শীতের সোহাগ
এক --
একটা শীত আমায় টেনে নিয়ে যায়
চোদ্দ ষোলো হয়তো বা আঠারোতে
পাশ থেকে ওম খসে যায় যখন মার সাথে
শত প্রশ্ন নাছোড়বান্দা জানলার ফাঁক দিয়ে
চোখে মুখে মেখে থাকে আঁচলের গন্ধ
চারিদিকে কুয়াশার সেই হাহাকার শ্বাসে
এক চিলতে রোদে ফিরে যাই আঠারোতে...
দুই --
উত্তরের মুকুলিত সুরে বিচুলি গাদায়
কিচিরমিচির ছাতার পাখির দল যখন সোহাগ নিতে ব্যস্ত
তখন তিনকোনা কাঠের জাল
প্রতিজ্ঞাবধ্ব রস মেরে গুড় করতে ।
চারিদিকে কুয়াশায় চাপা পরে গেছিল পোশাকি বাহার ।
কাঁচা হলুদে স্নান সেরে বাসন্তি রঙে
তিনকোনা রুমালে মায়ের হাতের ছোঁয়া আজ ও
শ্রী পঞ্চমী বয়ে আনে ।
সব ধুয়ে গেলেও সেই কবে থেকে
আজ ও তোলা আছে দোয়াত কলমে ...
তিন
আজ ও যখন একটা কুল রক্ষা করে ছেলে
অনায়াসে গা ভেসে যায় কুলকিনারাহীন স্রোতে
কত মেয়েজীবন ধসে পাকা কুলের লোভে অষ্ঠেপৃষ্ঠে সময় ডোবে সুখের নদীর জলে
সব নোনতা কেটে যখন জিভে লাগে শেকল
তবু যেন দরকষাকষি একটা শীতের রাতে
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় নকশা আঁকা কাঁথা স্টিচে নাইটগাউন
মনমরা স্বপ্নগুলো কিলবিলিয়ে ছেঁড়াকাথার টানে
কোঁচরভর্তি গেঁদাগুলো দিব্বি সতেজ দমবন্ধ ঘরে
আমার শীতের রাত কাটে নিবিড় একটা রুমহিটারে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন