শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

অনিন্দ্য রায়


হয়তো তোমারই


পিঠের প্রান্তরে আসি , অল্প ঘাস, ছায়া-মহাকাশ
ছড়িয়ে রয়েছে বাকি আটদিকে , আমিও আঙুলে
হাঁটি, নখে আঁকি গ্রহনক্ষত্রের স্থান, মৃত্তিকার শাঁস
দাঁতে ছিন্ন করি, জিভে রক্তের লবণ লাগে, চুলে
মুছে নিই স্বাদ, নিয়ে অতোটা ভূগোল পুনরায়
ভ্রমণ চেয়েছি, হেঁটে, হাঁপিয়ে উঠলে হামাগুড়ি
দিয়ে, হোক যেনতেন, জ্বলে উঠতে উল্কার ধাক্কায়
তোমাকে ছোঁয়ার আগে ধ্বংস হয়ে যেতে পুরোপুরি

তোমাকে ছোঁয়ার পর মনে হয় পুনর্জন্ম আছে
সকল শ্রমেই আছে ঘুমের চাদর, নগ্নতাকে
বারবার জাগরণ ভেবে চেপে ধরি, তার কাছে
বন্ধক রেখেছি বিম্ব, আয়নাটি ইশারায় ডাকে
দেখি, মাঠ শেষ হলে আপেল বাগান, দুই ঢিবি
নদীখাত, ওপিঠে অপেক্ষা করে আমার পৃথিবী

ছোট ছোট গাছ
গাছের তলায়
বারুদের কূপ
আগুনের নাচ
চোখ পুড়ে যায়
তুমিও তো চুপ
চাপ শুয়ে থাকো
হাওয়ার পোশাকও
ছিঁড়ে ফালিফালি
গাছ ছোট ছোট
যে ডালেই ওঠো
মাথা নীচু কুঁড়ি
যদি হাততালি
দিয়েছ হঠাৎ
যদি ধরো হাত
কোথাও মাধুরী
উঠবেই বেজে
ছোট ছোট গাছ
কী তামাশা এ যে
পুরুষের আঁচ
স্ত্রীর জলাশয়
নিয়ে বড়ো হয়

তোমার শরীর
ছুঁতে চায় শ্রীর
স্নানের লিরিক
কোনোদিন ঠিক
সে পাবে গানের
তুমুল বারিষ
সে অভিমানের
ওষুধ ও বিষ
ছোঁয়ালাম ঠোঁটে

ছোট ছোট গাছ
গাছে গাছে ফোটে
কুসুম কুসুম
আমাদের ঘুম

ঘুমের ভেতর
একখানি ঘর
একা মোমবাতি
একা একা ফুঁয়ে
নিভিয়ে দিলাম

প্রিয় ডাকনাম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন