তর্কে বহুদূর....
মানুষ চেনা সাধ্য কী
তোর
নয় কিরে তা যোজন দূর ?
মুখের কথায় বন্ধন ডোর
বিশ্বাসে ঠাঁই তর্কে
সুদূর ।
আয়না ছবি মন্দ কবি
বললে যেদিন মুখ ফুটে
বাজিয়ে দেখার জিদটাকে
তাই
করছি যাচাই অর্কুটে ।
মুখের কথা সবটুকু নয়
ইতিহাস কী বলছে দেখি
ভাষার চেয়েও অকথ্য হয়
অস্বচ্ছ মুখ নকল মেকি ।
দুষ্ট বন্ধু প্রচুর আছে
মৃত্যু মুখোশ নামধারী
চতুর্দিকে চোখ বোলাবো
আমিও তো নই গান্ধারী।
তোমার কাছে যাহা মন্দ
আমার কাছে পরমানন্দ
কেমনে এমন হয় তা বলো
বিশ্বাসে রং ছড়ায় গন্ধ
।
চাহিদাটাই মোদ্দা কথা
থাকলে বিপদ, করুন চিত্র
স্বার্থবিহীন পথ যদি হয়
অমিত্র রাও বন্ধু মিত্র
।
অনিবার্য
দূরত্ব যখন নদীর মত
গভীর
তখন ডুব দিয়ে দেখো
আরেকবার ।
ছিঁড়েছিল যে তার
পুরানো সেতার
বাজে না তো আর ,
দোঁহার এ সাঁতার
মরণের পারে খুঁজে পাবে
তীর ।
দূরত্ব যখন যুগযুগান্ত
আগে
কোন ভবিষ্যবাণী রচনা
করার ছলে...
ভাঙাগড়ার গল্প বলে ।
অপ্রেমের তলে
বয়ে নিয়ে চলে ,
তা পরিকল্পিত হলে
রাঙালে কেন দারুণ আগুন
ফাগে ?
দূরত্ব যখন দারুণ
অবশ্যম্ভাবী
তখন ব্যথারা করুন
সাক্ষী চায় ।
প্রজাপতির পাখায়
কাঁপন লাগায়
মরণ যন্ত্রণায় ।
তবুও খোঁজেনা হায়
মৃত্যু নোনা নীলে বন্ধ
ঘরের চাবি ।
দূরত্ব যখন অনভিপ্রেত
নয়
কত সহজে ছেঁড়া যায় সুতো
?
সাত রঙে যত
ছবি আঁকা হত ,
বেদনার মত
জেগে থাকা ক্ষত...
রাগে অনুরাগে বাজে
বিলম্বিত লয় ।
সব কথা কি মুখ ফুটে
বলতে হয় ?
যেমন ধরো একটুখানি
হাতের পৃষ্ঠে হাত ছোঁয়ালে বুঝে নিতে হয় তার মানে ।
কিংবা ধরো নামটি বদলে
দিয়ে ছোট্ট কোন আদুরে নামের ডাক....
সব কিছুই তো প্রত্যাশিত
ছিল!
ছিল না শুধু তোর অতি
সন্তর্পণে হিসেব কষা ছিদ্রান্বেষী ফাঁক.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন