চর্যাপদ চর্যাগীতি ও সমীক্ষা (দ্বিতীয় পর্ব)
আজকের বিষয় : পুঁথি ও পরিচয়
এই পুঁথি আবিষ্কার শুধু বাংলা নয় হিন্দী মৈথিলী ওড়িয়া প্রভৃতি অন্যান্য নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহাসিকদের মধ্যে প্রথম আলোড়ন নিয়ে আসে। ফলে নেপালের সমস্ত গ্রন্থাগারের পুঁথিগুলির প্রতি ভারতীয় গবেষকদের ঝোঁক বাড়তে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। এই তৎপরতা যেমন একদিকে বাংলা ভাষার প্রতি পুরোনো ধ্যান ধারণা পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে ঠিক তেমনই অন্যদিকে হরপ্রসাদশাস্ত্রী মহাশয়ের আবিষ্কৃত তথ্যাদির বিশ্লেষণ সমস্ত গবেষকদের অন্তরে নিবিড়তার জন্ম দেয়। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় আবিষ্কৃত পুঁথি সম্পর্কিত চমকপ্রদ বিশ্লেষণ। সেই ফলস্বরূপ বেরিয়ে আসতে থাকে নতুন সব প্রমাণাদি ও ব্যাখ্যামূলক তথ্য। যেমন উল্লেখ করা যেতে পারে এই পুঁথিগুলির নামকরণের নামে একটি অপভ্রংশের ইতিহাস। এক, পুঁথিগুলির ভাষাকে বাংলা বলে মনে করা হলেও পরবর্তীতে দেখা যায় এর সমস্ত ভাষা বাংলা নয়, এর তিন চতুর্থাংশই পশ্চিমা অপভ্রংশের। দুই, এই লিপিকর সম্পূর্ণটিই টোকা বা copied। এর কারণস্বরূপ হিসাবে দেখানো হয় 'চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়' নামক একটি পুঁথি, যা এই কোপিডের প্রামাণ্য বিষয়। স্বভাবতই প্রমাণিত সমগ্র বিষয়টি যেহেতু মূল গ্রন্থ থেকে গৃহীত বা টোকা, তাই তাঁর নাম ভুলবশত চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়ের বদলে চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় রূপে নামাঙ্কণ ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে,অর্থাৎ নামটি ভুল করে লেখা হয়েছে- 'চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়' এই রূপে। এই মতানুসারে 'চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়' নামক অপভ্রংশে পুঁথিটির পরিচয় টিকে যায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পরবর্তীতে নাকি জানা যায়, মূল বৃত্তাকারের আসল নাম মুনিদত্ত। অনুমান করা হয়, নেপালের গ্রন্থাগার থেকে পুঁথিগুলি সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত হিসাবে না পাওয়া যাওয়ায় শেষের দিক থেকে অনেকগুলো পাতা সন্ধান মেলে না, হয়ত এই কারণকেই গবেষকগণ মুনিদত্ত নামটি মুছে যাওয়ার জন্য প্রধান দায়ী করেছেন। তবে মুনিদত্ত মাত্র পঞ্চাশটি চর্যার ব্যাখ্যা করে গেছেন।এতদপরেও পুরো নির্মাণটি ত্রুটিময় হলেও এর সম্পূর্ণ ভাবার্থটির একেবারেই অর্থহীন বা ভ্রান্তময়, একেবারেই বলা যায় না। কারণ, জানা গেছে, এই সমস্ত অনুবাদের ভার প্রথমে শ্রীযুক্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় নিলে, তাঁর সূত্র ধরে ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচীও পরের দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি অনুবাদও চালান, তাতে দেখা যায় তথ্যানুসারে মূল গীতিসংগ্রহের যে আসল নাম উঠে আসে, তা হলো 'চর্যাগীতিকোষবৃত্ত'।
১৯১৬ সালে হাজার বছরের 'পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা' প্রকাশের সময় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পুঁথিটিকে চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় নামে আখ্যায়িত করেছেন কিন্তু নেপালের রাষ্ট্রীয় অভিলেখায় পুঁথিটির নাম নাগরী হরফে 'চর্য্যাচর্য্যটীকা' হিসাবে উল্লেখ আছে। তাই তিনি হয়ত ১৯১৫ সালে তাঁর প্রকাশিত 'A catalogue of Palmleaf and selected Paper MSS belonging to the Durbar Library Nepal' গ্রন্থে দুই জায়গায় ওই চর্য্যাচর্য্যটীকা নামটি ব্যবহার করেছিলেন। বিশেষত, পুঁথিটি তালপাতায় লিপিতাত্ত্বিকদের পরিভাষায় প্রত্ন বাংলা অক্ষরে লেখা এবং দীর্ঘতর পাতাগুলির মাপ হিসাবে লেখা আছে "লে ১২এবং৩/৪ চৌ ১এবং৯/১০ ও শাস্ত্রী উল্লেখিত ক্যাটালগ মাপ ১২ এবং ১/২ X ২ ইঞ্চি। এছাড়াও, পুঁথির প্রথম পত্রের সামনের পৃষ্ঠায় বাঁ দিকের উপরে লাল কালিতে নাগরী হরফে লেখা আছে: "৭৪১ ভাদ ষমবাত" = ভাদ্র ৭৪১ সংবৎ। আবার নেওয়ার সংবতের সূচনা কাল হিসাবে ধরা হয় ২০ অক্টোবর ৮৭৯সাল বা বর্ষারম্ভ কার্তিক মাসের শুক্লা প্রতিপদ। অর্থাৎ ৭৪১ সংবৎ + ৮৭৯ সংবৎ = ১৬২০ সাল। যা অনুমান করা হয় পুঁথিটির সংগৃহিত সময়কাল হিসাবে। তবে এখানে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। কারণ ভাষাবিচারে মুনিদত্তের জীবৎকাল ত্রয়ো শতাব্দী ধরে নিলে বলা যেতেই পারে, চর্যা পুঁথিটি ত্রয়োদশ শতকের শেষ দিক বা চতুর্দশ শতকের একবারে গোড়ার দিকে রচিত। এক্ষেত্রে চতুর্দশ শতক সময়কালটি প্রমাণিত।
প্রসঙ্গত, পুঁথি পরিচয়ের আরো গভীরে প্রবেশ করলে বোঝা যাবে অনেক জায়গায় পুঁথিতে উল্লিখিত গানের পাঠের সঙ্গে টীকা পাঠের বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়ে গেছে। উহাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে "লাড়ীডোম্বীপাদানাং সূনেত্যাদি চর্যায়া ব্যাখ্যা নাস্তি" টীকাটি। যেখানে দশম চর্যার মূল পাঠ ও টীকার পরবর্তীতে এবং একাদশ চর্যার পূর্বে লাড়ীডোম্বীপাদের একটি চর্যা ও সেটির সূচনা সূন শব্দ দিয়ে হলেও নির্দিষ্ট টীকার অভাবে গানটি ব্রাত্য হয়েছে, যা এখানে একটি Collated text বা যুক্ত সংকলন হিসাবে নির্মিত। যা থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় অসামঞ্জস্যতার কারণসমূহ। তাই হয়ত লিপিকর পুঁথিকে দুইভাগে ভাগ করেছিলেন- ১. শুধু গানের পুঁথি যা টীকাহীন আর ২. শুধু টীকা পুঁথি যা গীতিহীন। এক্ষেত্রে এই শুধু গানের পুঁথি বলতে আমরা চর্যাগীতিকোষের কথাও বলতে পারি যা বুধগণের অনুদিত চর্যাগীতিকোষবৃত্তি একপ্রকার রতিব্বতি অনুবাদ, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয়এই গানের পুঁথি মুনিদত্ত ব্যবহার করেন নি। সেকারণেই হয়ত তাঁর লেখার মধ্যে ভিন্নতা দেখা দিয়েছিল। তবে অনুমান করা যায় এই ধরনের collated text ধরনের পুঁথিগুলি বৌদ্ধ পন্ডিত ও বিদ্যার্থীদের ভীষণ প্রিয় ছিল। তাই এগুলো হয়ত অন্যভাষাতেও অনুবাদ হয়। যেমন- কাশ্মীর পন্ডিত কীর্তিচন্দ্রের উপদেশানুসারে চতুর্দশ শতকের তিব্বতীয় অনুবাদ Grags-pargyal-mchan ও Kvarne ১৭৪১ থেকে ১৭৪৯ সালের মধ্যে চীনের মঙ্গোলীয় অনুবাদ। সুতরাং বলা যেতেই পারে শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিটি চর্যাগীতির একমাত্র পুঁথি কিন্তু নয়, যা আসলে অন্যতম পুঁথির একটি রূপ।
এই পুঁথি আবিষ্কার শুধু বাংলা নয় হিন্দী মৈথিলী ওড়িয়া প্রভৃতি অন্যান্য নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহাসিকদের মধ্যে প্রথম আলোড়ন নিয়ে আসে। ফলে নেপালের সমস্ত গ্রন্থাগারের পুঁথিগুলির প্রতি ভারতীয় গবেষকদের ঝোঁক বাড়তে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। এই তৎপরতা যেমন একদিকে বাংলা ভাষার প্রতি পুরোনো ধ্যান ধারণা পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে ঠিক তেমনই অন্যদিকে হরপ্রসাদশাস্ত্রী মহাশয়ের আবিষ্কৃত তথ্যাদির বিশ্লেষণ সমস্ত গবেষকদের অন্তরে নিবিড়তার জন্ম দেয়। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় আবিষ্কৃত পুঁথি সম্পর্কিত চমকপ্রদ বিশ্লেষণ। সেই ফলস্বরূপ বেরিয়ে আসতে থাকে নতুন সব প্রমাণাদি ও ব্যাখ্যামূলক তথ্য। যেমন উল্লেখ করা যেতে পারে এই পুঁথিগুলির নামকরণের নামে একটি অপভ্রংশের ইতিহাস। এক, পুঁথিগুলির ভাষাকে বাংলা বলে মনে করা হলেও পরবর্তীতে দেখা যায় এর সমস্ত ভাষা বাংলা নয়, এর তিন চতুর্থাংশই পশ্চিমা অপভ্রংশের। দুই, এই লিপিকর সম্পূর্ণটিই টোকা বা copied। এর কারণস্বরূপ হিসাবে দেখানো হয় 'চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়' নামক একটি পুঁথি, যা এই কোপিডের প্রামাণ্য বিষয়। স্বভাবতই প্রমাণিত সমগ্র বিষয়টি যেহেতু মূল গ্রন্থ থেকে গৃহীত বা টোকা, তাই তাঁর নাম ভুলবশত চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়ের বদলে চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় রূপে নামাঙ্কণ ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে,অর্থাৎ নামটি ভুল করে লেখা হয়েছে- 'চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়' এই রূপে। এই মতানুসারে 'চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়' নামক অপভ্রংশে পুঁথিটির পরিচয় টিকে যায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পরবর্তীতে নাকি জানা যায়, মূল বৃত্তাকারের আসল নাম মুনিদত্ত। অনুমান করা হয়, নেপালের গ্রন্থাগার থেকে পুঁথিগুলি সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত হিসাবে না পাওয়া যাওয়ায় শেষের দিক থেকে অনেকগুলো পাতা সন্ধান মেলে না, হয়ত এই কারণকেই গবেষকগণ মুনিদত্ত নামটি মুছে যাওয়ার জন্য প্রধান দায়ী করেছেন। তবে মুনিদত্ত মাত্র পঞ্চাশটি চর্যার ব্যাখ্যা করে গেছেন।এতদপরেও পুরো নির্মাণটি ত্রুটিময় হলেও এর সম্পূর্ণ ভাবার্থটির একেবারেই অর্থহীন বা ভ্রান্তময়, একেবারেই বলা যায় না। কারণ, জানা গেছে, এই সমস্ত অনুবাদের ভার প্রথমে শ্রীযুক্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় নিলে, তাঁর সূত্র ধরে ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচীও পরের দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি অনুবাদও চালান, তাতে দেখা যায় তথ্যানুসারে মূল গীতিসংগ্রহের যে আসল নাম উঠে আসে, তা হলো 'চর্যাগীতিকোষবৃত্ত'।
১৯১৬ সালে হাজার বছরের 'পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা' প্রকাশের সময় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পুঁথিটিকে চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় নামে আখ্যায়িত করেছেন কিন্তু নেপালের রাষ্ট্রীয় অভিলেখায় পুঁথিটির নাম নাগরী হরফে 'চর্য্যাচর্য্যটীকা' হিসাবে উল্লেখ আছে। তাই তিনি হয়ত ১৯১৫ সালে তাঁর প্রকাশিত 'A catalogue of Palmleaf and selected Paper MSS belonging to the Durbar Library Nepal' গ্রন্থে দুই জায়গায় ওই চর্য্যাচর্য্যটীকা নামটি ব্যবহার করেছিলেন। বিশেষত, পুঁথিটি তালপাতায় লিপিতাত্ত্বিকদের পরিভাষায় প্রত্ন বাংলা অক্ষরে লেখা এবং দীর্ঘতর পাতাগুলির মাপ হিসাবে লেখা আছে "লে ১২এবং৩/৪ চৌ ১এবং৯/১০ ও শাস্ত্রী উল্লেখিত ক্যাটালগ মাপ ১২ এবং ১/২ X ২ ইঞ্চি। এছাড়াও, পুঁথির প্রথম পত্রের সামনের পৃষ্ঠায় বাঁ দিকের উপরে লাল কালিতে নাগরী হরফে লেখা আছে: "৭৪১ ভাদ ষমবাত" = ভাদ্র ৭৪১ সংবৎ। আবার নেওয়ার সংবতের সূচনা কাল হিসাবে ধরা হয় ২০ অক্টোবর ৮৭৯সাল বা বর্ষারম্ভ কার্তিক মাসের শুক্লা প্রতিপদ। অর্থাৎ ৭৪১ সংবৎ + ৮৭৯ সংবৎ = ১৬২০ সাল। যা অনুমান করা হয় পুঁথিটির সংগৃহিত সময়কাল হিসাবে। তবে এখানে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। কারণ ভাষাবিচারে মুনিদত্তের জীবৎকাল ত্রয়ো শতাব্দী ধরে নিলে বলা যেতেই পারে, চর্যা পুঁথিটি ত্রয়োদশ শতকের শেষ দিক বা চতুর্দশ শতকের একবারে গোড়ার দিকে রচিত। এক্ষেত্রে চতুর্দশ শতক সময়কালটি প্রমাণিত।
প্রসঙ্গত, পুঁথি পরিচয়ের আরো গভীরে প্রবেশ করলে বোঝা যাবে অনেক জায়গায় পুঁথিতে উল্লিখিত গানের পাঠের সঙ্গে টীকা পাঠের বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়ে গেছে। উহাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে "লাড়ীডোম্বীপাদানাং সূনেত্যাদি চর্যায়া ব্যাখ্যা নাস্তি" টীকাটি। যেখানে দশম চর্যার মূল পাঠ ও টীকার পরবর্তীতে এবং একাদশ চর্যার পূর্বে লাড়ীডোম্বীপাদের একটি চর্যা ও সেটির সূচনা সূন শব্দ দিয়ে হলেও নির্দিষ্ট টীকার অভাবে গানটি ব্রাত্য হয়েছে, যা এখানে একটি Collated text বা যুক্ত সংকলন হিসাবে নির্মিত। যা থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় অসামঞ্জস্যতার কারণসমূহ। তাই হয়ত লিপিকর পুঁথিকে দুইভাগে ভাগ করেছিলেন- ১. শুধু গানের পুঁথি যা টীকাহীন আর ২. শুধু টীকা পুঁথি যা গীতিহীন। এক্ষেত্রে এই শুধু গানের পুঁথি বলতে আমরা চর্যাগীতিকোষের কথাও বলতে পারি যা বুধগণের অনুদিত চর্যাগীতিকোষবৃত্তি একপ্রকার রতিব্বতি অনুবাদ, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয়এই গানের পুঁথি মুনিদত্ত ব্যবহার করেন নি। সেকারণেই হয়ত তাঁর লেখার মধ্যে ভিন্নতা দেখা দিয়েছিল। তবে অনুমান করা যায় এই ধরনের collated text ধরনের পুঁথিগুলি বৌদ্ধ পন্ডিত ও বিদ্যার্থীদের ভীষণ প্রিয় ছিল। তাই এগুলো হয়ত অন্যভাষাতেও অনুবাদ হয়। যেমন- কাশ্মীর পন্ডিত কীর্তিচন্দ্রের উপদেশানুসারে চতুর্দশ শতকের তিব্বতীয় অনুবাদ Grags-pargyal-mchan ও Kvarne ১৭৪১ থেকে ১৭৪৯ সালের মধ্যে চীনের মঙ্গোলীয় অনুবাদ। সুতরাং বলা যেতেই পারে শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিটি চর্যাগীতির একমাত্র পুঁথি কিন্তু নয়, যা আসলে অন্যতম পুঁথির একটি রূপ।
ক্রমশ...........
অলংকরণ : শ্রেয়সী ভট্টাচার্য্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন