শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮

সঞ্জয় চ্যাটার্জী

এক ঘড়া জল 
----------------
জল নেইজল নেই ! কোনওখানে জল নেই !
এ মাটির বুকে রুক্ষসার শেকড় দেখে হতাশায় ভুগছে গাছ।
আর পাখিডানার নীচে খটখটে পালক খুঁটে একরত্তি ঘাম পায় না।
পাতাঝরা ডাল খরতপ্ত নীলের বাথানে চাতক হয়ে চেয়ে থাকে।
পাখিরা রুখাসুখা ডালেই জড়ো করে খড়কুটো।
বাসা আছেছানা আছেআর আছে -
পাথরের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া অতৃপ্ত ইচ্ছেদের সমাধি।
ঠিক যেমন এ গাঁয়ের বধূর বুকে ফুটে ওঠা কলি ছিঁড়ে যায় বারবার
রাক্ষুসে স্বামীর লিঙ্গের দাপটে। আর বছর বছর শুষ্ক স্তন টেনে টেনে দেহের শেষ রক্তবিন্দু পান করে
সদ্যজাত শ্বাপদ।
এখানে প্রকৃতি সর্বদাই মধ্যমা উত্থিত করে আছে। পোড়া গ্রামের পোড়া নদীরা পাথরে পাথরে ঠোক্কর খেতে খেতে
পায়ু ও যোনির মধ্যস্থতা শিখে নেয় - এক ঘড়া জলের আশে।
-----------------------------------------------------------------------

দিকবদল  
-----------
বৃষ্টি নেই পথে। মানুষবাহী রথে,শহর জমজমাট।
শরীর ভেঙে বর্ষা। চিলতে আকাশ ফরসা।
ধরবে আটটা আট।
একেই বলে সন্ধে। ফিরতি পথে আনন্দে,বাদামবিলাস মুখ।
গুপ্তরোগের হাকিমপড়ে ভাবতে থাকি,হয়ে ছিল একটু ভুলচুক।
পারদ ঝরা রোদেটোপকে অন্যদের,ঠোঁটে বাদামি লিপস্টিক।
চিনতে পেরে তুমিবললেভালো আছ রুমি?হেসে বদলে নিলাম দিক।
------------------------------------------------
পথ্য  
------
বন্ধ ছিল দরজা জানলাগুলো।
আমার ঘরেও বসত গড়ে হুলো -
পেটি দেখে ও বিড়াল সন্ন্যাসী।
পারদ কিছু বেশীমাত্রায় চড়ে।
বুঝতে পারছি পুড়ছ তুমি জ্বরে -
আমিও অগুনতি কাল উপবাসী।
আধঘন্টা ! বা তারও কিছু কম !
খুঁজেছি রোগের নানা উপশম -
হাতুড়ে নইভেবেছ শেষ অবধি।
খেতাবটা তো আসলে বেসরকারি,সেই সুবাদেই শখের ডাক্তারি -
জ্বর-ঠোঁটের পথ্য টকো দধি।
---------------------------------------
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন