এই সংখ্যার কবি অন্তর চক্রবর্তী ৷জন্ম দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে, ১৯৯৪ সালের ৩১শে আগষ্ট। সেই জেলারই পাড়াগেঁয়ে মফস্বল গঙ্গারামপুরে বেড়ে ওঠা। স্বভাববালক ও উচ্চিংড়ে। ভাবতে ভালোবাসে। ছোট থেকেই পাগলামিতে ঝোঁক। তারপর সাহিত্যের কাছাকাছি আসা। কলেজে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াকালীন কবিতায় বিশেষ আগ্রহের সূত্রপাত। তখন থেকেই টুকটাক লেখালিখির শুরু।এযাবৎ কয়েকটি ছোট পত্রিকা ও ব্লগজিনে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।কবিতার পাশাপাশি পছন্দ ক্রিকেট ও ফুটবল। ভালোবাসে গান শুনতে, সিনেমা দেখতেও।
ত্রিনয়ন উবাচ
—————————
১
কবিদের কোনো ঘুম
ঘুম নয়
কেবল পথ
এক চোখ দিয়ে ঢুকে
অন্য চোখ দিয়ে
হাসিমুখে বেরিয়ে আসে
ক্ষেতমজুরের দল...
২
পাহাড় জোগাড় করছে
চিরকিশোর
কেটে যাচ্ছে কয়েকশো জলবায়ু
পাহাড়ের ভেতর জেগে উঠছে
অন্ধত্বের
কিছু আগে
ঘুমিয়ে পড়া
আলোর দীঘিটি...
৩
সন্ধে নিকোনো আটচালায়
ফুটছে শাদা
শুধু শাদা
ঝুঝিনি-
পারিজাত
না
ধবধবে আড়চোখ,
ঠেলে দিলাম তোমার জানালায় ?
৪
শীত ছাড়িয়ে
উঠোন ছাড়িয়ে
সরে যাচ্ছি দূরদেশে
'গায়ে শালটা জড়াসনি কেন ?'
পিছু ডেকে
হঠাৎই শুধোলেন জন্মান্ধ মা
মাটি শিউরোয়
শিউরোয়
খানিক আগেও অসহ্য নাস্তিক ছিলাম আমি...
৫
কাছে এলে ছেয়ে আসে
পাতালের ভয়
কেঁদে ওঠে
সুদূর বিদেহী ঝলোমল
শারদ আকাশ,
অনন্ত ছেড়ে
এবেলা
এই যমজ গহীন বেছে নাও...
৬
মাঘের স্বপ্নে রঙ নেই কোনো
যেন
জোছনায় তরুণী বিধবাটি
থানের চেয়েও
রঙহীন
হিমেল
শূন্য
তার চেয়ে থাকা
রাত পোহালেই
চক্ষুদান হাতে ছুটে আসবে ফাল্গুন...
৭
ভরা চাঁদের নীচে
প্রতিটা দোরে
লক্ষ্মীর পা আঁকছেন মা
আজ মা নেই
আটটি পা চারজোড়া চোখ হয়ে
ভিটের নাভিতে বেঁধে রাখছে আমায়...
৮
ঈশ্বরীর দুইখানি নয়ন
জ্যৈষ্ঠদুপুর
ও
মাঘীপূর্ণিমা
এই দুইয়ের মাঝেই
শ্রাবণ হইয়া
বহিয়া যায় তৃতীয়টি...
৯
চোখ গিলে নেওয়ার
রোয়াব দেখিও না
হ্যাঁ,
তরবারি
বলছি তোমায়
আলো ঠিকরে এলে
চুরমার হয়ে যাবে
তোমার কণ্ঠজৌলুস...
১০
তোমার শৈলী
ধড়হীন করোটি নিয়ে
সহাস্য লোফালুফি
ভুলে যেও না,
দুধশাদা অস্থিপলক
শুধু তোমাকেই নয়
গিলে নিতে পারে তামাম ব্রহ্মাণ্ড...
—————————
( বিশেষ ধন্যবাদ : বিশ্বজিৎ দাস, সব্যসাচী মজুমদার। )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন