বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯

অর্পিতা বোস

আত্মজ 
_________



_____________

  অনাথাশ্রম থেকে বাড়িতে ফিরে  তিস্তা দেখে ত্রিদিবের ফটোর সামনে তীর্থ চুপ করে একটা চেয়ারে বসে আছে। কোনো কথা না বলে ফ্রেশ হয়ে শোবার ঘরেএসে বসে।ড্রেসিং টেবিলের দুজনের ফটোতে  ত্রিদিবের হাসিটা এখনো যেন জীবন্ত।ফোটো টাতে হাত বোলাতে বোলাতে বলে , আমি কী করবো এখন?আমাকে কার কাছে  রেখে গেলে?  
    এমন সময়ে  আরতী এসে   রাতের খাবার গরম করবে কিনা জানতে চাইলে, তিস্তা  জানায় তার খিদে নেই। তীর্থকে খেতে দিয়ে আরতীকে খেয়ে নিতে বলে।
   নিজেকে বড়ো অসহায়, একাকী লাগে তিস্তার ,তবু বুকের কষ্টটা চোখ বেয়ে নামেনা। হঠাৎ দরজায় নক করার শব্দে তিস্তা দেখে তীর্থ দাঁড়িয়ে, আসব ?
--এসো।
 কি বলবে তিস্তা বুঝতে পারেনা,বুকের ভেতর ঝড় ।তীর্থ খাটের পাশে দাঁড়িয়ে বলে,তুমি  খাবেনা? 
  একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিস্তা বলে,খিদে নেই,তুমি খেয়েছ ?
--আমারও খিদে নেই ।
   ঠিক ত্রিদিবের মতোই বললো তার সন্তান।শুধু কি ত্রিদিবের সন্তান তীর্থ? সে তো তারও সন্তান ।বুকটা মোচড় দেয়,তার আত্মজ অথচ যেন কতদূরের মানুষ।দোষ কার! নাহ্-এসব ভাবার সময় নেই।তীর্থকে বলে,তুমি খেয়ে নাও।কাল তো বেরোবে।
প্যাকিং হয়ে গেছে? 
তীর্থ বলে,প্যাকিংতো তেমন কিছুনা।বেশি কিছুতো আনিনি, তবে বাবাই  সবসময়ই --
   তীর্থের গলাটা ধরে এলো, তিস্তা নিজেকে সামলে বলে, খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।
 আরতী--
    হাঁক দিয়ে নিজেই খাবার টেবিলে খাবার বেড়ে দিতে   লাগল তিস্তা। শুধু তীর্থের খাবার বেড়ে দিলে তীর্থ বলে ওঠে,খালি পেটে শুলে তোমার শরীর খারাপ করবে,একটা রুটি খেয়ে নাও।
  চোখটা জ্বালা করে ওঠে তিস্তার,কিন্তু নাহ্ ,দুর্বলতা প্রকাশ করা তিস্তার স্বভাব নয়।তবু এমন করে এই প্রথম তার সন্তান তাকে খেতে অনুরোধ করলো,বুকটা কেমন করে ওঠে। নিশ্চুপে দুজনে খেয়ে ওঠে।খাওয়া শেষ করে তিস্তা শোবার ঘরে এসে বসে,তীর্থের তার জন্য আজ প্রথম অনুভূতির প্রকাশ, তিস্তার ভালো লাগে।ঘুম  আসছেনা দেখে বাইরের বারান্দাতে গিয়ে বসে তিস্তা।
 রাস্তার ওপারে একটা কুকুর আর তার বাচ্চাটা খেলছে।
তিস্তার বুক ঠেলে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছে নার্সিংহোম তার কোলে সদ্যোজাত তীর্থ।বহু চিকিৎসার পরে তার  আত্মজকে স্পর্শ করে তিস্তার সাথে সেদিন ত্রিদিবের চোখেও জল ছিল।কিন্তু সুখের সময় ছিল স্বল্পস্থায়ী।বাড়িতে আসতেই তিস্তার চেনা সংসারটা কেমন চোখের সামনে বদলে যেতে লাগল।একমাত্র বংশধরের সঠিক দেখভাল করতে অনভিজ্ঞ তিস্তার সক্ষমতা নিয়ে সদ্য স্বামীহারা শাশুড়ির সন্দেহ প্রকাশে তিস্তা অবাক হলেও ভাবতো,হয়তো দীর্ঘপ্রতীক্ষার অবসানে নাতির প্রতি স্নেহের কারণে এমন করতেন এবং তীর্থের সাথে সময় কাটালে শোকার্ত একাকী শাশুড়িমার ভালো লাগবে।তিস্তা তাই প্রথমে তীর্থকে তার শাশুড়িমার কাছেই বেশি সময় রাখতো।কিন্তু ধীরেধীরে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলো, এরমাঝেই আবার শারীরিক জটিলতার কারণে তিস্তাকে অপারেশনের জন্য ছোট্ট তীর্থকে তার ঠাকুরমার জিম্মায় রেখে তিস্তা দশদিন নার্সিংহোমে রইলো।সেসময়টা ছোট্ট তীর্থকে দেখার জন্য,তাকে কাছে পাওয়ার জন্য তিস্তার মন ছটফট করতো।স্তনবৃন্ত উপচে তীর্থের আহার বয়ে যেত যখন, অথচ তীর্থ কৌটোর দুধ খাচ্ছে, তখন তিস্তার চোখে অকাল শ্রাবণ নামতো।আকুল হয়ে  দিন গুনতো ছুটির।
বাড়িতে পা দিয়েই তীর্থকে কোলে নিতে চাইলে, শাশুড়িমা বলেন, ঘুমোচ্ছে ,পরে দেখো,ঘরে গিয়ে রেস্ট নাও।
  ত্রিদিবও তার মাকে সমর্থন করলে ক্লান্ত তিস্তা মনখারাপ করে নিজের ঘরে তীর্থের ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষা করে।
  ছোট্ট তীর্থের কান্নার আওয়াজে তিস্তা তীর্থকে কোলে নিতে শাশুড়িমার ঘরে ছুটে গেলে,শাশুড়িমা ওঠেন, অসুস্থ শরীরে তোমার এসব করতে হবেনা।আমি তো আছি।
  কিংকর্তব্যবিমূঢ় তিস্তা চোখের জলে নিজের ঘরে ফেরে। 
  ধীরে ধীরে তিস্তা সুস্থ হয়ে উঠলেও তীর্থকে সেভাবে কাছে পায়না।আকুল হয়ে একদিন ত্রিদিবের কাছে তার কষ্টের কথা জানাতেই ,শোনে, বাড়িতেইতো আছে,  এঘর আর ওঘর,আর তোমারও রেস্ট দরকার।তাছাড়া মারও তো তীর্থকে নিয়ে ভালো সময় কাটছে।এসব ভেবোনা।ঘুমিয়ে পড়।
   অভিমানী তিস্তা সেদিন কথা বাড়ায়নি।কি বলবে? কাকে বলবে ?অভিযোগ জানানোর কে আছে তার?
  অসহায় তিস্তা ধীরে ধীরে সংসারে তার অবস্থান বুঝতে পারছিল।তীর্থকে ঘিরে তার ঠাকুরমা একটা বলয় তৈরি করেছেন যেখানে তিস্তার প্রবেশাধিকার নেই।একদিন এই বিষয়ে তিস্তা ও ত্রিদিবের মতানৈক্য চরম পর্যায়ে  ওঠে।ত্রিদিব এই বিষয় ভালো করে  লক্ষ্য করে,তার মায়ের তীর্থের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত স্নেহ, যা স্বাভাবিকতার সীমানা ছাড়িয়েছে।ত্রিদিব এই নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়।চিকিৎসক জানালেন,যে তার মা’র একাকীত্বের সময়ে  তীর্থকে আগলে তিনি নতুন করে জীবন শুরু করেছেন।
 এটা  একধরনের মানসিক ব্যাধি।এখন তীর্থকে ওনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে গেলে  মানসিক  আঘাতে আঘাতে তিনি  মানসিক  ভারসাম্য  হারাতে পারেন।
   অসহায় দম্পতি  কি করবে ,বয়স্কা মাকে এমন জীবনযাপনে আর বাঁধা না  দেওয়ার  সিদ্ধান্ত নেয়।
  সময় এগিয়ে চলে কালের নিয়মে,তীর্থ বড় হয়ে ঠাকুরমাকে 'মা' আর তিস্তাকে  'মামনি' বলে ডাকে।তিস্তা বিনাl প্রতিবাদে 'মামনি' ডাককেই আপন করে নেয়।শুধু অবাক হয়,তিস্তাকে তীর্থের কাছে দেখলেই শাশুড়িমা ছুটে এসে তীর্থকে নিয়ে চলে যান। তিস্তা দেখে তার সন্তান তার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, চাইলেও তীর্থকে সে ইচ্ছেমতো আদর করতে পারেনা।কিন্তু ঐ বয়স্কা মাতৃসমা  মানুষটিকে কেন যেন আঘাত দিতে মন চায়না তিস্তার।সে মনে করে তার সন্তান একদিন ফিরে তারকাছেই আসবে, সেদিন  তীর্থকে প্রাণভরে আদর করবে তিস্তা ।কোথাও একটা নাপাওয়ার  শূন্যতা তিস্তার বুকে জমতে থাকে।
 তীর্থ বড়ো হলে তাকে স্কুলে দিয়ে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে  পড়ানো, সব বিষয়ে সব দায়িত্ব তীর্থের ঠাকুরমা নিজের হাতে তুলে নেন। তিস্তা  অসহায়ভাবে শুধু দেখতে থাকে ।তীর্থ যতো বড়ো হতে লাগল,ততোই তিস্তার সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
    তারপর সেই দিন,তিস্তার মনে পড়ে, ছাদে জামাকাপড় তুলতে গিয়ে তিস্তা দেখে ক্লাস এইটে পড়া তীর্থের মুখে সিগারেট। নিজেকে সামলাতে পারেনা সেদিন। তীর্থের ফর্সা গালে তিস্তার পাঁচটা আঙ্গুলের ছাপ চেপে বসেছিল।তীর্থের মুখে অনুতাপের ছায়া না দেখে আশ্চর্য হয়েছিল তিস্তা।নিচে নেমে ত্রিদিব আর শাশুড়িমাকে বলতেই সবাইকে  অবাক করে তীর্থ উগ্রভাবে বলে ওঠে,কে তুমি আমাকে শাসন করার? জন্ম দিলেই 'মা' হওয়া যায়না।যা করেছে আমার মা-
  ঠাকুরমাকে ইঙ্গিত করে বলে,  যদি কিছু বলার থাকে, আমার মা বলবে।
     নিস্তব্ধ ঘরে অভিমানী তিস্তা জলভরা চোখে ত্রিদিবের দিকে তাকালে, ত্রিদিব বলে, গায়ে  হাত তোলাটা ঠিক না।
  স্তম্ভিত তিস্তাকে আরও অবাক করে শাশুড়িমা বলেন,  এই বয়সে অমন একটু আধটু -
কথার শেষটুকু না শুনেই তিস্তা ঘরে চলে যায়। কষ্ট, অভিমান বুকে চেপে বসলেও চোখ বেয়ে নামেনা।
   তিস্তার বুক ঠেলে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। সেই থেকে তীর্থ আর তিস্তার মাঝে একটা অদৃশ্য পাঁচিল গড়ে ওঠে।তীর্থ তখন থেকে  তিস্তাকে প্রায় এড়িয়ে চলতো।তিস্তার বুক ফেটে যেত,কিন্তু তিস্তার মনেও একবুক অভিমান জমে বরফ  হচ্ছিল। তীর্থ ক্লাস টুয়েলভে উঠার পরেই তীর্থের  ঠাকুরমা  মারা গেলেন, তখন একাকী তীর্থকে কাছে টানার জন্য তিস্তার সবরকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে  দুরত্ব আরও বাড়ে।সময়ের সাথে তীর্থ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে ম্যানেজমেন্ট  পড়তে  দিল্লি যয়।
তখনও অভিমানী  তিস্তা ভেবেছিল অন্তত দিল্লি যাওয়ার সময়ে তাকে যাওয়ার কথা বলবে।কিন্তু  সব ভুল ভেঙ্গে তীর্থ আর ত্রিদিব দিল্লি গিয়ে তীর্থকে  সেটল করে ফিরে আসে ত্রিদিব। ছুটিছাটায় তীর্থ কলকাতা খুব কম এসেছে, ত্রিদিব  দিল্লি গিয়ে দেখা করে  এসেছে।
    বাড়িতে একাকী তিস্তার সময় যেন কাটতে চাইতোনা।এমন সময়ে তিস্তা একজনের থেকে এই 'আলোর  দিশা'- নামের অনাথাশ্রমের সন্ধান পায়।এখানে যেন তিস্তা  নতুন করে নিজেকে খুঁজে পেল, ঐ ছোট ছোট  অনাথ শিশুদের মধ্যে।ত্রিদিবও কোনও আপত্তি করেনি,উল্টে সেও মাঝেমাঝে  তিস্তার সাথে 'আলোর দিশা'তে যেত।এমন করেই দিন কাটছিল,  কিন্তু সেদিন রাতে হঠাৎ ত্রিদিবের বুকে ব্যথা, দিশেহারা তিস্তা ডাক্তারকে ফোন করে উঠে ত্রিদিবের বুক ডলতে থাকে কিন্তু সেচেষ্টা ব্যার্থ করে হঠাৎই ত্রিদিবের মাথাটা তিস্তার কাঁধে এলিয়ে পড়ে। ডাক্তার এসে দেখেন সব শেষ।খবর পেয়ে পরদিনই ফ্লাইটে তীর্থ কলকাতা আসে।গতকাল সব কাজ মিটলে রাতে  বসে  ভাবছিল তিস্তা,তীর্থ চলে গেলে,একা একা  এই বাড়িতে সে কিকরে থাকবে? ঠিক করে, তীর্থ চলে গেলে সেও এই বাড়িতে থাকবে না, চলে যাবে যেদিকে দুচোখ যায়।
 কিসের পিছুটান তার?তীর্থর ক্যাম্পাসিং এ ওবেরয় গ্রুপে সিলেক্টেড।তাই  তীর্থের  ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা নেই, তাছাড়া ত্রিদিবের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ও কম নয়।নাহ -তিস্তাকে কারো আর প্রয়োজন নেই।
আজ গিয়েছিল তাই তিস্তা  আলোর দিশা'তে।তিস্তা l ওখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে থাকার জন্য  আগ্রহ প্রকাশ করলে,সাদর অভ্যর্থনা পায়।তাই তিস্তা ঠিক করেছে,তীর্থ চলে গেলে, তার ঠিকানা হবে  'আলোর দিশা।'
   দরজায় নক করার শব্দে তিস্তা তাকিয়ে দেখে সকাল হয়ে গেছে।নিজেকে বারান্দায় চেয়ারে খুঁজে পেয়ে বোঝে , কখন চোখ লেগেছে কাল  রাতে টের পায়নি।দরজা খুলে দেখে তীর্থ, হাতে ট্রেতে দুটো চায়ের কাপ, আর নীচে  একটা  ট্রলি ব্ব্যাগ।হতবাক তিস্তাকে তীর্থ  বলে, ট্রেটা  ধরে ভেতরে চলো।স্তম্ভিত তিস্তা চায়ের ট্রে নিয়ে খাটে এসে বসে।তীর্থ ট্রলি ব্যাগটা নিয়ে ঘরে এসে বিছানাতে বসে বলে, নাও গুছিয়ে নাও। দিল্লিতে কিন্তু  ঠান্ডা  পড়ে খুব, শীতের জিনিস বেশি করে নিও।
       তিস্তা অবাক হয়ে তীর্থের দিকে তাকাতেই, তীর্থ ট্রলি ব্যাগ থেকে একটা ডাইরি  বের করে তিস্তার হাতে দেয়। তিস্তার কাঁধে হাত রেখে বলে, বাবাইয়ের ডাইরি, আমাকে পড়তে  দিয়েছিল, মামনি। শেষবার  বাবাই যখন দিল্লি গেল আমাকে  এই ডাইরি টা দিয়েছিল। মা'র আমাকে তোমার থেকে  দুরে নিয়ে যাওয়া, তোমার কষ্ট, সব বাবাই লিখে গেছে ।কিন্তু মা'র থেকে আমাকে  কেড়ে নিয়ে তোমার কাছে  দিলে মা যে আরও অসুস্থ হয়ে যেত,তাই তুমি  এতোটা sacrifice করেছো মামনি!আমি তোমাকে ভুল বুঝেছি মামনি ,তোমার  কষ্ট, বাবাইয়ের কষ্ট,মা'র সমস্যা,মামনি আমি ডাইরিটা   পড়তে পড়তে অনুভব করছিলাম। এরপর মাঝেই  এমনভাবে বাবাইয়ের এই --
    ধরা গলায় তীর্থর কথাগুলো  মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিল তিস্তা।বুঝতে পারছিলনা, সে কি  স্বপ্ন দেখছে কিনা!
  সম্বিত ফেরে  তীর্থের কথায়,   আমি অনেক ভুল বুঝেছি তোমাকে।কতো কষ্ট তুমি  পেয়েছ মামনি, আর না।মামনি আজ এই মুহুর্ত থেকে আর ভুল বোঝাবুঝি নয়,তোমাকে ছাড়া আমি  আর থাকবোনা।কালকের  টিকিট  ক্যানসেল করে   পরশুরাম দুটো এয়ার টিকিট কেটেছি। আমার সাথে তুমি  দিল্লি যাবে। আপাতত এক বন্ধুর খালি ফ্ল্যাট  ভাড়া নিয়ে থাকবো দুজনে। তারপর অন্য ব্যবস্থা করে নেবো,ভরসা করতে পারো। 
 তিস্তা তার কাঁধে  তীর্থের ভরসার  হাতে মাথা রাখলো।
---তোমাকে ছেড়ে আর   থাকবোনা,মামনি ।
    তীর্থ জড়িয়ে ধরে  তিস্তাকে।
এতবছরের জমানো কষ্ট তিস্তার চোখ বেয়ে আজ আনন্দাশ্রু হয়ে ঝরে পড়ছে,আজ তার আত্মজ শুধুই তার ,একান্ত নিজস্ব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন