সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

উজান উপাধ্যায়

সাতাশ জন্মের


পিছিয়ে পড়ছি , পাথরের স্তূপ গলে পড়ছে স্মৃতির ভিতর । এই সব স্পর্শগন্ধ হঠাৎই থমকায় , আবার চলকে যায়। পারদের পিঠে আলো পড়ে চকচকে করে তোলে তোমার আমার সব সংলাপ , আমরা
রাতজেগে যেগুলো লিখেছি , মাস্তুল ভেঙেছে -তছনছ হয়ে মিশে গেছি ছায়ার ভিতর ছায়ার উপরিপাতনে। আমাদের ছায়ারা সংগমে লীন , আমার তখন ঘর সাজাচ্ছি তাসের উপর তাস রেখে।

জানি আমি ,এইসব তুচ্ছ উটকো বিরক্তিগুলোকে ইতোমধ্যেই মিউনিসিপ্যালিটির আবর্জনা সংগ্রহ করার গাড়িতে ফেলে দিয়েছো , শেষপাতে থুতু মিশিয়ে উড়ে গেছো বিষাক্ত ঠোঁটে মৃত্যুনীল মিশিয়ে উত্তাল শহরে নবতম প্রেমিকের খোলাবুক , সশব্দ বোতাম উষ্ণতায় --ভিজতে যে জেনেছে তুমুল।

আমাদের মেট্রোরেল , রেস্তোরাঁর গল্পগুলোতে আঁশটে জল ঢেলে উবেরের জানলাকাচ খুলে বামহাতে ছুড়ে ফেলে গেছো নিরাভরণ ম্যানহোলে - 

আমিতো ওখানেই বসে আছি -কপর্দকহীন । আমাদের গল্পগুলোকে জাদুঘরে যেতেই দেবোনা-এখানেই অনিঃসীম অপেক্ষা , সাতাশ জন্মের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন