শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

পূবালী রাণা


এপিটাফ

পুবালী রাণা 

তোর অগোছালো ড্রয়িংরুমের মধ্যে যে গোপন দীর্ঘশ্বাস ছিল, বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলাম ঘরের এককোণে ধুলোপড়া ম্যাক্সিম গোর্কিকে দেখে। অজস্র জন্মের তৃষ্ণা বুকে নিয়ে তোর সঙ্গম সমুদ্রে ডুব দিয়ে আমি যখন ভালবাসার ঝিনুক কুড়োতাম, তোর ঘামে ভেজা কলারের থেকে চুঁয়িয়ে পড়ত মধ্যবিত্ত সোহাগ। সেখানে যে ঝাঁজালো কামুকতা ছিল বুঝতে পারি নি। হঠাৎই একদিন দেখলাম তোর বিছানায় সারিবদ্ধ পলাশের শব। শামুক ঘুমে আচ্ছন্ন আমি বুঝতে পারি নি বুনো কুড়চির চেয়ে আতরের গন্ধ তোর বেশি প্রিয় ছিল।
দেখতে দেখতে কখন যে পৌঁছে গেছি ভাঙনের নতুন দ্রাঘিমার শেষ সীমানায়!
আজ বুঝেছি কমন্ডুলের জ্যোৎস্না চেরা জল সারিয়ে দিতে পারে না পুরনো ক্ষত। এপিটাফে জেগে ওঠে প্রাচীন সময়--
ধ্বনিহীন জলের অস্তিত্বের মতো।
নিষিদ্ধ অন্ধকার আরো বড় হয়। ভালোবাসার ব্যাকরণ পুড়িয়ে দিয়ে আমি একটু একটু করে এগিয়ে যাই সীমানার দুর্ভেদ্য ব্যারাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন