হয়তো তোমারই
•
চোখ, মনে হয়,চিনি; চেনা পুষ্করিণী
সাঁতারে নেমেছি কোনোদিন
হয়তো দেখেছি জলে কোনো মলিনতা নেই, দেখে
ওষ্ঠ ফাঁক করে খেয়েছি ,তরল প্রাণ
সে পানীয়ে আগুন মেশানো
শরীরের সব জল বাষ্প হয়ে ওড়ে
আমিও ডুবতে থাকি
ডুবে যেতে থাকি
নীচে, জলের তলায় এক রূপকথা সিঁড়ি
শ্যাওলার ঝোপ, শোণিতের শ্বাস আর স্বেদ
আমিও পিছলে পড়ি
সিঁড়ি টানে নিজের গভীরে
ভাঁজ-করা অন্ধকার খুলে যায়, আবার গুটিয়ে আসে
আশ্চর্য কম্পনে আকাশেও ফুটো হয়ে যায়
ঝরে বারি, ছিটকে আসে চোখে
জ্বলে যায়
জ্বলে যায়
জ্বলে
নেভে সকল আতস
অন্ধের আবেগে ছুঁই অনাদি খিলান
ছুঁই দ্বার, আপৎ জানলা
মাথাও গলিয়ে দিই
মুখে লাগে তীব্র রসায়ন
তোমাকে অম্ল ভেবে ক্ষারকের ধর্মে ঢুকে পড়ি
হে রক্তবাহিত সুখ, হে প্রাণ মোক্ষম
যা থাকে ভূমির নিচে আধখানা চাঁদ
কলঙ্কে বোলাই হাত , সে খাঁজে আঙুল
আটকে যন্ত্রণা পাই, সহ্য করি, ও হো
তোমাকে নিরস্ত্র ভেবে বর্ম খুলে ফেলি
তোমাকে সাক্ষর ভেবে চিঠিপত্র লিখি
তানপুরা ভেবে তারে হাত দিতে যাই
এবং মানবী ভেবে প্রস্তাব করেছি
প্রতিটি চুম্বনে থাকে রণবাদ্য, ভেরি
আয়ুধ যতটা পারে পরাক্রমশালী
প্রতিটি প্রবেশ যদি ব্রহ্মাণ্ড ওল্টায়
বারবার, বারবার, বারবার, মরি
মৃত্যু না, জন্মের জন্য আয়োজন এই
এই শ্রম, এই জ্বর
এই ঘেমে ওঠা
চক্ষুরুন্মিষতি, প্রণয়ের সম্ভাবনা, রতি
চাঁদের গায়ে তো চাঁদ
প্রাণে প্রাণে
শব্দের কাঁসরঘন্টা
আঘাতে বাজছে
ক্ষতে মুছি ব্যথা ও গরল
আঙুলে আঙরা, শিরা দপদপ, অস্থি ছাইপাঁশ
রতন খুঁজতে এসে তুমি পাও ধাতুর কলস
রয়েছে সামান্য ছিদ্র মাটির ঢাকনায়
ওইটুকু শ্বাসরন্ধ্র , কাব্য ওইটুকু
ঠোঁটে চেপে ফুঁ দিই, চুষি হাওয়াফল
বীজে যত আলোড়ন আমাদের বাজনা সেরম
চিত্রঋণ : পাবলো পিকাসো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন