সোনা বউদির কথা-১
সোনা বউদির কথা বলা হয়নি কখনো।
সর্ষেফুলের ভোর ঝুলে থাকত মুখে।
আঁচলে হাওয়া দুলিয়ে
মুঠো মুঠো হাসি বিলিয়ে দিত
পায়রাদের ভিড়ে।
আর কী কৌশলে যেন ঠিক লুকিয়ে রাখত
দুপুরের ছায়া।
সোনা বউদির কথা বলা হয়নি কখনো।
সর্ষেফুলের ভোর ঝুলে থাকত মুখে।
আঁচলে হাওয়া দুলিয়ে
মুঠো মুঠো হাসি বিলিয়ে দিত
পায়রাদের ভিড়ে।
আর কী কৌশলে যেন ঠিক লুকিয়ে রাখত
দুপুরের ছায়া।
সন্ধ্যা পেরলেই সে সোনা বৌদিই
শামুকের খোলে রাত বিছিয়ে
একা একা হেঁটে যেতে চাইত
তারামণ্ডলের দিকে।
কতকাল আগের সেই সোনা বউদি
এখন আমার উঠোনে
তুলোবীজ ওড়ায় যখন তখন।
সোনা বউদির কথা-২
সোনা বউদির উঠোনে কুয়াশাকুসুম,
তুলোবীজ ওড়ে প্রায় সারাবছরই।
বাৎসরিক উৎসবের মতো উষ্ণতা আসে।
শীতকালীন ঋতুসংহার
অহংকার লুকিয়ে রাখে কম্বলের ওমে।
কুরুশ কাঁটায় ফ্যাকাসে উল
যত্ন খুঁজে ফেরে।
সোয়েটার সোয়েটার ভোর-গান
উঠোনে বিছিয়ে দিয়ে
হাসির আলখাল্লা ঝুলিয়ে রাখে
সোনা বউদির ছাইয়ের উনান।
সোনা বউদির দুই ঋতু শীত আর বর্ষা
হাসাহাসি করে দুই বোনের মতোই।
সোনা
বউদির কথা-৩
কিশোরী বেলায় সোনা বউদিকে আমি দেখিনি।
দুপুরের লুকোনো ছায়ায় বসে গল্প শুনেছি।
যে-রাজকুমারকে ভালো লাগত,
যার মুকুটের পালক নিয়ে প্রহর গুনত বউদি,
সে একদিন হারিয়ে গেল অরণ্যের ঠিকানায়।
সেই থেকে বউদি ঘন অরণ্য ভালোবাসে,
চিরহরিৎ বৃক্ষের ছায়া ভালোবাসে,
আর রোদ আড়াল করে নিজস্ব নিয়মে।
নিয়তিতাড়িত মেঘ উড়ে যায় দূরে...
কিশোরী বেলায় সোনা বউদিকে আমি দেখিনি।
দুপুরের লুকোনো ছায়ায় বসে গল্প শুনেছি।
যে-রাজকুমারকে ভালো লাগত,
যার মুকুটের পালক নিয়ে প্রহর গুনত বউদি,
সে একদিন হারিয়ে গেল অরণ্যের ঠিকানায়।
সেই থেকে বউদি ঘন অরণ্য ভালোবাসে,
চিরহরিৎ বৃক্ষের ছায়া ভালোবাসে,
আর রোদ আড়াল করে নিজস্ব নিয়মে।
নিয়তিতাড়িত মেঘ উড়ে যায় দূরে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন