শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

অনিন্দ্য রায়

হয়তো তোমারই



স্পর্শলতাটির পাতা ছিঁড়ে আমি তোমাকে পড়াই
খুলি হাওয়ার চাদর, কামিজ জলের
    আর চুলে যে রাত্রির ফিতে তা-ও খুলে
                                             বিছানায় পাতি
ঘুমের কলসি ফেটে ঘরময়  বিভূতি ছড়াল

মাখি গায়ে, তোমাকে মাখাই
আমাদের চিন্তাগুলি সাঁই-
সাঁই ওড়ে, তাদের রেচন
মুখে লাগে, আদরের ধন
পান করি একসাথে, চাটি

তোমার শরীর আজ আহার্যের বাটি

একেকটি ব্যঞ্জন খাই, তারপর ধুয়ে নিয়ে
                                     উপুড় করে রাখি
হাত ঘষি পিঠে
বাটি গরম হয়ে উঠলে আবার উল্টে দিই
দেখি, ভেতরে সমস্ত জল বাষ্প হয়ে আছে
আমিও বাড়াই জিভ
             ওই ফোঁটা ফোঁটা কামকুয়াশাকে খাই
এবং শরীর ফুলে ওঠে
এবং শরীর গত শতাব্দীর সেগুনগাছের মতো ফুলে ওঠে
এবং লতাটি তার কাণ্ড জড়িয়ে বড়ো হয়
ফোটে ফুল
কেশের বাদ্যের গুঁড়ো
         বাজে তা-ও
             সেই শব্দ নীহারিকা পের হয়ে যায় আরও দূরে

সেখানে কি আছে মাটি
    পৃথিবীর মতো থকথকে লেই?
আছে লোহা-তামা-পেতল-ইস্পাত ?

আয়ুধ বানিয়ে নিতে সেখানেও বন্ধক রাখতে  হয়
         হৃদয়-বাসন !
সেখানেও গাছ হয় বীজ থেকে
অপরিচিতের লতা  ছুঁতে চেয়ে যেই হাত বাড়ালাম
ঝনঝন করে নীরবতা ভেঙে গেল
কথার পাতায় আলো কেঁপে উঠল
          তোমার মুখের বিকিরণে
         

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন