শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯

উজান উপাধ্যায়


মানুষের হাত থেকে

আমার ভিতরে রোজ পিয়ানো বাজিয়ে চলে
চতুর্থ পুরুষ। আমার ভিতরে রোজ গাছপালা
বেড়ে ওঠে, আগুনের স্তূপে স্তূপে -

আমার শরীরের চারভাগে আলাদা আলাদা করে
কলোনি, পার্টিশন, রিফিউজি ক্যাম্প খুলে রাখা।

উপরের তিনভাগ ছাড়াও সারেঙ্গী, স্কালপ্চার এবং বালিঘড়ি- 

পলাতক বাস্তবতা হুমড়ি খেয়েছে, ছাই হীরে সাঁতারু মেঘেরা স্ট্রবেরি গন্ধগুলো দিয়ে মুড়ে ফেলছে শেষতম ক্রিসান্থেমাম।

চতুর্থ ঘোষণায় পরপরই দাঁড়িয়েছে আমার প্রেয়সীরা-
যাদের ধর্ষিত হতে হয় রোজরাতে পুরুষের  ব্যালেন্স শিটের নগ্ন জঙ্ঘায়, মধুচন্দ্রিমার সাদাকালো ছবিগুলো কুড়ি কুড়ি বছরের পর বিবর্ণ হয় রাতের বালিশের ফাটলের গোঙানির মতো-

কুরোসাওয়া, বার্গম্যান, জঁ পিয়েরে মার্কার, লুই বুনুয়েলের ফিল্মের গা থেকে ঝুরঝুরে বরফকুচির স্নায়ূসংবেদে রামকিঙ্করের সেই সাঁওতাল রমণীর পরিবার দেশ খোঁজে, লাল মাটি, স্বপ্নের ভিতরে এখনও নিঁখোজ হয় লেনিনের হাত, চোখ-

একটি সুন্দর মন এবং একটি অমল হৃদয়- হলিউড বলিউড চষে ফেলে জাপান ইরান সেনেগাল ফ্রান্স পার হয়ে অগুনতি চলচ্চিত্র পুরস্কার জমিয়ে ফেলে।

আইনস্টাইনের সেই কথাটা তবুও বেজে ওঠে পিয়ানোতে- চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের পর সব থেকে যাক!
শুধুমাত্র পৃথিবীটা মুক্তি পাক মানুষের হাত থেকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন