যুগ যুগ ধরে কবিদের রচনায় বৈশাখ প্রকৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের কবিতা ও গানে বৈশাখ এসেছে নতুনের আহ্বানের উৎস হিসেবে। কবিগুরু জীর্ণ-পুরাতনকে বর্জন করে নতুন সত্ত্বা নিয়ে সকলকে বৈশাখে জাগ্রত হবার আহ্বান জানিয়েছেন। কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’- বৈশাখের বিজয়ো়ল্লাস বহু চর্চিত I
"সৃজন" দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশ করছে গ্রীষ্মকে সামনে রেখে ৷আমি আশাবাদী " সৃজন" এই সংখ্যায় কালবৈশাখীর ঝড় তুলবে ৷ " সৃজন " এর কবি ও লেখকবৃন্দ ফেব্রুয়ারি ' মাসেই প্রতিটি নিঃশ্বাসে গ্রীষ্ম'র উন্মাদনা উপভোগ করবেন ৷ তিন মাস অন্তর প্রকাশিত হবে এই অনলাইন পত্রিকাটি ৷ গ্রীষ্মকে আবাহন করে শব্দ জেগে ওঠে কবিতার পাতায় , গল্পের উড়ানে৷ " সৃজন " সেই সব কবিতা , গল্পমালা নিয়ে হাজির আপনাদের কাছে ৷
সেই মেয়েটা হারিয়ে গেছে
শহরের রাজপথে
যার জন্য অভিমান ,আয়না ভাঙা
পারার মত বিষের কাপে চুমুক দিই
সেই গ্রীষ্মকে আমি
উচ্চতায় রাখি
রোদ আর আকাশের শ্রেনীচক্রে
নৈঋতে চুল শুকায় লাল আভায়
ঠোঁটে আজ পরমাণু জোঁক
বর্ণনা বিস্তারিত হলেও
রহস্যময়তা থেকেই যায়
পলেস্তারা খসা জীবনে
অাদিম শূন্যতার এপিটাফ ...
ঝড়ের কথা উঠলেই গ্রীষ্মের কালবৈশাখী ঝড়ই আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে। কালবৈশাখী মানেই দুরন্ত , উদ্দাম । গ্রীষ্মের বর্ণনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাটি মনে পড়ে বার বার :
‘এলো এলো রে বৈশাখী ঝড়,
ঐ বৈশাখী ঝড় এলো এলো মহীয়ান সুন্দর।
পাংশু মলিন ভীত কাঁপে অম্বর,
চরাচর থরথর"
বাংলা সাহিত্যে কবিতার একটি বড় অংশ জুড়ে আছে গ্রীষ্ম ও কালবৈশাখী ঝড়। কবিরা আপন কবিমানসে উষ্ণ মাধুরি মিশিয়ে গ্রীষ্মকে বর্ণনা করেছেন কাব্যিক উপমায়।
শুধু বাংলা সাহিত্যেই নয়, বিশ্ব সাহিত্যেও গ্রীষ্ম অর্থাৎ সামার নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। প্রখ্যাত লেখকেরা সামার নিয়ে লিখেছেন অনবদ্য কবিতাগুচ্ছ । যদিওবা আমাদের দেশের গ্রীষ্ম এবং পাশ্চাত্যের সামার ঋতুর স্বভাব, বৈচিত্র্য ও চরিত্র বৈশিষ্ট্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। পাশ্চাত্যে সামার অবকাশ যাপনের ঋতু হয়ে আসে ভীষণ ভাবে। সেখানে এই ঋতু ধ্বংসের খেলায় বা ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মেতে ওঠে না। সামার নিয়ে শেক্সপিয়রের সনেট- লিখেছেন :
"Shall I compare thee to a summer’s day?
Thou art more lovely and more temperate:
Rough winds do shake the darling buds of May,
And summer’s lease hath all too short a date..."
ইংরেজ কবি জন কিটস্ তাঁর কবিতায় লিখেছেন
"The church bells toll a melancholy round,
Calling the people to some other prayers,
Some other gloominess, more dreadful cares,
More harkening to the sermon’s horrid sound..."
সৃজন এই সংখ্যায় একরাশ গোলাপ, বকুল, বেল, টগর, জবা, গন্ধরাজ প্রভৃতি সুগন্ধি ফুলকে আনতে পেরেছে তার আঙিনায় ৷এই সংখ্যা পূর্ণতা আনুক আপনাদের মননে ৷ "সৃজন"এর পাঠক আরও বর্ধিত হোক ,পরবর্তীদিনে আরও নতুন নতুন বিভাগ চালু করার আশা রাখি ৷ কেমন লাগছে " সৃজন " জানাতে ভুলবেন না ৷
পারমিতা চক্রবর্ত্তী
সম্পাদিকা
সৃজন
"সৃজন" দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশ করছে গ্রীষ্মকে সামনে রেখে ৷আমি আশাবাদী " সৃজন" এই সংখ্যায় কালবৈশাখীর ঝড় তুলবে ৷ " সৃজন " এর কবি ও লেখকবৃন্দ ফেব্রুয়ারি ' মাসেই প্রতিটি নিঃশ্বাসে গ্রীষ্ম'র উন্মাদনা উপভোগ করবেন ৷ তিন মাস অন্তর প্রকাশিত হবে এই অনলাইন পত্রিকাটি ৷ গ্রীষ্মকে আবাহন করে শব্দ জেগে ওঠে কবিতার পাতায় , গল্পের উড়ানে৷ " সৃজন " সেই সব কবিতা , গল্পমালা নিয়ে হাজির আপনাদের কাছে ৷
সেই মেয়েটা হারিয়ে গেছে
শহরের রাজপথে
যার জন্য অভিমান ,আয়না ভাঙা
পারার মত বিষের কাপে চুমুক দিই
সেই গ্রীষ্মকে আমি
উচ্চতায় রাখি
রোদ আর আকাশের শ্রেনীচক্রে
নৈঋতে চুল শুকায় লাল আভায়
ঠোঁটে আজ পরমাণু জোঁক
বর্ণনা বিস্তারিত হলেও
রহস্যময়তা থেকেই যায়
পলেস্তারা খসা জীবনে
অাদিম শূন্যতার এপিটাফ ...
ঝড়ের কথা উঠলেই গ্রীষ্মের কালবৈশাখী ঝড়ই আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে। কালবৈশাখী মানেই দুরন্ত , উদ্দাম । গ্রীষ্মের বর্ণনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাটি মনে পড়ে বার বার :
‘এলো এলো রে বৈশাখী ঝড়,
ঐ বৈশাখী ঝড় এলো এলো মহীয়ান সুন্দর।
পাংশু মলিন ভীত কাঁপে অম্বর,
চরাচর থরথর"
বাংলা সাহিত্যে কবিতার একটি বড় অংশ জুড়ে আছে গ্রীষ্ম ও কালবৈশাখী ঝড়। কবিরা আপন কবিমানসে উষ্ণ মাধুরি মিশিয়ে গ্রীষ্মকে বর্ণনা করেছেন কাব্যিক উপমায়।
শুধু বাংলা সাহিত্যেই নয়, বিশ্ব সাহিত্যেও গ্রীষ্ম অর্থাৎ সামার নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। প্রখ্যাত লেখকেরা সামার নিয়ে লিখেছেন অনবদ্য কবিতাগুচ্ছ । যদিওবা আমাদের দেশের গ্রীষ্ম এবং পাশ্চাত্যের সামার ঋতুর স্বভাব, বৈচিত্র্য ও চরিত্র বৈশিষ্ট্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। পাশ্চাত্যে সামার অবকাশ যাপনের ঋতু হয়ে আসে ভীষণ ভাবে। সেখানে এই ঋতু ধ্বংসের খেলায় বা ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মেতে ওঠে না। সামার নিয়ে শেক্সপিয়রের সনেট- লিখেছেন :
"Shall I compare thee to a summer’s day?
Thou art more lovely and more temperate:
Rough winds do shake the darling buds of May,
And summer’s lease hath all too short a date..."
ইংরেজ কবি জন কিটস্ তাঁর কবিতায় লিখেছেন
"The church bells toll a melancholy round,
Calling the people to some other prayers,
Some other gloominess, more dreadful cares,
More harkening to the sermon’s horrid sound..."
সৃজন এই সংখ্যায় একরাশ গোলাপ, বকুল, বেল, টগর, জবা, গন্ধরাজ প্রভৃতি সুগন্ধি ফুলকে আনতে পেরেছে তার আঙিনায় ৷এই সংখ্যা পূর্ণতা আনুক আপনাদের মননে ৷ "সৃজন"এর পাঠক আরও বর্ধিত হোক ,পরবর্তীদিনে আরও নতুন নতুন বিভাগ চালু করার আশা রাখি ৷ কেমন লাগছে " সৃজন " জানাতে ভুলবেন না ৷
পারমিতা চক্রবর্ত্তী
সম্পাদিকা
সৃজন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন