রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

তন্ময় রায়

                                         



এই সপ্তাহের কবি তন্ময় রায়।জন্ম ৯/১/ ৮৮ ।তার প্রকাশিত বইগুলি -  কমবেশি ক্রিয়া (২০১১), দৃশ্যাক্ষর (২০২০, সিদ্ধার্থ দাসের সাথে যুগলবন্দী)। 

ঘটনাহদ্দ  


তা দেওয়ার কথায়

মাথা খারাপ দিচ্ছে, খোলস ছেড়ে

চিরতায় গুঁজে থাকা বদনামখণ্ড।


ভেতর গুমোটে

লম্ফ জ্বেলে বসে আছে

তোমার ধিৎকার ধরানো কালি, কার্বাইড 

জন্মদোলে মেজাজ

অন্ত্র পরিষ্কার অর্থে পাকে পড়ে


বিষম রান্নাঘরে আলতো ধোঁকা এ মধ্যমা, ফুলে ঢোল...


সব খুলে বলতে গিয়ে

আমার লোম লবণ তছনছ।


পাকতে এসে ফুরিয়ে যাওয়া ঘটনা,

সীমায় জড়ানো সাপে লঙ্কাবাষ্প; 

গর্ত ছেনে ল্যাজে খেলাচ্ছে জাতভাইকে।

পেট ভর্তি অস্ত্র নিয়ে

জাতভাই আমার কথায় থাকেন

টুঁটি রঙ করতে আসেন অসময়ের শুরুতে…


মোড়ে নাকি মোচড়ে, কোথাও একটা লুকিয়ে আছে মণি,

দূরত্বে বেজায় সেজে ওঠে সে।

আতরগাঢ়।


প্রয়োজনের কাদা তখনো ডোবায় ফলছে।

চাপা দেওয়ার তাল ঠোকেন জাতভাই

বিরতির ধোঁয়া ও ঢেঁকুর সমেত।

কিছু একটা খোয়া যাচ্ছে এবং টেরও পাচ্ছে কেউ


বিষম রান্নাঘরে এবার ডালপালানো পত্র, হেজে একশা...


খোঁজ জুড়ে সেই জ্ঞান যেন ফোস্কা

ঝাঁঝ খেয়ে জল খসাবে

আমি এগিয়ে দেবো গলা, গ্রন্থিকথায় লেগে থাকা হরমোন

একটু ঘুরিয়ে নেবো

দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা

তলপেট ব্যথা করা পাথর পাথর ভাব

অন্তঃগাত্রে কানে-পৈতে জাতভাই সাক্ষাৎ


পুরোটাই জলের ওপর ছিল। মনে না লাগার কারণ হিসেবে মোমের কথা তুলতে গিয়েও, পাঁকের কথা চলে আসে। পাঁক দিয়ে মণি অন্ধকার করা হয়ে ওঠে না। কারণ হিসেবে আমার কথা উঠলেও, ব্যবহারে পাঁক তখন ত্বক দখল নিয়েছে। আর জাতভাইয়ের ত্বকে মহাকাব্য লেপছি আমি...

 

খিদে থেকে বিষটুকু

ঝাড়ার কথা

মাথায় গোবর বাড়িয়ে দেয়; 

জাতভাইকে বড়লোকে পেয়েছে,

সে তার গন্তব্য খুঁজতে আসে আমার মাথায়।




দশা 


১.

নামে আতঙ্কের পিন

রাস্তা আগলে আছে।

এর বাইরে সময় দেখতে এসেছে যারা

তাদের মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

আমার পকেটেই।

পকেটেই থাকে আমার বিজ্ঞ…


২.

গদ্যে কোন কলারের উল্লেখ রাখছি না

ইনিয়ে বিনিয়ে,

হজমের ব্যাপার মুখে ফুটে ওঠে।

কত ধাক্কায় কত কি সুন্দর...

হাতে শ্বাসনালীর ছাপ

কিঞ্চিৎ খিল ধরা পেট

বসত পেরিয়ে উঁকি দিলে 

কলারে খুন জখম নজরে আসে


৩.

জল ভুগিয়ে যাচ্ছে

কোমর এখানে শুকোতে চায় না।

এ ঘরের অন্ধকার

জট চাগাড় দেওয়া বর্ষাকাল;

বর্ষাকাল জুড়ে

গায়ে শাক হয়েছে

দেখা মিলেছে পাকিয়ে যাওয়া জ্বরের,

ঘাম ঘাম পথ

আলোর নিচে স্যাঁতস্যাঁতে পাকস্থলী।


৪.

সরু ক'রে ঢালার কথা ওঠে।

এর আগে

কষ দিয়ে চুইয়ে গেছে ঘিলু,

গলনাঙ্ক পেরনো হয়েছে সাবধানে।

রুমালে কথার মতো মিল 

আর চুমুকে যে শ্বাস সভ্য হচ্ছে 

তা একটু পরে সরু হবে…


৫.

গেলে দেখে নিচ্ছি

চোখের কাচময় মেজাজ।

উতল আসে সম্পত্তিতে,

ফেনাভাসনে গাঢ় করি।

মোজায় ভরে পাচার করি তোমায়,

এই তো হাল

বিষয় থেকে ম্যাদা মারতে যাই...


৫টি মন্তব্য:

  1. ভীষণ সাহসী এবং পরীক্ষা মূলক ভাবে লেখা ।

    উত্তরমুছুন
  2. চমৎকার আমেজ। দারুণ আবহ।

    উত্তরমুছুন
  3. এমন লেখায় অনেক অনেক মন খারাপ আর ভালোবাসা রইলো।

    উত্তরমুছুন
  4. এমন লেখায় অনেক অনেক মন খারাপ আর ভালোবাসা রইলো।

    উত্তরমুছুন
  5. এমন লেখায় অনেক অনেক মন খারাপ আর ভালোবাসা রইলো।

    উত্তরমুছুন