শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮

বলাকা সেন

* শৈশবের জানালা


আমার শৈশবের জানালা প্রতিক্ষায় জাগা অতন্দ্র প্রহরী
ধূপ বিকালের তিরিশ বছর ধুয়েছে ক্লেদবমি রক্তপাত
প্রতিদিন আলোর অনুসরণকারী আয়না, ভরপুর আঁধার
ছড়িয়ে দেয় বিষাদ বীজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে আলপিন ফলন
জানালায় ক্লান্ত গতি থমকে থাকা কোনো ডাক পিওনের প্রতিক্ষা
বার বার ফিরে আসে একা প্রতিধ্বনি-- একদম একা--
কোনো বন্ধু মৌমাছি-পাখি কোন প্রাণ নেই শ্রবণ পিপাসু
দাঁড়িয়ে থাকা দুটো পা ভেঙে পড়ে ;ভাঙা মাস্তুল ;
কত হাত দূরে চলে যায় বিদায় জানিয়ে বসন্তের,
কত পা হেঁটে চলে সমুদ্রের দিকে মৃত্যুর আলিঙ্গনে;
আমি থাকি নির্বাক জানালার শিকে হাত চেপে কান্নার,
বার বার ভেবেছি ভুল ভালোবাসার; প্রাণপণ আঁকড়ে রাখার চেষ্টায়,
ছেড়ে দিয়েছি সকল পাখি- রেশমি রুমাল -সুগন্ধি সন্ধ্যা
কাটা ঘুড়ির চোখে চোখ রেখে বুঝেছি পরাধীনতা,
ভেসে যাওয়ার নিদারুণ পরিহাস যন্ত্রণা;

যারা দূরে দাঁড়িয়ে গেয়েছে করুণা কীর্তন ; সেই অজস্র চোখের কাছে
আমি হেসে উঠি জীবন, জীবন এক পরম ঠাট্টা ভেবে;
আজও জানালা জেগে আছে আমার পথ চেয়ে
ওর বুকে হাত রেখে বলি আমি আছি তোমার জন্য
এ আমার  জানালা, শিখিয়েছ জীবনের নান্দনিকতা!
চিত্রঋণ : পাবলো পিকাসো

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন