মা
মা শব্দটির ব্যাপকতা ও গভীরতায় নিমগ্ন হতে কোন সন্তানকে বেশি সময় নিতে হয় না।মা তার সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় সন্তানের জীবনে মননে এমনভাবে গেঁথে থাকেন সেখান থেকেই কোন সন্তান তার মাকে আপনমনের মাধুরী মিশিয়ে জানতে,বুঝতে ও ভাবতে পারে।মাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা কিংবা মায়ের সযত্ন স্পর্শে নিবিষ্ট হওয়া প্রতিটি সন্তানের সহজাত প্রত্যয়।যে বোধ তৈরি করতে মাকেই সন্তানের মধ্যে একাত্ম হয়ে যেতে হয়।মায়ের আজন্ম লালিত স্বপ্নিল অনুভুতি দশমাস দশদিন সন্তানদের জঠরে লালন করে একসময় পৃথিবীর আলো দেখানো হয়।মায়ের কল্পনা তাড়িত এই বোধ শুরু হয় সেই শৈশবের পুতুলখেলার মধ্যে দিয়ে।
মায়ের স্নেহ,মায়ের শাসন যে কোন সন্তানের জীবনের গতিকে নির্মল করে,নিস্কন্টক করে সর্বোপরি নিরাপদ করে।মায়ের অনুপস্থিতি সন্তানের জীবনকে ঠেলে দেয় তমসার গর্ভগৃহে।মায়ের অহংকার,আকাঙ্খা,প্রত্যাশা তৈরি হয় সন্তানের কর্মকুশলতার মধ্যে দিয়ে।মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক জন্মজন্মান্তেরর। মাতৃজঠর থেকে এযাত্রা শুরু হলেও আশৈশব চৈতন্যের আবেগে যে স্বপ্নের অনুভূতিকে লালন করে তা যেন অনন্তকালের পথযাত্রীদের এক অভিনব নিবিষ্টতার চুড়ান্ত নির্দেশনা।মা যেমন অণুক্ষনের,প্রতিদিনের,চিরকালের একইভাবে মা হয়ে ওঠেন সন্তানের জীবনব্যাপী সাধনার এক অক্ষয় বৈভব।সন্তানকে আগলে রাখতে স্নেহে আর শাসনে মায়ের যে দ্বৈতস্বত্তা তা প্রতিটি মায়ের এক অনুপম মঙ্গলশিখা।
প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের অমরবাণী-নারীর দুটি রূপের মধ্যে একটি হলো স্নেহে,মায়ায়,মমতায় নারীমাতা আর প্রেমে পুজায় নিবেদনে নারী প্রিয়া।এই পরম সত্যটি নারী চরিত্রের দীপ্যমান শিখা।রবীন্দ্রনাথ নিজের মাকে সাহিত্যে নিয়ে আসতে না পারার কষ্ট জীবনভর লালন করেছেন।এক চিরাচরিত প্রথার অন্তরালে তিনি বড়ো হয়েছিলেন ধাত্রীমাতা ও গৃহপরিচারিকার তত্ত্বাবধানে।ফলে মাকে কাছে না পাওয়ার ফারাকটুকু ভরে দিতে পারেনি তার সাহিত্যে মায়ের অনুপস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে 'কর্ণকুন্তীসংবাদ' ও 'গান্ধারীর আবেদন' কবিতায় বলিষ্ঠ মাতৃশৌর্য বিভুষিত মাতৃমুর্তির পরিচয় পাওয়া যায়।অন্যদিকে মাতৃমহিমার আরেক জলন্ত শিখা ছিলেন ম্যাক্সিক গোর্কির 'মা'।যা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী ভাষায় অনুদিত হয়েছে।সৃষ্টির আদি থেকে এভাবেই মা যুগে যুগে সন্তানদের কাছে তো বটেই মননশীল ও সৃষ্টির দ্যোতনায় নিমগ্ন বিশিষ্টজনের কাছেও দুর্লভ রূপশৌর্য।পৃথিবীর আদি এবং অকৃত্রিম শব্দই হলো মা।পৃথিবীতে প্রথম পরিবারই ছিল মাতৃতান্ত্রিক।যার সামান্য অপভ্রংশ আজও পৃথিবীর কোনো কোনো জায়গায় দৃশ্যমান।
মা দেশমাতৃকার এক অনন্য প্রতিবিম্ব।মায়ের আদলে দেশকে অনুভব করে দেশমাতৃকার সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করতে অনেক সন্তানকে দুর্বার,দুরন্ত মিছিলে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হয়েছে।মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাদুর্যোগপুর্ণ রাতে একটি বিরাট স্রোতবাহী নদী সাঁতরে মায়ের কাছে পৌঁছে জগদ্বিখ্যাত হয়েছিলেন।পৃথিবীতে মহৎ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একজন সুমাতার অবদান সর্বাগ্রে।শ্রেষ্ঠ মানুষেরা কখনো তাদের মাকে অমর্যাদা করেননি।একটি বিখ্যাত গানের কলি দিয়ে লেখনীর পরিসমাপ্তি ঘটালাম-
মধুর আমার মায়ের হাসি
চাঁদের মতো ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে মনে পড়ে।।।
মায়ের স্নেহ,মায়ের শাসন যে কোন সন্তানের জীবনের গতিকে নির্মল করে,নিস্কন্টক করে সর্বোপরি নিরাপদ করে।মায়ের অনুপস্থিতি সন্তানের জীবনকে ঠেলে দেয় তমসার গর্ভগৃহে।মায়ের অহংকার,আকাঙ্খা,প্রত্যাশা তৈরি হয় সন্তানের কর্মকুশলতার মধ্যে দিয়ে।মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক জন্মজন্মান্তেরর। মাতৃজঠর থেকে এযাত্রা শুরু হলেও আশৈশব চৈতন্যের আবেগে যে স্বপ্নের অনুভূতিকে লালন করে তা যেন অনন্তকালের পথযাত্রীদের এক অভিনব নিবিষ্টতার চুড়ান্ত নির্দেশনা।মা যেমন অণুক্ষনের,প্রতিদিনের,চিরকালের একইভাবে মা হয়ে ওঠেন সন্তানের জীবনব্যাপী সাধনার এক অক্ষয় বৈভব।সন্তানকে আগলে রাখতে স্নেহে আর শাসনে মায়ের যে দ্বৈতস্বত্তা তা প্রতিটি মায়ের এক অনুপম মঙ্গলশিখা।
প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের অমরবাণী-নারীর দুটি রূপের মধ্যে একটি হলো স্নেহে,মায়ায়,মমতায় নারীমাতা আর প্রেমে পুজায় নিবেদনে নারী প্রিয়া।এই পরম সত্যটি নারী চরিত্রের দীপ্যমান শিখা।রবীন্দ্রনাথ নিজের মাকে সাহিত্যে নিয়ে আসতে না পারার কষ্ট জীবনভর লালন করেছেন।এক চিরাচরিত প্রথার অন্তরালে তিনি বড়ো হয়েছিলেন ধাত্রীমাতা ও গৃহপরিচারিকার তত্ত্বাবধানে।ফলে মাকে কাছে না পাওয়ার ফারাকটুকু ভরে দিতে পারেনি তার সাহিত্যে মায়ের অনুপস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে 'কর্ণকুন্তীসংবাদ' ও 'গান্ধারীর আবেদন' কবিতায় বলিষ্ঠ মাতৃশৌর্য বিভুষিত মাতৃমুর্তির পরিচয় পাওয়া যায়।অন্যদিকে মাতৃমহিমার আরেক জলন্ত শিখা ছিলেন ম্যাক্সিক গোর্কির 'মা'।যা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী ভাষায় অনুদিত হয়েছে।সৃষ্টির আদি থেকে এভাবেই মা যুগে যুগে সন্তানদের কাছে তো বটেই মননশীল ও সৃষ্টির দ্যোতনায় নিমগ্ন বিশিষ্টজনের কাছেও দুর্লভ রূপশৌর্য।পৃথিবীর আদি এবং অকৃত্রিম শব্দই হলো মা।পৃথিবীতে প্রথম পরিবারই ছিল মাতৃতান্ত্রিক।যার সামান্য অপভ্রংশ আজও পৃথিবীর কোনো কোনো জায়গায় দৃশ্যমান।
মা দেশমাতৃকার এক অনন্য প্রতিবিম্ব।মায়ের আদলে দেশকে অনুভব করে দেশমাতৃকার সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করতে অনেক সন্তানকে দুর্বার,দুরন্ত মিছিলে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হয়েছে।মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাদুর্যোগপুর্ণ রাতে একটি বিরাট স্রোতবাহী নদী সাঁতরে মায়ের কাছে পৌঁছে জগদ্বিখ্যাত হয়েছিলেন।পৃথিবীতে মহৎ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একজন সুমাতার অবদান সর্বাগ্রে।শ্রেষ্ঠ মানুষেরা কখনো তাদের মাকে অমর্যাদা করেননি।একটি বিখ্যাত গানের কলি দিয়ে লেখনীর পরিসমাপ্তি ঘটালাম-
মধুর আমার মায়ের হাসি
চাঁদের মতো ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে মনে পড়ে।।।
দিদি খুব সুন্দর লিখেছিস
উত্তরমুছুন