস আত্মগোপন ক’রে থাকার পরে তাঁকে মিলিটারি জুন্টা গ্রেপ্তার করে।এক বছরেরও বেশি সময় বন্দীথাকতে হয় তাঁকে। জেল থেকে বেরিয়ে আহমেদ শামলৌ আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন কবিতাসহ  সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায়।নিজের কবিতায় যেমন তিনি নিরিক্ষাকে নিরন্তর প্রয়োগের মাধ্যমে চূড়ান্ত করছিলেন একইভাবে ঐতিহ্যবাহী ফার্সি সাহিত্যের রক্ষনাবেক্ষন, অনুবাদ এবং সম্পাদনাতেও তিনি একইভাবে সক্রিয় ছিলেন।অন্যদিকে নিজের সেকুলার এবং সামাজিক ন্যায় ভিত্তিক অবস্থানেও অনড় ছিলেন।
#
আহমেদ শামলৌ কিভাবে ফার্সি কবিতাকে নতুন করার মত একেবারেই অসামাজিক একটি নান্দনিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিপীড়নমূলক একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিরন্তর সক্রিয়তাকে মেলাতে পারলেন আমি জানিনা। যেকোন প্রেক্ষাপটেই এটা প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। সাধারণত এক্ষেত্রে কবিরা প্রতিবাদের টাইমসারভিং কবিতাই লিখে যেতে থাকেন। কবিতাকে নতুন করার মত অজনপ্রিয় একটি কাজে মনোনিবেশ করার মত সময় তাঁদের থাকেনা!শামলৌ এই কঠিন কাজটাই করেছেন। কবিতার বিপ্লব গরম গরম বুলি বা চিৎকার ক’রে হয়না! আহমেদ শামলৌ-এর সারাজীবন ধরে এর প্রমাণ দিয়ে গেছেন!
#
১৯৪৮ সালে তিনি “সোখাম” পত্রিকায় লেখালিখি শুরু করেন।প্রথম বইটি কবিতার বই ‘ দ্য ফরগটেন সং’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে।১৯৪৮-এ গল্পের বই,’দ্য উওম্যান বিহাইন্ড দ্য ব্রাস ডোর’।তবে ১৯৫১ সালের ‘মেনিফেস্টো’ কাব্যগ্রন্থে তাঁর সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে।আবার এসময়েই ফার্সি কবিতার প্রতিষ্ঠিত আদল ভাঙার কাজেও তাঁর কলম সক্রিয় হয়ে ওঠে!নিমা উশিজের লেখায় যে নতুনায়ন শুরু হয়েছিল ফার্সি কবিতার আহমেদ শামলৌ তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান! এমন নয় যে তাঁর কবিতা ছিল সহজ সরল উচ্চারণের সমাহার! যেমন প্রতিবাদী কবিদের কবিতা হয়ে থাকে।এক জটিল ছাঁচভাঙা আঙ্গিকের মধ্যে জীবনপ্রভার অচেনা অনুভবের বিচ্ছুরণ নিয়ে আসতে শুরু করেন আহমেদ শামলৌ।আর এই প্রক্রিয়াতেই তিনি আধুনিক ফার্সি কবিতার অন্যতম পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠেন!আহমেদ শামলৌ-এর কিছু কবিতা পড়া যাক। অনুবাদ যেহেতু ইংরেজি অনুবাদের অনুবাদ,খামতি থেকেই যাবে। আমিও অসহায়, ফার্সি জানিনা!
#
১.
সে রোগা
লম্বা আর মেদহীন
জানা ছিল যে
একটি শব্দে রাখা দুরূহ বার্তা
যেন সেই
#
চোখে মধুমাখা প্রশ্রয়
       আর প্রশ্ন
মুখ জুড়েই সত্য
 আর বিরোধী হাওয়া
সে
ঝলসানো কিছুটা
#
স্বল্পবাক একজন
সঙ্গে ঘোরাজলের শব্দ
নিজেই নিজের কথা বলছে এমন
পোকারা তাকিয়ে আছে তোমার শস্যের দিকে এমন (জালাল আল-ই-আহমেদ স্মরণে/ অংশ)
#
২.
ঘাসজমির ফুটিফাটা ভোর
 একজন ঘোড়সওয়ার
 একা
 দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ
 লম্বা কেশর ঘোড়ার মিশে যাচ্ছে হাওয়ায় হাওয়ায়
 #
 হে ঈশ্বর
 সে কথা বলুক
 অস্থির হোক
  যা কিছু হবে বা হতে পারে সবই কিন্তু হ’তে চলেছে

  #
  মেয়েটি
  হেজের কেয়ারি ছুঁয়ে
  তার মিহি স্কার্ট কাঁপছে
  হাওয়ায়
  কথা না-বলা মেয়েটি দাঁড়িয়ে রয়েছে
 #
 হে ভগবান
 মেয়েটি কথা বলুক কিছু করুক
 যখন
 পুরুষ কিছু বলছে না
 বা করছে না
 শুধু বুড়ো হয়ে যাচ্ছে...(বিষণ্ণ গান)
#

৩.
    ‘আমি তোমায় ভালবাসি’
    বলেছ, না বলোনি
    এটা জানার জন্য ওরা তোমার
    নিশ্বাসের
    গন্ধ শুঁকবে
   #
   হৃদয়ের গন্ধও বাদ যাবেনা
   কঠিন সময় এখন
   প্রিয়তমা
  #
  ভালবাসাকে মেরে
  কানাগলির পোস্টে ঝুলিয়ে দিচ্ছে ওরা
  দেরাজে রাখতে হবে ভালবাসাকে
  এখন
  #

 এখন এই সর্পিল কানাগলিতে
 পোড়ানো হচ্ছে কবিতা আর গান
 যারা পোড়াচ্ছে
 তাদের মাথা ঠাণ্ডা তাদের চাউনি শীতল
 #
 এমনকি ভাবনাতেও ‘না’
 ওরা
 গভীর রাতে
 দরিজায় নক্‌ করছে
 আলোগুলো মেরে ফেলতে চায়
এখন
আলোও লুকিয়ে রাখতে হবে
ওই দেরাজেই
ভালবাসার পাশে
#
রাস্তার মোড়ে মোড়ে
ওরা
হাতে ধারালো অস্ত্র
কাটারি ছুরি ড্যাগার, খুব কঠিন সময় এখন
প্রিয়তমা
#
ওদের হাসি
সার্জারি ক’রে ঠোঁটে
আর গানগুলো 
মুখে লেপ্টে দেয়া হয়েছে
খুশি
আর আনন্দগুলো সরিয়ে নিতে হবে
যেভাবে
ভালবাসা আর আলো সরিয়ে রেখেছি আমরা
#
মদে
আর হুল্লোড়ে
ওরা পাখির মাংস পোড়াচ্ছে
লিলি আর লাইলাকের
আগুনে
ওদের উৎসব মানে আমাদের চেয়ে থাকা
#
ভালবাসা, আলো, খুশির পাশে
এবার ঈশ্বরও
দেরাজের ভেতরে পাশাপাশি
ভীত
#
বাইরে শুধুই খুন আর গান  ( এই কানাগলিতে)
#
ক্রমশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন