শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮

রুমা ঢ্যাং অধিকারী

শাল থেকে ঘোড়ার নাল

ঝামেলা যবে থেকে সাঁতরে বেড়াচ্ছে
রাতগুলো উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েছে বনেবাদারে

বাদুড়ঝোলায় বিগতদিন আটক 
যদিও এজীবনে সম্পূর্ন 
                      গলাধঃকরণ সম্ভব নয়
                      গলাধাক্কা দেওয়াও

সমান্তরাল লাইন পার হতে গেলে
 রক্তকমলের এক একটা পাপড়ি খসে পড়ে
আর শাল থেকে বেরিয়ে আসে ঘোড়ারনাল

প্যারাসেফে এখনকার মতো থার্মোমিটারের পারদ নামে
    আর রুচি বাড়াতে দিন দিন করলায় মুখ ঠেকে যাচ্ছে
জল পড়ার দিনে ট্যারাব্যাঁকা ছাতা প্রয়োজন হলেও
  বাঁশির হোলগুলো আজ চোখ বুজেছে




২/   ছাতার বাঁটে মেঘালয়

পতত্রী অর্থে যে পাখিটা ডানাসমেত এখানে ধাবিত হচ্ছে
            তার মধ্যে বসবাস করে জিজ্ঞাসাচিহ্ন 
তার সূত্র ধরেই সমুদ্র খোঁজার অভিমুখে আমাদের ওড়া

ব্যাঙ ছোঁয়া মধ্যাহ্নে গড়ালে 
             পালকের নিচে বেড়ে উঠছে
         শ্লেটপেনসিলের কারিগর
একটা মহিষ বেরিয়ে আসে 
       এই যাওয়া আসার মধ্যে দোলে পিরামিড 
মেঘলা হলেও গাছ অনুপস্থিত 

ছাতার বাঁটে মেঘালয় পুড়ে 
                পাহাড় ভাঙা শহর এগিয়ে যাচ্ছে
আর বেড়ালের চিৎকার থেকে জন্ম নিচ্ছে
           ছত্রভঙ্গ হাওয়া 



৩/   পাশবালিশের দর

কদাচিৎ শূন্য থেকে উড়ে আসা মেঘের সাথে দেখা ব্রহ্মকমল
ফড়িং ঝাঁককে অনুধাবন করে বাড়ে
                       বীজগণিত সমান জটিলতা
এবং পাতার খোপে গুণিতকগুলো ছিঁড়ে গেলে 
               ভাগাভাগির ভেতর যোগের সূত্র 
এতে কোন সংশয় নেই যে 
   রাজহাঁসের প্যাকপ্যাকানি সবুজরঙেই মানায় ভাল

যদি গাধার চামড়া উপড়ে ফেলা হয় 
          তবে একদিন আইফেল টাওয়ারে ডিনার করব
আর পিগিবক্সগুলো লম্বা করবে আমার চাইল্ডহুড
তাই আগে চলা নীলপ্রলেপের গলাটাকে ফাটাতে 
                                               বারবার মানা করি

বাঁশ চিরে কাগজের মগজধোলাই পরে হবে
এখন আসুন পাশবালিশের দর করি








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন