রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

পিয়ালী বসু


স্পর্শ ও প্রতিশব্দের বায়োস্কোপ–প্রথম স্ন্যাপশটে নিরাপদ বিশ্বাস ও মৃত্যু

ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য শব্দগুলি স্তনের মরশুমি ভাঁজে
গত জন্মের স্মৃতিমুখর আর্দ্রতা লিখে রাখছে 
:
বাইরে এখন প্রবল বৃষ্টি , রবীন্দ্রনাথ - শক্তি চাটুজ্যে গালিচা পেতেছেন
বিষাদের  আনোখা উদ্ভাসে 
:
"আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার
পরানসখা বন্ধু হে আমার"


কিন্তু তুমি নেই বাহিরে - অন্তরে মেঘ করে
ভারী ব্যাপক বৃষ্টি আমার বুকের মধ্যে ঝরে " 
:
গানের কলিতে সন্তর্পণে ... মাপ বুঝে গেঁথে বসছে ... 
:
মধ্য সপ্তকে'র সুর ছাপিয়ে 
নকশাবন্দী ইচ্ছেগুলি কুরুশের কারুকাজ তৈরি করছে 
:
অসাবধানী শব্দগুচ্ছেরা 
তিরিশের টানটান নাভি পেরিয়ে দূরবর্তী সম্পূর্ণতায় 
অকালবোধনের যাবতীয় শর্ত বুঝে ... শরীরী ক্লিভেজে
স্পর্শের পোজিশন মাপছে ...
:
সুস্পষ্ট ভাবনার প্রতিফলনে ...আধো আলো-আবছায়ায় 
শব্দজোড়া স্মৃতিকাতরতা ক্রমাগত অগণিত ক্ষয় ছুঁয়ে যাচ্ছে 
:
লেখাকে বাঁচিয়ে রাখে শব্দ আর উপমার অবিরত চোরাস্রোত , অথচ এই মুহূর্তে শহরের পথে ঘাটে উদাসীন অসমাপ্ত প্রেম , ধূমকেতু , ছায়াপথ গুঁড়িয়ে স্পষ্টতর হচ্ছে স্মারক মনখারাপ । 
:
আমি ও আমার ছায়া এই মুহূর্তে পরস্পরের মুখোমুখি বসে
এতদিন আলপথ ছিল কথার নিভৃত সহবাসে 
আজ ... আবছায়া মৃত্যুকে সঙ্গী করেছে স্পর্শ সম্ভাবনার অনিশ্চিত প্লাবন
:
তারপর ... 
:
নগ্নতাজনিত ক্লিশে ধারণাগুলিকে 
অনন্ত বৃষ্টির শব্দে ধুয়ে ফেলে ...হাওয়া মেহফিলে প্রবেশনিষিদ্ধ স্তব্ধতা
:
প্রতিটি বিশ্বাসী সম্পর্কের আড়ালে আসলে নিঃসঙ্গতা , যাপন করা প্রাত্যহিক ব্যর্থতা থাকে ... ব্যক্তিগত উপলব্ধি ও দীর্ঘকালীন সময়ের অবয়বে ,শব্দের পরেই জন্ম হয় প্রতিশব্দের , কথারা কোন প্রতিশ্রুতি বহন করেনা , একথা মেনে নিয়েই অনবরত শব্দক্ষরণ হতে থাকে ... শূন্য মুহূর্তের গহন ঘেরাটোপে ।



( ক্রমশ )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন