শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯

ঝুমা মল্লিক

ভালোবাসা


নদীর পাড়ে ছিল ঘর।
দুটি হৃদয় নয়তো পর।
এক পূর্ণিমার রাতে তাদের দেখা।
আকাশ ভরা তারায় তাদের কথা।
বাদলা দিনে হয়েছিল প্রেম।
বৈশাখী বেলায় নতুনএক ফ্রেম।
হৃদয় ছুঁয়েছিল হৃদয়।
ওরা ছিল সহৃদয় ।
পৃথিবীর সব সুখ ছিল ঘরে।
আপন ছিল আপন জনগণের ভিড়ে।
জন্মে ছিল একটি ফুল।
সে তো নয় কোন ভুল।
তুমি তখন ও একফালি চাঁদ।
ভালোবাসা তখনও বেঁচে ,ছিলনাকোন খাদ।
কুঁড়ে ঘরে তখনও আলো।
ভালোবাসা এখন ও ভালো।






এই তো সেদিন ।
এমন সেই দেশ ঠিকানার নেই কোন খোঁজ।
মেয়েটিআজকেমন একা। জন্মদিনের বেলা।
আজ স্মৃতি টুকু সেজে আছে কেমন।
ফুল গুলো ফিকে লাগে। ঘরটি ফাকা।
বাবা চলে গেছে কতগুলো দিন। দক্ষিণের বাতাস ক্লান্ত। মেয়েটিরজীবনে ভালোবাসার প্রথম পুরুষ আজ নেই। একটা বোবা কান্না গলার ভিতরে দলা পাকিয়ে যাচ্ছিল । কাকে বলবে?কে বুঝবে?
এমন দিনে মেয়েটির ভীষণ জ্বর।
মেয়েটি কেমন বোকা।
মেয়েটির শুভ গুলোতে আজ শোক।
মেয়েটির ভীষণ ভয় করে।
পৃথিবীটা কেমন একা লাগে।
আপনার আপন আজ নেই।
জন্মদিন শুভ হোক।
বলবে না জানি।
তাই তো কেমন
তারায় তারায় চোখ রাখে ভুলে।


বিবেক
 ।

চার দেয়ালের মাঝে যে মেয়ে মানুষ।
তার ভালোবাসা ছিল,তুলসী মঞ্চে প্রদীপের শিখায়
ভালো বউ।লক্ষ্মী বউ ।বেশ আছে মেয়ে।
কালো শরীর ,মেয়েটির পায়ে ছিল যাদু।
নাচের মুদ্রা তার শরীর ছুঁয়ে থাকতো।মনে উৎসব
আজ শরীরে বাসা বেঁধেছে রোগ।
নাচ হারিয়ে গিয়েছে সেই কবে।ঘুমিয়ে আছে আজ
সংসারের সব কাজে সে পারদর্শী।তবুও এক শোক ।সবার ইচ্ছের সুখে তার ইচ্ছেহারিয়েছে।
পূর্ণিমার রাতে তার মনে নেমে আসে সেই মুদ্রা। ভোর হয়।সংসার আর সমাজ দামী হয়।
মেয়ে এখন অমাবস্যার রাত ভালোবাসে সুখে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন