শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সোনালী সাহা


তর্কে বহুদূর....

 মানুষ চেনা সাধ্য কী তোর 
নয় কিরে তা যোজন দূর ?
মুখের কথায় বন্ধন ডোর 
বিশ্বাসে ঠাঁই তর্কে সুদূর ।

আয়না ছবি মন্দ কবি 
বললে যেদিন মুখ ফুটে 
বাজিয়ে দেখার জিদটাকে তাই 
করছি যাচাই অর্কুটে ।

মুখের কথা সবটুকু নয় 
ইতিহাস কী বলছে দেখি 
ভাষার চেয়েও অকথ্য হয় 
অস্বচ্ছ মুখ নকল  মেকি ।

দুষ্ট বন্ধু প্রচুর আছে 
মৃত্যু মুখোশ নামধারী 
চতুর্দিকে চোখ বোলাবো 
আমিও তো নই গান্ধারী।

তোমার কাছে যাহা মন্দ 
আমার কাছে পরমানন্দ 
কেমনে এমন হয় তা বলো 
বিশ্বাসে রং ছড়ায় গন্ধ ।

চাহিদাটাই মোদ্দা কথা 
থাকলে বিপদ, করুন চিত্র 
স্বার্থবিহীন পথ যদি হয় 
অমিত্র রাও বন্ধু মিত্র ।




অনিবার্য 

দূরত্ব যখন নদীর মত গভীর 
তখন ডুব দিয়ে দেখো আরেকবার ।
ছিঁড়েছিল যে তার 
পুরানো সেতার 
বাজে না তো আর ,
দোঁহার এ সাঁতার 
মরণের পারে খুঁজে পাবে তীর ।

দূরত্ব যখন যুগযুগান্ত আগে 
কোন ভবিষ্যবাণী রচনা করার ছলে...
ভাঙাগড়ার গল্প বলে ।
অপ্রেমের তলে 
বয়ে নিয়ে চলে ,
তা পরিকল্পিত হলে 
রাঙালে কেন দারুণ আগুন ফাগে ?

দূরত্ব যখন দারুণ অবশ্যম্ভাবী 
তখন ব্যথারা করুন সাক্ষী চায় ।
প্রজাপতির পাখায় 
কাঁপন লাগায় 
মরণ যন্ত্রণায় ।
তবুও খোঁজেনা হায় 
মৃত্যু নোনা নীলে বন্ধ ঘরের চাবি ।

দূরত্ব যখন অনভিপ্রেত নয় 
কত সহজে ছেঁড়া যায় সুতো ?
সাত রঙে যত 
ছবি আঁকা হত ,
বেদনার মত 
জেগে থাকা ক্ষত...
রাগে অনুরাগে বাজে বিলম্বিত লয় ।

সব কথা কি মুখ ফুটে বলতে হয় ?
 যেমন ধরো একটুখানি হাতের পৃষ্ঠে হাত ছোঁয়ালে বুঝে নিতে হয় তার মানে ।
কিংবা ধরো নামটি বদলে দিয়ে ছোট্ট কোন আদুরে নামের ডাক....
সব কিছুই তো প্রত্যাশিত ছিল! 
ছিল না শুধু তোর অতি সন্তর্পণে হিসেব কষা ছিদ্রান্বেষী ফাঁক.



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন