শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯

শর্মিলা ঘোষ


প্রথম কবিতা 

মায়াজল 

প্রতিটি নীরবতা আসলে গোপন কলরব ,
শূন্যতার কোনো ভাষা হয় না বলেই অজস্র অক্ষর বুনে চলে নিজের ভেতর,
কতটা ত্যাগে নিষ্পেষিত হয় সকল সৃজন তার হিসাব মেলে না, 
আসলে কবিতা শুধু শূন্যতার উদযাপন, বেশ কিছু রিক্ত মায়া ঘা মারতে থাকে মগজে ও হৃদয়ে, 
মগজ হেরে যায় সব সময় হৃদয়ের মায়াজলে, 
ভেসে যায় প্রতিটা বুদ্ধির সামিয়ানা, 
একটা চাপা আর্তনাদ ফুটে ওঠে কবিতার আশ্রয়ে।




দ্বিতীয় কবিতা 

উজান


উজানের স্রোতে অনেকটা চলে এসে ফেরাটাই কঠিন ,
দিনলিপি কি রোজ বদল করা যায়! 
বিশ্বাসের বুকে হাত রেখে জোয়ার ভাটা সময় এলোমেলো জাহাজের মাস্তুল আঁকড়ে ধরা! 
চাইলেই পরিবর্তন করা যায় না দিগন্তের বৃত্তাকার রেখা 
নীল গাঢ় শপথের সুর বিস্তার মন কে আচ্ছন্ন করে রাখে 
ঐ শূন্যে আজান দিলে সন্ধ্যাবাতি আরো উজ্জ্বল হয় ,
শক্ত করে বেঁধে রাখা সময় সহস্রবার উজানেই ভেসে যেতে চায়;







বৈরাগী নক্ষত্র 

মেঘ চাঁদ জল সমান্তরালে এলে বুকের ভেতরে বৃষ্টি নামে
এক মহাসমুদ্র পান করে আমি নুড়ি পাথরের শিল্প রচনা করি, 
সেখানে অসংখ্য পাতাবাহার আর ফুলের সমারোহে বিনি সুতোর ধাগা বাঁধে বৈরাগী নক্ষত্র, 
আমি মিলন পিয়াসী জন্ম জন্মান্তর জুড়ে জেগে থাকি অর্ধনারীশ্বর রূপের আশায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন