গুচ্ছ অণুগল্প
(১) ড্রয়িং খাতায় আঁকা নতুন ছবিটা দেখানোর জন্যে ডান হাতে করে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পাঁচ বছরের ছোট্ট সালমা, বন্ধু সুনেত্রার জন্যে। বাঁ হাতটা টনটন করছে। ব্লাড চলছে যে। বড় হয়ে সেও বন্ধুর মতোন হবে। হাসি খুশিতে ভরা থ্যালাসেমিয়া ডাঃ সুনেত্রার দেওয়া ড্রয়িং খাতায় সেই ছবিটাই এঁকেছে সে।
(২) মেয়ে কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে শিখিয়ে দিয়েছেন যশবিন্দর। সেই কথা অনুযায়ী পরিণতি ঐ
ইজি রিভলভিং চেয়ারটাতে বসে থাকা বৃদ্ধের পা ছুঁতে-ই সম্বিত ফিরে পেলেন ডাঃ চক্রবর্তী। তার হাতে তৈরী
প্রথম টেস্ট টিউব বেবী যশবিন্দরের মুখের আদলটা হুবহু কেটে বসিয়ে দিয়েছেন ভগবান তার মেয়ে পরিণতির শরীরে। জীবনে প্রথম টেস্টটিউব বেবীর অাত্মজার মুখোমুখি তিনি।
(৩) ভিড় লাইন ঠেলে এর ওর সাথে মতানৈক্য করতে করতে গ্রামের সরকারি ডাক্তারখানার ভাঙা টেবিলের সামনে যে মহিলা এগিয়ে এলেন অর্থোপেডিক্স সার্জেন ডাঃ সব্যসাচী ঘটকের সামনে তাকে চিনতে এতটুকু ভুল করলেন না ডাক্তার বাবু। কুড়ি বছর আগে এই টেবিলেই প্রসূতি নীলোফারের ক্রিটিক্যাল ডেলিভারি কেস যে তাকেই সামাল দিতে হয়েছিল প্রতিকূল পরিবেশে। মুখ তুলে চোখের ইশারায় জিগ্যেস করলেন কি দরকার? নীলোফার একটা কার্ড রেখে বললেন মৃণালের বিয়েতে আপনাকে আসতেই হবে ডাক্তার বাবু। তার আগে মৃণাল আর তার হবু স্বামী রাজার একটা রক্ত পরীক্ষা করাতে চাই আপনার হাসপাতালে। 'মৃণাল' নামটা যে ডাঃ ঘটকেরই দেওয়া, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট এক প্রতিবাদী চরিত্র। ডাক্তার বাবুর চোখে জল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন