শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রীনা তালুকদার

আইফেল টাওয়ার


দেখা হলে জ্বলে উঠি। ফোরফট্টি ভোল্টেজ
ছুঁয়ে দ্যাখো বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে
হৃদয়ের নিউক্লিয়াস জালানি চক্রে পারমাণবিক রিএ্যাক্টর
স্পর্শতাই ‘র’ ম্যাটেরিয়ালস
তারপর বিক্রিয়ার ইয়েলো কেক চোখা চোখিতে
রূপান্তরিত হচ্ছে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইডে
করতল কাঁপে পরশে আবেগের আবীর সমৃদ্ধ সেন্টিফিউজ
দু:খের দুর্বলতার ডিপ্লিটেড অংশ বাদ রেখে
তৈরী হতে থাকে মিশ্রণ
মাইনিং ও মিলিং, কনভারশন, সমৃদ্ধকরণ, দণ্ড ফেব্রিকেশন
আর রিএ্যাক্টর কোরে ফিশান তারপর বার্ণআপ ...
একবার তাপলে পার করে চল্লিশ বছর
রাখবে কোথায় কোন কেনিষ্টারে ?
কৌটা ভরে ভেবে দ্যাখো
চল্লিশ পেরিয়ে আসা ষ্টেশন
পঞ্চাশের কৈলাসে ধাবমান
যতই দেখা ততোই একরোখা কোকিলের বাহারি তান
ড্যাবডেবে ডুমুরের ফল রংধনু রঙে
পরিপক্ক বৃক্ষের জমকালো দিন
পাছে ট্র্যাফিক জ্যাম
মোড়ে মোড়ে রেড সিগনাল
ছুটছে ল্যান্ড ক্রুইজার বেপরোয়া গতি
সার্জেণ্ট বেহাল, বাঁশির সাইরেণ
লক্ষ্য একটাই আইফেল টাওয়ার।



অবাধ অনলের আঁচে
রীনা তালুকদার

অবশেষে করনি বিশ্বাস তুমিও
খেলছো অনর্থক দাবাড়ু খেলা
প্রয়োজন ছিলনা আর্মন্ড ট্যাঙ্ক আচরণ
ভালোবেসে তোমার সাথে কি তবে
এই ছিল চির চেনা চোখের ভাষা
ভাগ্য বিশ্বাস করিনি কোনোদিন
ভেবেছিলাম ভবজগতে কর্মই মানুষকে
নিয়ে যায় সুদূরের বর্ণিল ইতিহাসে
আই লেজার রশ্মিতে রোমান্টিক ব্যাধির আক্রমন
বিভীষণ ঝড়ের গতিমুখ মন বোঝেনি
প্রতিদিন ক্লান্ত বিকেলের আকাশ
প্রভাত সূর্য সিঁদুর পরে আড়াল হয়
ঘূণপোকা আগুন এতটা পুড়েছিল কবে
-লোলিত পাঁজরের মুক্ত বারান্দা
কত কাছাকাছি থেকেও টের পাইনি বিন্দু বিসর্গও
মধ্যরাতের স্বপ্নরা বিকলাঙ্গ পায়ে হেঁটে যায়
হতভাগ্য বিশ্বাস চৌরাস্তার মোড়ে ভ্রুকুটি হানে
ভালোবাসা অবাধ অনলের আঁচে
কেন তিল তিল পুড়ে মারো
অনন্ত পোড়া হৃদয়কে
সেইতো তবে ভাল
দাও এই জিভে তুলে হেমলক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন