বিষয়-বাঙ্গালীর বিনোদন
#কফিহাউসের সেই আড্ডাটা......
#
প্রবাল, সুদীপা, অর্ক, সৌমেন, নীলাদ্রি, দেবারতি, তিতলি, ঝিনুক –ওরা সব কলেজের বন্ধু। এখন চাকরি সূত্রে সারা দেশে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। লেটনাইন্টিস, সায়েন্সকলেজ। তারপর কাজের চাপে অনেকদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফেসবুকের দৌলতে প্রবাল খুজে বার করে সববাইকে। ফোননম্বর নিয়ে শেষমেষ একটা ওয়াটসআ্যপ গ্রুপ। কফিহাঊস-১৯৯৫। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে নিছক আড্ডা। একে অন্যের খোঁজখবর রাখে ,মাঝে মাঝে বেড়াতে যাবার ফটো। তবুও গ্রুপটা ঠিক সজীব হয়ে উঠছিল না। সামনাসামনি বসে আড্ডা দেওয়া আর ফোনে আড্ডা,কিছুদিন পর সবাই ব্যাপারটায় বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ল। একবছর যেতে না যেতেই প্রায় সবার মধ্যেই সেই গাছাড়া ভাবটা দেখা দিল। অবশেষে অর্ক আর প্রবাল মিলে ঠিক করে তারা সবাই একসাথে একদিন আড্ডা দেবে কলকাতায়। বড়দিনের দিন বেলঘরিয়ায় অর্কর ফাঁকা ফ্ল্যাটে। মেনু ঠিক হল। কথায় আছে বাঙ্গালীর আবার ভুঁড়িভোজ না হলে আড্ডা জমে না। খাওয়া দাওয়ার সব দায়িত্ব নিল প্রবাল আর সুদীপা। সবার পছন্দসই খাবার নিতে নিতে লিস্ট বেশ লম্বা। কি নেই ইলিশ চিংড়ি থেকে শুরু করে মাটন চিকেন সব ঢুকেছে। সবার মতে একটা জমপেশ মেনু দরকার এতদিন পরের আড্ডাটা জমিয়ে তোলার জন্য।
গরম গরম বেগুনি,ফুলকপির পকোড়ার সাথে কফি,শীতের সকালে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। পুরনো সব কথা মনে পড়ছিল। পি শি স্যারের ক্লাশ বাঙ্ক করে সিনেমা যাওয়া। ক্লাশ কেটে প্রেম। প্রবাল আর সুদীপার প্রেমালাপ সেই তখনই। নিউইয়ার পার্টিতে পার্ক স্ট্রীটের রেস্তেরায় প্রথম বিলিতির আস্বাদন। পরীক্ষার আগে রাত জেগে আ্যসাইনমেন্ট শেষ করা। কি ছিল সেই সব দিন। কফিহাউসের সেই আড্ডা- নীলাদ্রি তখন কবিতা লিখত,আবৃত্তি করত। কলেজ ফেস্টে গান গাইত ঝিনুক। নীলাদ্রির ঝিনুককে ভাল লাগত সেটা ঝিনুক ছাড়া বাকি সবাই জানত। কলেজের ফাইনাল ইয়ারে হঠাৎ করেই ঝিনুকের বিয়ে হয়ে গেল। নীলাদ্রির আর বলা হল না।
তারপর আজ এত বছর পর দেখা। সবাই বিবাহিত,চাকরি সংসার নিয়ে ব্যস্ত। হাসি,ঠাট্টায় আজকের আড্ডাটা কেজো জীবনে অক্সিজেনের মত। সুদীপা,দেবারতি,তিতলি খাবার সাজিয়ে রাখছিল একটা টেবিলে। ঝিনুক পাশের ঘরে রাখা মিষ্টির প্যাকেটগুলো থেকে মিষ্টি সাজাচ্ছিল। নীলাদ্রি উঠে গেল ঝিনুকের কাছে। মিষ্টির বাটিগুলো ট্রে তে সাজাতে সাজাতে নীলাদ্রি বলল - বাঃ বেশ গিন্নী বান্নী হয়ে উঠেছিস। আজকাল আর গানটান গাস? -নাঃ সময় হয় না। তুই আবৃত্তি করিস? -মাঝে মাঝে। একটা গান কর। “কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...” পাশের ঘরে নীলাদ্রি আর ঝিনুকের গান শুনে সবার হাসি গেছে থেমে। তখন মুখ চলছে আর কানখাড়া করে সবাই গান শুনতে ব্যস্ত।
শব্দসংখ্যা-৩১০
#
প্রবাল, সুদীপা, অর্ক, সৌমেন, নীলাদ্রি, দেবারতি, তিতলি, ঝিনুক –ওরা সব কলেজের বন্ধু। এখন চাকরি সূত্রে সারা দেশে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। লেটনাইন্টিস, সায়েন্সকলেজ। তারপর কাজের চাপে অনেকদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফেসবুকের দৌলতে প্রবাল খুজে বার করে সববাইকে। ফোননম্বর নিয়ে শেষমেষ একটা ওয়াটসআ্যপ গ্রুপ। কফিহাঊস-১৯৯৫। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে নিছক আড্ডা। একে অন্যের খোঁজখবর রাখে ,মাঝে মাঝে বেড়াতে যাবার ফটো। তবুও গ্রুপটা ঠিক সজীব হয়ে উঠছিল না। সামনাসামনি বসে আড্ডা দেওয়া আর ফোনে আড্ডা,কিছুদিন পর সবাই ব্যাপারটায় বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ল। একবছর যেতে না যেতেই প্রায় সবার মধ্যেই সেই গাছাড়া ভাবটা দেখা দিল। অবশেষে অর্ক আর প্রবাল মিলে ঠিক করে তারা সবাই একসাথে একদিন আড্ডা দেবে কলকাতায়। বড়দিনের দিন বেলঘরিয়ায় অর্কর ফাঁকা ফ্ল্যাটে। মেনু ঠিক হল। কথায় আছে বাঙ্গালীর আবার ভুঁড়িভোজ না হলে আড্ডা জমে না। খাওয়া দাওয়ার সব দায়িত্ব নিল প্রবাল আর সুদীপা। সবার পছন্দসই খাবার নিতে নিতে লিস্ট বেশ লম্বা। কি নেই ইলিশ চিংড়ি থেকে শুরু করে মাটন চিকেন সব ঢুকেছে। সবার মতে একটা জমপেশ মেনু দরকার এতদিন পরের আড্ডাটা জমিয়ে তোলার জন্য।
গরম গরম বেগুনি,ফুলকপির পকোড়ার সাথে কফি,শীতের সকালে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। পুরনো সব কথা মনে পড়ছিল। পি শি স্যারের ক্লাশ বাঙ্ক করে সিনেমা যাওয়া। ক্লাশ কেটে প্রেম। প্রবাল আর সুদীপার প্রেমালাপ সেই তখনই। নিউইয়ার পার্টিতে পার্ক স্ট্রীটের রেস্তেরায় প্রথম বিলিতির আস্বাদন। পরীক্ষার আগে রাত জেগে আ্যসাইনমেন্ট শেষ করা। কি ছিল সেই সব দিন। কফিহাউসের সেই আড্ডা- নীলাদ্রি তখন কবিতা লিখত,আবৃত্তি করত। কলেজ ফেস্টে গান গাইত ঝিনুক। নীলাদ্রির ঝিনুককে ভাল লাগত সেটা ঝিনুক ছাড়া বাকি সবাই জানত। কলেজের ফাইনাল ইয়ারে হঠাৎ করেই ঝিনুকের বিয়ে হয়ে গেল। নীলাদ্রির আর বলা হল না।
তারপর আজ এত বছর পর দেখা। সবাই বিবাহিত,চাকরি সংসার নিয়ে ব্যস্ত। হাসি,ঠাট্টায় আজকের আড্ডাটা কেজো জীবনে অক্সিজেনের মত। সুদীপা,দেবারতি,তিতলি খাবার সাজিয়ে রাখছিল একটা টেবিলে। ঝিনুক পাশের ঘরে রাখা মিষ্টির প্যাকেটগুলো থেকে মিষ্টি সাজাচ্ছিল। নীলাদ্রি উঠে গেল ঝিনুকের কাছে। মিষ্টির বাটিগুলো ট্রে তে সাজাতে সাজাতে নীলাদ্রি বলল - বাঃ বেশ গিন্নী বান্নী হয়ে উঠেছিস। আজকাল আর গানটান গাস? -নাঃ সময় হয় না। তুই আবৃত্তি করিস? -মাঝে মাঝে। একটা গান কর। “কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...” পাশের ঘরে নীলাদ্রি আর ঝিনুকের গান শুনে সবার হাসি গেছে থেমে। তখন মুখ চলছে আর কানখাড়া করে সবাই গান শুনতে ব্যস্ত।
শব্দসংখ্যা-৩১০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন