শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮

তনুশ্রী চক্রবর্তী


অবসরের সন্ধানে
-------------------------




আশ্চর্য্য হওয়াটাও বোধহয় একটা আনন্দ বা বিষাদের আলিঙ্গনের মতো।আমি,তুমি,আমরা প্রত্যেকেই অবাক হই;কখনোও আবার বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই।কিন্তু কেন?নতুন কিছু ঘটে বলে?নাকি আমরা অবাক হতে ভালোবাসি বলে কিংবা হয়তো একযোগে অনেকে বলে উঠবেন আরে যা হঠাৎই হলো তা দেখে বা যা কখনোও দেখিনি তা দেখে অবাক হবোনা!নিশ্চয় হবেন,তাতে কোন বাধা নেই।কিন্তু এই যে বাক্যিহারা দশা হলো তা যে আসলে কি তা নিয়ে বেশ হুলস্থুলু কাণ্ড করে ভাবতে গিয়ে দেখলাম এই যে অবাক হওয়া কিছু শুনে বা দেখে তার স্থায়ী হয় কতোটুকু সময়?প্রেমিক বা প্রেমিকার নিবিড় আলিঙ্গনের মতো কয়েকটা মুহূর্ত মাত্রই তো?প্রথম সমুদ্র দেখা প্রথম স্বপ্ন ছোঁয়া প্রথম জনসমক্ষে স্টেজে ওঠার কথা মনে পড়লেই এক আনন্দের অনুভূতি আসে তারপর একসময় সুখস্মৃতি হয়ে ডায়েরীর হলুদ পাতায় লাল কালির অক্ষরের মতো জ্বলজ্বল করে ওঠে।লাল কালি বললেই আবার পরীক্ষার খাতা!উফ কোথায় যে শান্ত পাই!ছিলাম অবাক এই অনুভূতির পোষ্টমর্টেমে ব্যস্ত এবার না বলে না কয়ে ঢুকে পড়লো ভীতি!আসলে বোধহয় আমরা মুক্তি চাই;দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি থেকে কিংবা নিদেনপক্ষে উদাসীনতা থেকে মুক্ত হবার একখণ্ড অবসর।কে দেবে কোথায় পাবো সেটুকু সময়!সেই ছোট্ট খুশীর ঝলক হয়তো নিয়ে আসে সময়; সুখ কিংবা দুঃখের ছদ্মবেশে, যাকে বিস্ময় বলে ভাবতে ভালোবাসে মন নাকি সবটাই ভ্রম!হতেই পারে।সত্যিই তো,'বিপুলা এ পৃথিবীর কতোটুকু জানি'!তবু বারবার সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে যতক্ষন না মেহের আলী চীৎকার করে বলে ওঠে,'সব ঝুঠ হ্যায়,তফাৎ যাও'।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন