সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

দীপ্তি মৈত্র


★পূজার সাজ★
 
  
আজকে চক্রবর্তী বাড়িতে খুশির জোয়ার বইছে।চিত্রার বাবা,মা,কাকাই,কাকিমণি সবাই মিলে পুজোর বাজার করতে গেছে।চিত্রা,সুজন আর সুস্মিতা সবাই মিলে ঠাকুমার সাথে বসে নানা জল্পনা কল্পনা করছে বাবাই,মা,কাকাই সবাই কী কী আনবে তা নিয়ে।কোথায় ঘুরতে যাবে তা নিয়ে।বর্ষা চুপচাপ বসে বসে তাদের গল্প শুনছে।সুজন ও সুস্মিতা,চিত্রার কাকাইয়ের ছেলে মেয়ে।বর্ষা ওদের বাড়ির  পরিচারিকা শম্পার মেয়ে।শম্পা মারা যাবার আগে বর্ষার দায়িত্ব ওদের ওপরেই দিয়ে গেছিল।ইতিমধ্যে অজয়বাবু,সুজয়বাবুরাও এসে হাজির।বাচ্চারা সবাই উৎসুক হয়ে আছে কার কী জামা এনেছে দেখার জন্য।বর্ষাও চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছে জামাগুলো। আর ভাবছে ওর মা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে ওর জন্যও হয়তো একটা নতুন জামা কিনে আনতো।চিত্রা হঠাৎ আনন্দে লাফিয়ে উঠে বলল-“এটা আমার বেস্ট জামা।”সম্বিত ফিরল বর্ষার।দেখল চিত্রা হাতে ধরে রয়েছে একটা নীল রঙের আনার কলি। বর্ষার চোখটাও জামাটা দেখে চিক চিক করে উঠলো। এরপর মীনাক্ষী দেবী ব্যাগ থেকে বের করলেন আরও দুটো একই রকম জামা।একটা সুস্মিতার,অন্যটা বর্ষার।বর্ষাকে কাছে ডেকে বলল“এই জামাটা তোর জন্য এনেছি।পছন্দ হয়েছে তো?”বর্ষা মুখে কিছু বলতে পারেনি।শুধু ছল ছল চোখে জড়িয়ে ধরেছিল মীনাক্ষী দেবীকে।মীনাক্ষী দেবী চিত্রাকে কোলে পেয়ে যে অভূতপূর্ব আনন্দ পেয়েছিলেন,আজ আরও একবার সেই আনন্দ,সেই তৃপ্তি অনুভব করলেন।
     

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন