এই সংখ্যার কবি কৌশিক সেন।জন্ম ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ বহরমপুর, মুর্শিদাবাদে। ছাত্রজীবন ও বেড়ে ওঠা বহরমপুর শহরেই। কলেজ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কঠোর জীবন সংগ্রাম। সাতাশ বছর বয়সে দিল্লীতে আগমন। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী। সতেরো বছর ধরে দিল্লীর বাসিন্দা। দিল্লী, কলকাতা ও বহির্বঙ্গে বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত ও প্রশংসিত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : রাই জাগো গো।
সফেদ ফুলের লেফাফা
-১-
সকালের ডাকে এসেছে
সফেদ ফুলের লেফাফা এক।
পাপড়ি খোলবার আগেই বৃষ্টি নামলো যখন,
ছাতাটা ফুটাইনি আর;
রাজ কাপুর সাজবো আজ, নার্গিস বাহারে...
-২-
আমি দরজা খুলে দেখেছি
মাথায় ফুলের মুকুট পরা মেয়েটি
এগিয়ে গেছে রোদ পার হয়ে...
তাকে পিছু ডাকিনি আর
যদি পথ ভুলে যায় ও!
-৩-
কালো ছাতার ভাঁজে ভাঁজে মুড়িয়ে রেখেছি
রঙিন ছাতাটি,
সাদা চশমার ভেতর রোদ চশমা;
গ্রীষ্মে, বর্ষায় কাজে আসবে
এইসব ছায়াময় ষড়যন্ত্র...
-৪-
রাত জড়ো করে রাখা ছিল বালিশের নীচে
ঘুম থেকে উঠে দেখি
বালিশ ডানা মেলেছে পূর্বদিগন্তে;
আমি চাঁপার গন্ধে
সকালের স্কেচ আঁকি...
-৫-
ডিটিপি তে বেঁধে রেখেছি দুষ্টু প্রজাপতি
ফুলে ফুলে আগুনের ফটোশপ;
টোনারে সিয়ান কমে গেলে
আকাশকে বোলো,
রামধনু লাগবেনা আর!
-৬-
ঝিঙে মাচায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে বড়
হলুদ মালঞ্চে দোলন লেগেছে কি লাগেনি,
ভেতর থেকে উঁকি মারে লাউডগা...
শহরে কুয়াশা নামলে
চেরাজিভ লুকানো থাকে শীতঘুমে।
-৭-
স্যানিটারি প্যাডের মঙ্গলছাপ আজ আকাশের লালিমায়।
এসো, প্রণাম করি এই গোধূলির নারীবেলা...
তুলসীমঞ্চে দীপ জ্বেলে দিই,
উত্তরনারীদের আসবার পথ
আলোকিত হোক আজ!
-৮-
প্রেমিকার ফিরিয়ে দেওয়া চিঠির থেকেও
বিষণ্ণ ছিল সে বিকেল
তবুও ঝরে যাওয়া বিবর্ণ তেঁতুলপাতায়
কান পেতেছি,
স্পষ্ট শুনেছি, বসন্তের কান্না!
-৯-
পৃথিবীর দূরতম নক্ষত্রকে ভালবেসেছিলাম, একদিন
তাই বোধহয় এত সুগন্ধ এ নাভিতে,
এত আশ্লেষ শরীরে নিয়ে ছুটে চলেছি
অনন্ত খাণ্ডব অরণ্যে!
এত দহন কেন দিলে আমায়, মাগো!
-১০-
নীল দীঘির ওপর সূর্য উঠবে একদিন।
জলের গর্ভে এইমাত্র বপন করলাম
শ্বেতপদ্মের বীজ,
অতলে ভাসিয়ে দিলাম নির্বিষ জলঢোড়া
আমিও মরাল হলাম আজ থেকে...
পাঁচ নম্বরটা মিষ্টি। সবকটাই ভালো
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দাদা
মুছুনদারুন সব কল্পনা, ৪,৫,৬,৭ বেশি ভালো লেগেছে, অসাধারণ
উত্তরমুছুনধন্যবাদ স্যার
মুছুনসব কটি খুব ভালো লাগলো। অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা
উত্তরমুছুনঅশেষ ধন্যবাদ জানবেন
মুছুন