#
আমাদের লালচোখ ও মধ্যরাত্রির উল্লাস গাঢ় হলে,আকাশে উড়িয়ে দিই রঙিন ফানুস, অনেকটা এম্বিশনের মতো ।চকলেট আর ফুলের বুকে পাশাপাশি শুয়ে থাকে।তখন ক্লান্ত শরীরে লাট খেতে থাকে অনেক হাওয়া বেলুন।এসব নিভে এলে ফোনের ওপ্রান্তে জেগে বসে থাকে,কাজু,কিশমিশহীন ফ্যাকাসে বাটির পায়েস। আর উপেক্ষা জনিত শব্দে হাত পাকিয়ে আমরা সুইজারল্যান্ড বরফ স্বপ্ন চোখে গুঁজে তলিয়ে যাই ভোরঘুমে।
#
মায়ের জন্মদিন বলতে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা । উঠেই বাবার জন্য চায়ের জল বসানো প্যানে । ফুটন্ত জলে আদারকুঁচি আর হাফ চামচ চা-পাতা দিয়ে অপেক্ষা করা । মা জানে , আগুনে সঠিক মাত্রায় না ফুটলে স্বাদ আসে না । সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত মা সংসারের আগুনে ফুটতে থাকে বিভিন্ন স্বাদে । আমরা জানি , ফুটন্ত মায়ের স্বাদ অপূর্ব ।
#
মায়েদের কোন জন্মক্ষণ নেই।মা বলেছিল,তুখোড় তাপে-তীব্র শীতে রাস্তার পাশে পড়ে থাকে তাবৎ মুখ, অবিকল মায়েদের মতো।তমাম রুমালে ঢাকা নাকে প্রতিটি সন্তান জানে সন্তানের সুখে জন্ম নেওয়া মায়ের জন্মলিপি,খোদিত থাকে না মধ্যবিত্ত উনুনের তাপে।অবশ্য অনিবার্য ভাবেই সময়ের দেওয়াল ফ্রেমে মায়ের পায়ের আলতা ছাপ সাজিয়ে বিজ্ঞাপিত থাকে এক একটা মাতৃমৃত্যু দিবস।
#
মায়ের জন্মদিন নিয়ে এরবেশি জানি না । একদিন মা বলেছিল , মায়ের জন্ম হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ২৯ । আমরা মায়ের ছানাপোনারা প্রতিবছর ২৯ শে ফেব্রুয়ারির অপেক্ষা করতে থাকি , কিন্তু ২৯ আর আসে না । একটা দুটো ২৯ শে ফেব্রুয়ারির অপেক্ষা করতে করতে আমরা বড় হয়ে যাই । অফিস খুলে যায় । কাজের বাজারে হাহাকার আসে । ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লে দেখি মার্চের সকাল এসে হাজির হয়েছে । মা বাবার জন্য চা হাতে দাঁড়িয়ে আছে । মায়ের মুখে লেগে থাকা হাসির দিকে চেয়ে থাকি । মাকে পৃথিবীর মতো মনে হয় । সংসারের অক্ষে ঘুরছে । নিজে জানে না ঘুরন্ত ইতিহাস , আমরা শুধু খাতায় লিখে রাখি জন্মদিন , জন্মদিনের দিন মনে থাকে না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন