১
খণ্ড খণ্ড মানুষ
কোন্ সীমানায় গিয়ে দাঁড়াব ?
খণ্ড খণ্ড মানুষ নিজেদের ভাগ করে নিয়েছে
নিজেদের গর্ত খুঁড়ে ঢুকে গেছে
যে যার অন্ধকারে
পিছল রাস্তায় রক্তের স্রোত
হাঁটতে হাঁটতে পড়ে যাচ্ছি
অদ্ভুত মুখোশ পরেছে কেউ কেউ
হাতগুলি হিংস্র থাবা হয়ে গেছে
নতুন দিন আসার বিজ্ঞাপনে লেগেছে রক্ত
এত অন্ধকার কখনো দেখিনি
কেঁদেই চলেছি একা নিরবধি
কার কাছে এজীবন রেখে যাব ?
অবিশ্বাসী ঝরনারা বেগে বয়ে চলেছে
কী করে স্নান হবে তাদের জলে ?
আবেগের ছিপি খুলে ওষুধ দাও
নিরাময় ফিরে আসুক ঘরে.....
২
মৃদুমন্দ হাওয়ায় ফাগুন আসছে
মৃদুমন্দ হাওয়ায় ফাগুন আসছে
একটি ডুমুর গাছ সারাদিন ঘুরে ফিরে আসে
পুকুর ঘাট, হাঁস আর বাসনকোসনের শব্দ
আর নীল ডুরে শাড়ি
লাল চপ্পল শুধু যাওয়া আসা করে
ধূমপান করিনি সারাদিন
নির্জনতা ভেঙে ভেঙে পায়রা উড়ে গেছে
আকাশ নেমেছে জলে , ঢেউয়ের সংসার
চন্দন কাঠের রঙে রোদ বাঁশি বাজিয়ে গেল
একা আমি ঘর খুলে দিই
আর শূন্যকে বসাই ডেকে
র চা এনে দাও দেখি
বহুদিন আগেই সব গাভি চলে গেছে মেঘে
মৃদুমন্দ হাওয়ায় ফাগুন আসছে
বেশ আলতা পরেছে রাঙা পায়ে
চোখেও তার জ্যোৎস্না লেগে আছে
নাতিশীতোষ্ণ সুরে মন ভিজে গেছে আমার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন