রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়





আঁচল

পুরনো দিনের সব গন্ধ লেগে থাকা একফালি কাপড়ের গায়ে ফেলে আসি স্মৃতিচারণ। 
যাবতীয় তেল হলুদের ছোপের আদলে যেখানে লেখা হত আমাদের প্রতিদিনের যাপন। 

মা একটা বিশাল বটগাছ৷ কাপড় জড়ানো অবস্থায় যেটা আজীবন দাঁড়িয়ে থাকে সকাল থেকে সন্ধে। 
মা একটা বিশাল বটগাছ, আমি মানি। 

আঁচলে নুইয়ে পড়ে ক্লান্তির আলো, ছিটেফোঁটা ঘাম হয়ে৷ মা মুছে নেন সাংসারিক সব খামতি। 

এভাবে মুছে দিতে দিতে কীভাবে যেন নিজেই একদিন ইরেজার হয়ে যান মায়েরা। কেবল তেল হলুদের দাগগুলো থেকে যায় আঁচলে।




মা'কে

কখনো বলা হয়নি এমন অনেককিছুই যা বলতে চেয়েছি বারবার। 
সেসব কখনো আর বলা হবেও না কোনোদিন। 
সহস্র যোজন দূরে বসে মা আলো হয়ে নেমে আসবে আমার গায়ে। দূরে তাকিয়ে আমি খুঁজে নেব মায়ের ওম।

যেভাবে না বলার পরেও আমার যাবতীয় খারাপ ভালোর অঙ্ক মা কষে ফেলেছে বরাবর। যা কেবল মায়েরাই পারেন। মায়েরা সঞ্জীবনী  

এমন অনেককিছুই মা'কে আমার বলার ছিল আজীবন।

মা আসলে একটি সঞ্জীবনী মন্ত্র।  

_________________________________


  



 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন