মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

অনিন্দ্য রায়


ছায়াবীথিতলে


হ্যাঁ, বিস্ফোট সেই, শব্দ, প্রসারণশীল
হ্যাঁ, সেই দড়াম, শক্তি, হ্রাসমান, ক্রমে
হ্যাঁ, সেই সুতোর টুকরোরা, ছিঁড়ে ছড়িয়ে পড়ছে
কো               থা                   য়
কোনো থায় নেই, সে নিজের ওপরেই নিজে বড় হচ্ছে
নিজেরই অন্তর ভেঙে বানাচ্ছে উদ্বায়ী ও অগ্নিগোলাগুলি
ছুটছে,  হ্যাঁ, নিজেরই প্রান্তর ধরে ছুটে যাচ্ছে শিশু
মহাজাগতিক
শূন্যের চেয়ে নামমাত্র বড়
সময়ের চেয়ে সামান্য অনুজ
হস্ত-পদ-পেট নেই
মুখবিবর একটি
চক্ষু-নাক-কর্ণ নেই
একটি গহ্বর জায়মান 
বমন করছে তারাপিণ্ড, গ্রহপিণ্ড, উল্কাপিণ্ড
পিত্ত নয়, অম্ল নয়
আঁধারের রসে সব মাখামাখি 
হ্যাঁ, অন্ধকার, টানটান, কোথাও কোঁচকানো অন্ধকার
ব্যপ্ত এই তিনশো ষাট গুণিত তিনশো ষাটটি দিকে
মাঝে কোথাও কোথাও ছিঁড়ে গেছে
আর ওই ছিদ্রপথে জেগেছে নক্ষত্র
আর ওই ছিদ্রপথে মরেছে নক্ষত্র
আর ঘনকৃষ্ণ পতিত হয়েছে
তিনি হাঁ করলেই বিশ্বরূপ
গ্রাস করলেই অন্য বিশ্ব এক
এক তো না
বরং প্রতীপ
উল্টো অনিন্দ্য লেখে উল্টো সৃজনে
উল্টো পাঠিকা, তুমি প্রতিকবিতা পড়ো

প্রতিছায়াবীথিতল
অঙ্ক কষে দেখি আমি
যেন তা উল্লম্ব আছে
বাস্তবতা নিম্নে শুয়ে রয়
মন্ত্র পড়ে দেখি আমি
কালীমূর্তি
নীচে মহাদেব
এবং মুণ্ডের মালা
গ্যালাক্সি সকল
কন্ঠ থেকে রক্ত নয়
ঝরছে আলোর ফোঁটা
একটি শৃগাল জিভ বাড়িয়ে রয়েছে
ডাকগুলি, শিবাগুলি তার
নিশির তরঙ্গগুলি পাড়ি দিচ্ছে
উথালপাতাল

হ্যাঁ, গো, সকলই নিম্নগামী
সকলই বস্তুই চায় বস্তুদের নিকটে টানতে

তবু কেন দূরে থাকা, এত এত দূরে সরে যেতে হয়
একটি গ্যালাক্সি থেকে অন্যদের
একটি নক্ষত্র থেকে অন্যদের
একটি পরাণ থেকে অন্য প্রাণ ভ্রাম্যমাণ হয়
!

ছবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার : অরিণ রায়









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন