শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮

বিশ্বজিৎ দেব

 লাল কার্পেট 
.......................


ইঞ্জিনের ব্যর্থতাগুলি শ্বাস নেয় টার্মিনাসের
ডাম্পিং জোনে,চাকার অনিদ্রা থেকে একে একে খুলে পড়ে তাদের ক্ষতের আয়রন
পথের বিকারগুলিও ঝরে পড়ে
রাত্রি তৃতীয় যামে....

সন্ধ্যাতারা পাশাপাশি অস্পষ্ট থেকে যায়
এইসব দুরত্বজ্ঞাপক নিধি,তোমার শহর থেকে দুরে,যেখানে আকাশ নেই, ভুল পথ
গোধূলিরচিত সীমা,শুল্কহীন ড্রপগেট

এতকিছু জেনে, পরিত্যক্ত বাকলের মোহে
এপথেই শীতকাল আসে,ক্ষতের আয়রনগুলি সন্ধ্যায় নড়ে ওঠে
নড়ে ওঠে দোহারের স্তুপ,পথবন্দনা
প্রানান্তের লাল কার্পেট .. 
 
মুর্শিদি
................


খাঁচার ধারনা ফেলে যারা উড়ে যায়
তারা পাখিদের মতো নির্মোহ, নিরুপায়
কাঠের আদলগুলি শুধু ঝুলে থাকে
বারান্দার নৈঋতে
 
যতিচিন্হ অবধি অসফল বাক্যবন্ধগুলিও
থেকে যায় এভাবেই, পাখি থেকে যায়
থেকে যায় পাখি থেকে মোহ,হরিনাম
দানাপানি খেয়ে লালন ফকিরের গান হয়ে
তারা আবার ফিরে আসে খাঁচার ভেতর! 
 
 
ফটোসিন্থেসিস
...............................


সারাদিন ফটোসিন্থেসিস শেষে
মিটে যায় পাতাদের ঋন, একথা জেনেও সবুজাভাগুলি তুমি রেখে যাবে, অকপট
ঘুলঘুলি এঁকে ফুটিয়ে তুলবে বাতাসের স্মৃতি 

একথা জেনেও সুচকের নীচে
ফিরে আসে মূল্যের কড়ি, ব্যর্থ গিমিক
বর্নচোরা ফাগুনের ফাঁদ....

মরশুমের শেষ অর্বুদগুলি তাই
তাকে নিয়ে লেখা, নীলাকাশ তাকে নিয়ে
লেখা, তাকে নিয়ে লেখা
গোটা বকেয়ার মাস...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন